নয়া শতাব্দী অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি।
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) রংপুরকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো বিপিএলের ফাইনালে সিলেট। সিলেটের ১৮৩ রানের লক্ষ্যে নেমে ১৯ রানে হেরেছে রংপুর। কুমিল্লার পর সিলেট উঠে গেছে বিপিএলের নবম আসরের ফাইনালে।
মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে দারুণ শুরু পায় সিলেট। ওপেনিং জুটিতে নাজমুল শান্ত ও তৌহিদ হৃদয় ৮.৫ ওভারে ৬৫ রান যোগ করেন। বাঁ-হাতি শান্ত ৩০ বলে পাঁচটি চার ও এক ছক্কায় ৪০ রান করে ফিরে যান। পরেই তৌহিদ হৃদয় আউট হন ২৫ বলে দুই চার ও এক ছক্কায় ২৫ রান করে। এরপর রান বাড়িয়ে নেওয়ার চিন্তায় তিনে নামেন অধিনায়ক মাশরাফি মর্তুজা। তিনি ১৬ বলে তিন চার ও এক ছক্কায় ২৮ রান করে পরিকল্পনা কাজে লাগান।
টপ অর্ডারের ওই ভালো শুরুর ফায়দা সিলেটের মিডল অর্ডারের ব্যাটাররা নিতে পারেননি। চারে নামা জাকির হাসান ১৩ বলে ১৬ করে আউট হন। পাঁচে নেমে রায়ান বার্ল ৬ বলে ১৫ রান করে ফিরে যান। মুশফিকুর করেন ৬ রান। তবে লোয়ারে থিসারা পেরেরা ১৫ বলে ২১ ও জর্জ লিন্ডে ১০ বলে দুই ছক্কা ও এক চারে খেলেন ২১ রানের ইনিংস। ভালো সংগ্রহ পেয়ে যায় সিলেট।
১৮৩ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে স্যাম বিলিংসের উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে রংপুর। মাত্র ১ রান করে আউট হন তিনি। তবে ওপেনার রনি তালুকদার এবং শামীম হোসেন পাটোয়ারি মিলে বিপর্যয় সামাল দেয়ার চেষ্টা করেন। ৩১ রানের জুটি গড়েন তারা দু’জন। ১১ বলে ১৪ রান করে আউট হয়ে যান আগের ম্যাচের ম্যাচ সেরা শামীম।
মাঠে নামেন নিকোলাস পুরান। নেমেই ঝড় তোলেন। ১৪ বলে ৩০ রানের ছোট একটা ঝড় তোলার পর পুরানের উইকেটও তুলে নেয় সিলেট। লুক উডের বলে জর্জ লিন্ডের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান নিকোলাস পুরান।
এরপর মাঠে নামেন অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান। রনি তালুকদারকে নিয়ে তিনি যেন ম্যাচটা বের করেই ফেলেছিলেন প্রায়। ২৪ বলে ৩৩ রানের ইনিংস খেলেন সোহান। ৮২ রানের জুটি গড়েন এই দু’জন। কিন্তু এ সময় দুর্ভাগ্য সোহানের। তানজিম হাসান সাকিবের বলে ক্যাচ তুলে দেন। থিসারা পেরেরা ক্যাচটি তালুবন্দী করে নেন।
তবে সবচেয়ে বেশি দুর্ভাগা সম্ভবত রনি তালুকদার। তার ব্যাটেই জয়ের স্বপ্ন দেখছিলো রংপুর রাইডার্স। ৫২ বলে ৬৬ রান করে ফেলেন তিনি। কিন্তু রান নিতে না গিয়েও জাকির হাসানের এক থ্রোয়ে আচমকা উইকেট ভেঙে যায় রনির। পরে রিপ্লাইতে দেখা যায় তিনি ক্রিজের বাইরে ছিলেন। রানআউট হয়ে গেলেন তিনি।
শেখ মাহদি হাসানকে মাঠে নামানো হয় বড় শট খেলে দলকে জেতানোর জন্য। কিন্তু মেহেদী ৫ বল খেলে ২ রান করে আউট হয়ে যান। ১৯তম ওভারে লুক উডের পরপর দুই বলে দুই উইকেট হারিয়ে রংপুর তাদের পরাজয় পুরোপুরি নিশ্চিত করে ফেলে। তার আগে তানজিম হাসান সাকিবের এক ওভারে দুই উইকেট হারিয়ে কোমর ভাঙে রংপুরের।
নয়া শতাব্দী/আরআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ