নয়া শতাব্দী অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি।
তাবিজ ইসলামি শরিয়তে কোনো চিকিৎসা ব্যবস্থা নয়। তাবিজকে ইসলাম অনুমোদন দেয়নি। এটিতে কিছু একটা পুটলি করে বা খোলস করে দেওয়া হয়। এই জিনিসের কোনো ধরনের প্রতিক্রিয়া নেই। এটা এক অদৃশ্য ব্যবস্থা। এর কোনো দলিল নেই। এটাকে ইসলাম অনুমোদন দেয়নি। তাবিজ কোনোভাবেই ইসলাম অনুমোদন করেনি। ইসলাম অনুযায়ী এটি ব্যবহার হারাম ও শিরক হবে।
তবে কোনো বৈধ প্রয়োজনে কোরআন শরিফের আয়াত, হাদিসে বর্ণিত দোয়া, জিকির বা সঠিক অর্থবহ কোনো দোয়া ইত্যাদি সংবলিত তাবিজ ব্যবহার বৈধ। শর্ত হলো, তাবিজকে সত্তাগত শক্তিতে প্রভাব সৃষ্টিকারী হিসেবে বিশ্বাস করা যাবে না। বরং আল্লাহ তাআলার হুকুমে কাজ হওয়ার আশা রাখবে। তবে শিরকি শব্দ, কুফরি কালাম বা অনর্থক লেখা সম্বলিত তাবিজ ব্যবহার করা বৈধ নয়। (মুসলিম, হাদিস : ২২০০)
রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি তাবিজ ঝোলাল, সে ব্যক্তি কুফরি করল এবং শিরক করল। ’
ইমরান বিন হুসাইন (রা.) বর্ণিত, একদা নবী করিম (সা.) এক ব্যক্তির হাতে তামার চুড়ি দেখে বললেন, এটা কি? তিনি বললেন, এটা অহেনার অংশ। (অহেনার অর্থ এক প্রকার হাড়, যা থেকে কেটে ছোট ছোট তাবিজ আকারে দেয়া হয়) নবী করিম (সা.) বললেন, এটা খুলে ফেল, কারণ এটা তোমার দুর্বলতা বাড়ানো ভিন্ন কিছুই করবে না। যদি এটা বাঁধা অবস্থায় তোমার মৃত্যু হয়, তবে কখনো তুমি সফল হবে না।’ (মুসনাদে আহমদ, হাকেম ও ইবনে মাজা)
উকবা বিন আমের আল-জোহানি (রা.) বলেন, ‘একদা রাসুল (সা.) এর খেদমতে একদল লোক উপস্থিত হল। মহানবী (সা.) দলটির নয়জনকে বায়আত করলেন একজনকে করলেন না। তারা বলল, হে আল্লাহর রাসুল! নয়জনকে বায়আত করলেন একজনকে করলেন না? রাসুল (সা.)বললেন, তার সঙ্গে তাবিজ রয়েছে। অতপর তিনি স্বহস্তে তা ছিড়ে ফেললেন এবং তাকে বায়আত করলেন, আর বললেন, যে ব্যক্তি তাবিজ ব্যবহার করল সে শিরক করল।’ (মুসনাদে আহমদ, হাকেম)
যদি কেউ বিশ্বাস করে, তাবিজই রোগ বা বিপদ থেকে রক্ষা করবে, তাহলে ঈমান চলে যাবে। এ রকম বিশ্বাস স্থাপন করা শিরক।
নয়া শতাব্দী/আরআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ