ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৮ মার্চ ২০২৩, ১৪ চৈত্র ১৪২৯, ৫ রমজান ১৪৪৪

নকলায় ফুলের দাম বেড়েছে কয়েকগুণ

প্রকাশনার সময়: ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১৩:৩৫ | আপডেট: ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১৪:০৭

শেরপুর জেলার নকলা উপজেলায় ভ্যালেইন্টাইন্স ডে (বিশ্ব ভালোবাসা দিবস) উপলক্ষে ফুলের কদর বেড়েছে। দাম বেড়েছে কয়েক গুণ। বিশেষ করে গোলাপ ফুলের কদর আকাশচুম্বী। নকলা পৌর শহরের মোড়ে মোড়ে বসেছে ফুলের দোকান। বেচা কেনাও চলছে হরদম।

সরজমিনে দেখা গেছে, ১৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে গ্রাম গঞ্জের হাট বাজার ও গুরুত্বপূর্ণ স্থান গুলোতেও ফুলের দোকান বসেছে। উঠতি বয়সের ছেলে মেয়েরা ফুল কিনতে ভিড় করছে এসব ফুলের দোকানগুলোতে। বিশেষ করে স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীদের ফুলের দোকানে ভিড় সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে। সবাই তাদের প্রিয় জনের উদ্দেশ্যে ফুল কিনছে। কেউ কিনছে বন্ধু-বান্ধবের জন্য, আবার কেউ কিনছেন বাবা, মা, ভাই বোনসহ আত্মীয় স্বজনদের উদ্দেশ্যে।

নার্সারি ব্যবসায়ী মোক্তার হোসেন ও মৌসুমী ফুলের দোকানি মানিক মিয়ার সাথে কথা বলে জানা গেছে, তারা লাভের আশায় ফুলের দোকান দেয়নি। তাদের উদ্দেশ্যে হলো- কেউ যদি তার কাছে থেকে ফুল কিনে নিয়ে বাবা, মা, ভাই, বোন, আত্মীয় স্বজনদের বা প্রিয় জনকে উপহার দিয়ে তাদের খুশি করতে পারেন, তাতে নাকি তারা শওয়াবের ভাগী হবেন। তাছাড়া লাভ তো কিছু অবশ্যই হবে। তাদের লাভের টাকায় তারা নিজ নিজ বাবা-মাকে উপহার কিনে দিবেন বলেও তারা জানান।

রিয়া নার্সারি অ্যান্ড পুষ্প বিতাণের মালিক মোক্তার হোসেন বলেন, এবছর তিনি দুই ধাপে ৫ হাজার টাকার ফুল কিনেছেন। এইসব ফুল বিক্রি শেষে অন্তত হাজার দুইয়েক টাকা লাভ হতে পারে বলে তিনি আশা করছেন। তিনি জানান, বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে ভালোবাসার নামে নষ্টামী ঠেকাতে ফুল ক্রেতাদের মধ্যে পরিচিত বনকে বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন। বিশেষ করে যে বা যারা ফুল কিনতে আসছেন তাদের সকলকে নিজ নিজ বাবা-মায়ের জন্য ফুল কিনে নিতে পরামর্শ দিচ্ছেন তিনি। আর যারা বাবা-মায়ের জন্য ফুল কিনতে আসছেন তাদের কাছে বিনালাভে ফুল বিক্রি করছেন।

ফুল বিক্রেতা মানিক মিয়ার জানান, ফুল আল্লাহর সৃষ্টির সেরা উপহার। তাই বিশ্ব ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে ফুলের দাম ও চাহিদা আকাশচুম্বী হয়ে যায়। এ উপলক্ষে উপজেলা বা ইউনিয়ন পর্যায়ের ফুল ক্রেতারা জেলা শহরের গিয়ে একদিকে বেশি দামে ফুল কিনে আনেন, অন্যদিকে যাতায়াত খরচতো আছেই; তাছাড়া দুর্ঘটনার সম্ভাবনা থেকেই যায়। তাই তারা জেলা ও বিভাগীয় শহর থেকে ফুল কিনে এনে বিক্রি করেন বলে তিনি জানান। এতে করে এলাকার টাকা এলাকাতেই থাকছে। এতে লাভবান হচ্ছেন ক্রেতা ও বিক্রেতা উভয়েই।

ফুল ক্রেতারা জানান, এ দিনে ফুলের দাম এতটাই বেশি হয়, যা কল্পনাতীত। তবুও ভালোবাসা দিবসে বাবা, মা, ভাই, বোন, আত্মীয় স্বজন ও প্রিয় জনকে উপহার দেওয়ার জন্য ফুল নিতে এসেছেন তারা। প্রতিটি গোলাপ ফুল ৮০টাকা থেকে ১০০ টাকা করে, রজনীগন্ধা স্টীক ২৫টাকা থেকে ৩৫ টাকা করে বেচা-কেনা হচ্ছে। আর গোলাপ, রজনীগন্ধা ও ঘাস ফুল দিয়ে তোড়া বানিয়ে বিক্রি করা হচ্ছে, সাইজ বেধে যার দাম ১৫০ টাকা থেকে ২৫০ টাকা। তবুও ক্রেতারা খুশি, কারন হাতের নাগালে সতেজ ফুল পাচ্ছেন তারা।

তাছাড়া ভালোবাসার উপহার হিসেবে দেওয়ার জন্য নতুন সংযোজন করা হয়েছে নির্দশন খচিত বিভিন্ন দামের ডায়েরি। এসব ডায়েরির কদরও কমনা। ছোট-বড় ও ডিজাইন বেধে এসব ডায়েরি ১২০ টাকা থেকে ২৫০ টাকা করে বেচা-কেনা করা হচ্ছে।

নয়াশতাব্দী/জেডএম

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ