ঢাকা, শুক্রবার, ২৪ মার্চ ২০২৩, ১০ চৈত্র ১৪২৯, ১ রমজান ১৪৪৪
১০ম দিনে এলো সর্বাধিক নতুন বই ২৬০টি

বইমেলায় ছুটির দিনে জনস্রোত

প্রকাশনার সময়: ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ২০:৪৩

ছুটির দিন মানেই বিশেষ কিছু। আর বিশেষ কিছু মানেই হচ্ছে শিশু-কিশোরদের উচ্ছল উপস্থিত। শুক্রবার (১০ ফেব্রুয়ারি) ছিল এবারকার মেলার দ্বিতীয় ছুটির দিন ও তৃতীয় শিশু প্রহর। তাই এদিনও মেলা প্রাঙ্গণ সকাল থেকে ছিল শিশু-কিশোরদেরও পদভারে মুখর।

বেলা ১১টায় ফটক খুলতেই মেলায় ঢুকে পড়ে কোমলমতি শিশুরা। ঢুকেই তারা ফেটে পড়ে বিপুল উচ্ছ্বাসে। মুহূর্তেই শিশু-কিশোরদের কলকাকলিতে প্রাণচঞ্চল হয়ে ওঠে পুরো শিশু চত্বর। আনন্দ-উল্লাস আর খুনসুটিতে মেতে থাকলেও বই থেকে দূরে থাকেনি কোনো শিশুই। বাহারি ছবি সংবলিত নতুন বইয়ের রঙিন প্রচ্ছদ মন কাড়ে তাদের। অভিভাবকদের কাছে বায়না ধরে কিনে নেয় নিজের পছন্দের বইটি। ভূতের বই, গল্পের বই, সায়েন্স ফিকশন আর কার্টুনের বই বেশি কিনছে তারা। প্রত্যেকের হাতেই দেখা যায় কোনো না কোনো বই। তাদের বই কেনার এমন আগ্রহে খুশি বিক্রেতারাও।

বিক্রেতারা জানান, শুক্র ও শনিবার বন্ধের দিন মেলায় বই বিক্রি হয় বেশি। এদিন অনেক শিশু আসে। বই না কিনে খালি হাতে যায় না কেউই।

কোন ধরনের বইয়ে শিশুদের আগ্রহ বেশি জানতে চাইলে সিআরআই স্টলের বিক্রেতা জানান, “বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে প্রকাশিত গ্রাফিক নভেল ‘মুজিবের’ প্রতি শিশুদের ছিল বাড়তি আকর্ষণ। তাই সিআরআই-এর স্টলে ছিল শিশু, কিশোর আর অভিভাবকদের ভিড়। গল্প, কার্টুন ও ভূতের বইয়ের প্রতি তাদের আগ্রহ বেশি।”

মেলায় শিশুদের জন্য রয়েছে শিশু চত্বর। সেখানে সিসিমপুরের হালুমের চিৎকার হুট করেই শোনা যায় মেলা প্রাঙ্গণে। সঙ্গে রয়েছে টুকটুকি, ইকরি আর শিকু। মুহূর্তেই বদলে যায় শিশু প্রহরের চিত্র। প্রিয় কার্টুন চরিত্রের বাস্তব উপস্থাপন দেখে আনন্দে মাতোয়ারা হন সবাই।

এদিন বেলা সাড়ে ১১টায় শুরু হয় সিসিমপুরের পরিবেশনা ও ছবি আঁকা প্রতিযোগিতা। এ সময় সিসিমপুরের গান ও ছবি আঁকার

সঙ্গে সঙ্গে মেতে ওঠে শিশুরা।

বেলা ১২টার দিকে মেলায় আসেন প্রখ্যাত শিশুসাহিত্যিক ও শিক্ষাবিদ ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল। এ সময় তিনি শিশুদের সঙ্গে গল্পে মাতেন, বই পাঠে শিশু-কিশোরদের উৎসাহিত করেন। গল্প শেষে তিনি শিশুদের আঁকা ছবিগুলো দেখেন।

মেলায় আগত শিশু-কিশোরদের মধ্যে একটি দল মেলা ঘুরে বই দেখে, নিজেদের পছন্দমতো বই কেনে। ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী আরিয়ান মেলায় এসেছে বাবার সঙ্গে। তার পছন্দ কমিকস। মেলায় তাই বাবার সঙ্গে ঘুরে ঘুরে কমিকসের বই খুঁজছে।

আরিয়ান বলে, ‘রূপকথা আর কমিকসের বই বেশি ভালো লাগে আমার। তবে আমার কাছে কমিকস আগে। অ্যাডভেঞ্চার টাইপের কমিকস বেশি ভালো লাগে। আজকে দুটি কমিকস কিনেছি।’

সিসিমপুরের স্টেজের সামনে জায়গায় না পেয়ে বাবার কাঁধে চড়ে পরিবেশনা দেখছে মুনহা মুনিয়া।

সে পড়ে দ্বিতীয় শ্রেণিতে। মুনহা মুনিয়া বলে, ‘সিসিমপুরের নাচ-গান দেখব বলে মেলায় এসেছি। হালুমকে আমার বেশি ভালো লাগে। ওকে দেখতে এসেছি। এটা দেখে তিনটা বই কিনব। তারপর আব্বুর সঙ্গে বাড়ি ফিরব।’

অভিভাবক এসএস আসলাম উদ্দিন জানান, ‘আজকের শিশুরাই আগামীর ভবিষ্যৎ। বাবা-মায়ের হাত ধরে হাসতে-খেলতে কোমলমতি শিশুরা আজ যে জ্ঞানের রাজ্যে প্রবেশ করল, তা অব্যাহত থাকুক সারা জীবন। এ শিশুরাই হোক আগামীর জ্ঞানভিত্তিক সমাজ গড়ার কারিগর।’

১১ ফেব্রুয়ারিও (শনিবার) শিশু প্রহর। বেলা ১১টায় শুরু হয়ে এ আয়োজন চলবে দুপুর ১টা পর্যন্ত। এদিনও থাকবে সিসিম ১২৩ অনুষ্ঠানের জনপ্রিয় চরিত্ররা।

দুপুরের পর মেলার ভিড় বাড়তে থাকে। সন্ধ্যায় মেলা লোকারণ্য হয়ে ওঠে। এদিন বেশিরভাগ স্টল-প্যাভিলিয়নে পাঠক-ক্রেতার ভিড় ছিল উপচেপড়া। একাধিক প্রকাশক জানালেন গত কয়েকদিনের তুলনায় বেচাকিনি বেশ ভালো গেছে।

আগামী প্রকাশনীর প্রকাশক ওসমান গণি বলেন, ‘আমাদের অভিজ্ঞতা বলে মেলার আগামী কয়কটি দিন গুরুত্বপূর্ণ। সামনের দিনগুলোতে পাঠকের আনাগোনা বাড়বে।’

বইমেলায় এখনও পাঠকের প্রথম পছন্দের তালিকায় রয়েছেন নন্দিত কথাশিল্পী হুমায়ূন আহমেদ। প্রকাশক ও বিক্রয়কর্মীরা জানান, বইমেলায় পাঠক এসেই সবার আগে হুমায়ূন আহমেদের বই খোঁজেন।

প্রকাশকরা মনে করেন, হুমায়ূন আহমেদের বইয়ের চাহিদা অন্য কোনো লেখক পূরণ করতে পারবেন না। হয়তো কিছু নতুন লেখক তৈরি হয়েছে, হচ্ছে, যারা হুমায়ূন আহমদের মতো লেখার চেষ্টা করেন। তারা হয়তো কিছু অভাব ঘোঁচাতে চেষ্টা করছেন কিন্তু পুরোপুরি কখনও সম্ভব হবে না।

অন্যপ্রকাশের স্টল ইনচার্জ তৌহিদুল ইসলামের কাছে এবার মেলায় পাঠকের আগ্রহের শীর্ষে থাকা লেখকের নাম জানতে চাইলে তিনি স্বতঃস্ফূর্তভাবে একটু জোর গলায় উত্তর দেন ‘হুমায়ূন আহমদ’।

তিনি বলেন, পাঠক এসেই আগে জানতে চান হুমায়ূন আহমেদের কী কী বই আছে। এখন পর্যন্ত বিক্রিও বেশি তার বইয়ের। হুমায়ূন আহমেদের যে অভাব তা কখনও পূরণ হবার নয়। এখনও অনেকেই এসে হুমায়ূন আহমেদের নতুন বই খোঁজেন, তারা হয়তো জানেনও না তিনি বেঁচে নেই।

অনন্যা প্রকাশনীর বিক্রয়কর্মী আরাফাত হোসেন বলেন, মেলার শুরু থেকেই হুমায়ূন আহমেদের বইয়ের বিক্রি বেশি, পাঠকও বেশি। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে হুমায়ূন আহমেদের বইয়ের চাহিদাও বাড়ছে। এর পাশাপাশি মুহম্মদ জাফর ইকবাল, হুমায়ুন আজাদসহ কিছু লেখকের বইও মোটামুটি ভালো চলছে। তবে হুমায়ূন আহমেদ অপ্রতিদ্বন্দ্বী।

সাবলীল ও সহজ ভাষায় গল্প বলার কারণে হুমায়ূন আহমেদের পাঠক বেশি। তার ভাষা পাঠককে বুঝতে বেগ পেতে হয় না। তিনি পাঠককে ছুঁতে পারেন বলেই এত জনপ্রিয়তা। নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী নাদিয়া আক্তার বলছিলেন কথাগুলো।

আরেক শিক্ষার্থী স্বপ্নীল রাজ বলেন, ‘হুমায়ূন আহমেদ সব সময়ই নন্দিত থাকবেন তার সৃষ্টির মাধ্যমে।’

বাংলা একাডেমির জনসংযোগ উপবিভাগের দেয়া তথ্যমতে, মেলার ১০ম দিন (শুক্রবার) গতকাল নতুন বই এসেছে ২৬০টি। মেলায় নতুন আসা বইয়ের মধ্যে রয়েছে: আবদুল মান্নান সৈয়দের প্রবন্ধ ‘বাংলা সাহিত্যে মুসলমান’ (অবসর), রফিকুর রশীদের গল্পগ্রন্থ ‘শেখ মুজিব শেখ রাসেল ছেলেবেলার গল্প’ (আগামী প্রকাশনী), মোনায়েম সরকার সম্পাদিত ‘আবদুল গাফফার চৌধুরী স্মারকগ্রন্থ’ (আগামী), ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেনের প্রবন্ধ ‘বঙ্গবন্ধু-পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও কূটনীতি’ (আগামী), আনোয়ারা সৈয়দ হকের ভ্রমণবিষয়ক বই ‘দেখে এলাম মিশর ও মরক্কো’ (ঐতিহ্য), শামীমা চৌধুরীর ছোটগল্প ‘ভেসে যায় বেহুলার ভেলা’ (শিল্পতরু প্রকাশনা), লুৎফুর রহমান রিটনের ‘ফেল্টুস! চড় খাবি’ (কিন্ডার বুকস), বাবুল আনোয়ারের ‘ভালোবাসার কবিতা’ (পুঁথিনিলয়), নম্রতা সাহার গল্পগ্রন্থ ‘অপরাজিতা’ (অন্যধারা)।

অমর একুশে উদযাপনের অংশ হিসেবে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয় শিশু-কিশোর চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা। এতে ক-শাখায় ১৯৫, খ-শাখায় ১৮৩ এবং গ-শাখায় ৬৮ জন প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করে। চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা উদ্বোধন করেন শিল্পী হাশেম খান। বাংলা একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তেন শিশু-কিশোর আবৃত্তি প্রতিযোগিতার প্রাথমিক বাছাই পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। এতে দুই শতাধিক প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করেন। বিচারক ছিলেন কাজী মদিনা, আঞ্জুমান আরা এবং নূরুল হাসনাত জিলান।

বিকাল ৪টায় বইমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় ‘জন্মশতবার্ষিক শ্রদ্ধাঞ্জলি: শিল্পী সফিউদ্দীন আহমেদ’

এবং ‘জন্মশতবার্ষিক শ্রদ্ধাঞ্জলি: এসএম সুলতান’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মলয় বালা এবং সৈয়দ নিজার। আলোচনায় অংশ নেন সুশান্ত কুমার অধিকারী, ইমাম হোসেন সুমন, নাসির আলী মামুন এবং নীরু শামসুন্নাহার। সভাপতিত্ব করেন মুনতাসীর মামুন।

প্রাবন্ধিকদ্বয় বলেন, ‘বাংলাদেশের ছাপচিত্রের পথিকৃৎ এবং উপমহাদেশের স্বানামধন্য ছাপচিত্রী সফিউদ্দীন আহমেদ এ দেশের শিল্প আন্দোলনের সূতিকাগার ‘গভর্নমেন্ট স্কুল অব আর্টে’র প্রতিষ্ঠাতাদের অন্যতম। তিনি সফল তেলরং শিল্পী, ছাপচিত্রী এবং একজন স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্যে ভাস্বর শিক্ষক।

জীবন ও কর্মে তার সাধনার ধরন, নিভৃতচারী স্বভাব, বিলাসবর্জিত জীবনযাপন, সততা, শুদ্ধাচার, সংগীতানুরাগ, মুক্তদৃষ্টি, ধ্যান, শিল্পসাধনা ও ব্যক্তিত্ব তার চরিত্রে জুগিয়েছে অভি নতুন মাত্রা।

অপরদিকে এসএম সুলতান শুধু চিত্রশিল্পীই ছিলেন না, তার স্বতন্ত্র দর্শন, রাজনীতি, সমাজ নন্দনভাবনা ছিল; যা একই সঙ্গে দেশজ ও সময়ের চেয়ে অগ্রগামী।’

আলোচকবৃন্দ বলেন, ‘শিল্পী সফিউদ্দীন আহমেদ আমাদের আধুনিক শিল্পাচর্চার পথিকৃতদের একজন। পরিপূর্ণ সাধক-শিল্পীর একাগ্রতা নিয়েই তিনি শিল্পসাধনায় আত্মনিয়োগ করেছিলেন। বাংলাদেশের শিল্পকলার ইতিহাস ছাপচিত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে উন্নীত করণে শিল্পী সফিউদ্দীন আহমেদের অবদান অনস্বীকার্য। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন শিল্পী এসএম সুলতান বাংলার লোকসংস্কৃতি ও জাতিসত্তার একজন ধারক হয়ে উঠেছিলেন। কোনো প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সম্পৃক্ত না থেকেও তিনি শিল্পচর্চার জগতে রেখে গেছেন অনন্য প্রতিভার স্বাক্ষর।’

সভাপতির বক্তব্যে মুনতাসীর মামুন বলেন, ‘শিল্পী সফিউদ্দীন আহমেদ এবং এসএম সুলতান আমাদের শিল্পকলার জগতে উজ্জ্বল দুই নক্ষত্র। সফিউদ্দীন আহমেদ প্রাতিষ্ঠানিকতার মধ্যে থেকে নিখুঁত কলাকৌশলের মাধ্যমে শিল্পচর্চা করে গেছেন। অন্যদিকে এসএম সুলতান শিল্পচর্চার দিক থেকে ছিলেন সাধারণ মানুষের কাছাকাছি, যে কারণে তার ছবির ভেতর আমরা নিজেদের খুঁজে পাই।’

লেখক বলছি অনুষ্ঠানে নিজেদের নতুন বই নিয়ে আলোচনা করেন মৌলি আজাদ, সাগরিকা নাসরীন, সাহাদাত পারভেজ এবং হুমায়ূন কবীর ঢালী।

সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে কবিতা পাঠ করেন বায়তুল্লাহ কাদেরী, সঞ্জীব পুরোহিত, ফারহানা রহমান এবং রুহ রুহেল। আবৃত্তি পরিবেশন করেন আবৃত্তিশিল্পী ডালিয়া আহমেদ, নুরুজ্জামান, মাসুদ রানা, মাহমুদুল হাকিম তানভীর। ছিল জিনিয়া জ্যোৎস্না পরিচালনা নৃত্য সংগঠন ‘জিনিয়া নৃত্যকলা

একাডেমি’ মনোমি তানজানার পরিচালনায় নৃত্য সংগঠন ‘নিক্কন পারফরমিং আর্ট সেন্টার’, জাকির হোসেনের পরিচালনায় নৃত্য সংগঠন ‘শান্তি ভাবদর্শন চর্যাকেন্দ্র’, পারভীন আক্তার আঁখির পরিচালনায় নৃত্য সংগঠন ‘আনসার ডান্স একাডেমি’-এর নৃত্য পরিবেশনা। বৃন্দ আবৃত্তি পরিবেশন করে বঙ্গবন্ধু আবৃত্তি পরিষদ এবং ত্রিলোক বাচিক পাঠশালা।

শনিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টায় বাংলা একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তেন শিশু-কিশোর আবৃত্তি প্রতিযোগিতার প্রাথমিক বাছাই পর্ব অনুষ্ঠিত হবে। বিকাল ৪টায় বইমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হবে ‘স্মরণ: আশরাফ সিদ্দিকী’ এবং ‘স্মরণ সাঈদ আহমদ’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন ইয়াসমিন আরা সাথী এবং মাহফুজা হিলালী। আলোচনায় অংশ নেবেন উদয়শংকর বিশ্বাস, শামস আল দীন, রীপা রায় এবং আবদুল হালিম প্রামাণিক। সভাপতিত্ব করবেন খুরশীদা বেগম।

নয়াশতাব্দী/জেডআই

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ