ঢাকা, বুধবার, ২২ মার্চ ২০২৩, ৮ চৈত্র ১৪২৯, ২৯ শাবান ১৪৪৪

অমর একুশে বইমেলার পর্দা উঠছে ১ ফেব্রুয়ারি

প্রকাশনার সময়: ৩০ জানুয়ারি ২০২৩, ২১:১৩

মহান রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনের স্মৃতিজড়িত ফেব্রুয়ারির প্রথম দিন পর্দা উঠতে যাচ্ছে অমর একুশে বইমেলার। করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) অতিমারির কারণে গত দুটি বইমেলা ঐতিহ্যবাহী রীতি অনুসারে ফেব্রুয়ারির প্রথম দিন শুরু হতে পারেনি। এবার মেলার মূল প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘পড় বই গড় দেশ, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ’। এবারও মেলা হবে দুটি অংশে।

সোমবার (৩০ জানুয়ারি) একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্য বিশারদ মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে গণমাধ্যমের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন একাডেমির মহাপরিচালক মুহম্মদ নূরুল হুদা। এ সময় মেলা সংশ্লিষ্ট কর্মব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, পহেলা ফেব্রুয়ারি বিকেল ৩ টায় বইমেলা উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি থাকবেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এমপি। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখবেন সংস্কৃতি সচিব আবুল মনসুর। স্বাগত বক্তব্য রাখবেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক মুহম্মদ নূরুল হুদা। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন একাডেমির সভাপতি কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাংলা একাডেমি প্রকাশিত সাতটি নতুন বইয়ের গ্রন্থ-উন্মোচন করবেন এবং বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার ২০২২ প্রদান করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এবার বইমেলা অনুষ্ঠিত হবে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ এবং ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের প্রায় সাড়ে ১১ লাখ বর্গফুট জায়গায়।

একাডেমি প্রাঙ্গণে ১১২টি প্রতিষ্ঠানকে ১৬৫টি এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে ৪৮৯টি প্রতিষ্ঠানকে ৭৩৬টি ইউনিট অর্থাৎ মোট ৬০১টি প্রতিষ্ঠানকে ৯০১টি ইউনিট বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। মেলায় ৩৮টি প্যাভিলিয়ন থাকবে। বইমেলার আঙ্গিকগত ও বিন্যাসে পরিবর্তন আনা হয়েছে। বিশেষ করে মেট্রোরেল স্টেশনের অবস্থানগত কারণে গতবারের মূল প্রবেশপথ এবার একটু সরিয়ে বাংলা একাডেমির মূল প্রবেশপথের উল্টো দিকে অর্থাৎ মন্দির-গেটটি মূল প্রবেশপথ হিসেবে ব্যবহৃত হবে। গতবারের প্রবেশপথটি বাহির পথ হিসেবে চিহ্নিত থাকবে। টিএসসি, দোয়েল চত্বর এবং ইঞ্জিনিয়ারিং ইন্সটিটিউশন অংশে আরও ৩টি প্রবেশ ও বাহির পথ থাকবে। গতবার ইঞ্জিনিয়ারিং ইনিস্টিটিউশন অংশে ১৮২টি স্টল এবং ১১টি প্যাভিলিয়ন ছিল। তবে গতবারের ইঞ্জিনিয়ারিং ইনিস্টিটিউশনের স্থানটিকেও এবারের মেলার একটি অংশ হিসেবে বেছে নেয়া হয়েছে। সেখানে নামাজের স্থান, ওয়াশরুমসহ অন্যান্য পরিষেবা অব্যাহত থাকবে। খাবারের স্টলগুলোকে এবার এমনভাবে সুবিন্যস্ত করা হয়েছে যেন এলোমেলোভাবে খাবারের স্টল বইমেলায় আগত পাঠকের মনোযোগ বিঘ্নিত না করে।

শিশুচত্বরটির পরিধি কম হওয়ায় এবার এই চত্বরটি মন্দির-গেটে প্রবেশের ঠিক ডান দিকে বড় পরিসরে রাখা হয়েছে। যেন শিশুরা অবাধে বিচরণ করতে পারে এবং তাদের কাঙ্খিত বই সহজে সংগ্রহ করতে পারে। এবার লিটল ম্যাগাজিন চত্বর স্থানান্তরিত হয়েছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গ্রন্থ-উন্মোচন অংশের কাছাকাছি। সেখানে ১৫৩টিসহ ৫টি উন্মুক্ত স্থানে লিটলম্যাগকে স্টল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। বইমেলায় বাংলা একাডেমি এবং মেলায় অংশগ্রহণকারী অন্যান্য প্রতিষ্ঠান ২৫% কমিশনে বই বিক্রি করবে। প্রতিদিন বিকেল ৪টায় বইমেলার মূল মঞ্চে সেমিনার এবং সন্ধ্যায় থাকবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। বাংলা একাডেমির ৩টি প্যাভিলিয়ন এবং শিশুকিশোর উপযোগী প্রকাশনার বিপণনের জন্য ১টি স্টল থাকবে। অমর একুশে উদযাপনের অংশ হিসেবে শিশুকিশোর চিত্রাঙ্কন, আবৃত্তি এবং সংগীত প্রতিযোগিতার আয়োজন থাকছে।

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে নতুন বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা থাকবে। অমর একুশে বইমেলা ২০২৩ -এর প্রচার কার্যক্রমের জন্য একাডেমিতে বর্ধমান ভবনের পশ্চিম বেদিতে ১টি ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ২টি তথ্যকেন্দ্র থাকবে। সাংবাদিকদের অবাধ তথ্য আদান-প্রদানের সুবিধার্থে বইমেলায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে একটি মিডিয়া সেন্টার থাকবে।

বর্তমান সরকারের ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ ধারণার অংশ হিসেবে ডিজিটাল ডিসপ্লেতে জমাকৃত নতুন বইয়ের প্রচ্ছদ, তথ্য এবং বইমেলার মানচিত্র পর্যায়ক্রমে প্রদর্শিত হবে। মেলায় ওয়াইফাই সুবিধা থাকবে। মেলার উদ্বোধন অনুষ্ঠান সরাসরি সম্প্রচার করবে বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতার।

বইমেলার প্রবেশ ও বাহিরপথে পর্যাপ্ত সংখ্যক আর্চওয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। মেলার সার্বিক নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করবে বাংলাদেশ পুলিশ, র‍্যাব, আনসার, বিজিবি ও গোয়েন্দা সংস্থাসমূহ। নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার জন্য মেলায় এলাকাজুড়ে তিন শতাধিক ক্লোজসার্কিট ক্যামেরার ব্যবস্থা করা হয়েছে। বইমেলা পলিথিন ও ধুমপানমুক্ত থাকবে।

মেলাপ্রাঙ্গণ ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় (সমগ্র মেলাপ্রাঙ্গণ ও দোয়েল চত্বর থেকে টিএসসি হয়ে শাহবাগ, মৎস্য ভবন, ইঞ্জিনিয়ারিং ইন্সটিটিউট হয়ে শাহবাগ পর্যন্ত এবং দোয়েল চত্বর থেকে শহিদ মিনার হয়ে টিএসসি, দোয়েল চত্বর থেকে চাঁনখারপুল, টিএসসি থেকে নীলক্ষেত পর্যন্ত) নিরাপত্তার স্বার্থে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা থাকবে। মেলার পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা এবং নিয়মিত ধূলা নিবারণের জন্য পানি ছিটানো এবং প্রতিদিন মশক নিধনের সার্বিক ব্যবস্থা থাকবে।

অমর একুশে বইমেলায় অংশগ্রহণকারী প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানের ২০২২ সালে প্রকাশিত গ্রন্থের মধ্য থেকে গুণগতমান বিচারে সেরা বইয়ের জন্য প্রকাশককে ‘চিত্তরঞ্জন সাহা স্মৃতি পুরস্কার’ এবং ২০২২ সালের বইমেলায় ২ প্রকাশিত বইয়ের মধ্য থেকে শৈল্পিক বিচারে সেরা বই প্রকাশের জন্য ৩টি প্রতিষ্ঠানকে ‘মুনীর চৌধুরী স্মৃতি পুরস্কার’ দেয়া হবে। ২০২২ সালে প্রকাশিত শিশুতোষ গ্রন্থের মধ্য থেকে গুণগত মান বিচারে সর্বাধিক গ্রন্থের জন্য ১টি প্রতিষ্ঠানকে ‘রোকনুজ্জামান খান দাদাভাই স্মৃতি পুরস্কার’ এবং এ বছরের মেলায় অংশগ্রহণকারী প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানের মধ্য থেকে স্টলের নান্দনিক সাজসজ্জায় শ্রেষ্ঠ বিবেচিত প্রতিষ্ঠানকে ‘কাইয়ুম চৌধুরী স্মৃতি পুরস্কার’ প্রদান করা হবে। এবারের বইমেলায় বাংলা একাডেমি প্রকাশ করছে নতুন ও পুনর্মুদ্রিত ১৩৬টি বই।

বইমেলা ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ছুটির দিন ব্যতীত প্রতিদিন বিকেল ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। রাত সাড়ে ৮টার পর নতুন করে কেউ মেলা প্রাঙ্গণে প্রবেশ করতে পারবেন না। ছুটির দিন বইমেলা চলবে বেলা ১১টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত। ২১ ফেব্রুয়ারি মহান শহিদ দিবস এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে মেলা শুরু হবে সকাল ৮টা এবং চলবে রাত ৯ টা পর্যন্ত। প্রতি শুক্র ও শনিবার বেলা ১১ টা থেকে দুুপুর ১টা পর্যন্ত শিশু প্রহর।

সোমবার বাংলা একাডেমি ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান প্রাঙ্গণে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, জোর হাতে কাজ করছেন নির্মাণ শ্রমিকরা, দাঁড়িয়ে নির্দেশনা দিচ্ছেন আর্কিটেক্টরা। দ্রুত কাজ শেষ করার তাগিদ দিচ্ছে প্রকাশকরা। কেননা হাতে সময় আর কয়েক ঘণ্টা। এরই মধ্যে শেষ করতে স্টল-প্যাভিলিয়ন নির্মাণের কাজ। হাতে গোনা কয়েকটা প্যাভিলিয়ন ও স্টলের নির্মাণ কাজ শেষ হলেও বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের কাজ বাকি।

মেলা প্রাঙ্গণে নির্মাণ শ্রমিক, স্টল আর্কিটেক্ট ও প্রকাশকের সঙ্গে কথা হয় এই প্রতিবেদকের। তারা জানান, ‘বাংলা একাডেমির বেঁধে সময়ে কাজ শেষ করতে পারবে না বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠান। তাদের মতে, প্রতিবারের মতো এবারও মেলার প্রথম সপ্তাহটা কিছুটা এলোমেলো যাবে। মেলা পুরোপুরি গুছিয়ে উঠতে প্রথম সপ্তাহ কেটে যাবে। মেলার স্টল ও প্যাভিলিয়ন বিন্যাস নিয়ে অভিযোগও রয়েছে তাদের।

চার বছর ধরে মেলার স্টল ডিজাইনের কাজ করা আর্কিটেক্ট মাসুদ বলেন, প্রতিবছর প্যাভিলিয়নগুলো যেমন একপাশে থাকে আর স্টলগুলো আরেক পাশে। দেখতে ভালো লাগে। এবার সেভাবে হয়নি, প্যাভিলিয়নগুলো স্টলের একপাশে পড়ে গেছে। যে কারণে প্যাভিলিয়নের সৌন্দর্য প্রকাশ পাবে না।

প্রকাশক অচিন্ত্য চয়ন বলেন, প্রতিবছর মেলা প্রথম দিকে এলোমেলোভাবে শুরু হয়। মনে হয় না এবারও তার ব্যতিক্রম হবে। আসলে এক সপ্তাহ না গেলে মেলা ঠিকভাবে শুরু হয় না। তারপর মেলার প্রথম ছুটির দিন থেকেই মূলত মেলাটা পুরোপুরি শুরু হয়।

অমর একুশে বইমেলার সদস্যসচিব কে এম মুজাহিদুল ইসলাম জানান, মেলা সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার লক্ষ্যে অমর একুশে বইমেলার জন্য প্রত্যেক সেক্টর থেকে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নিয়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে। এবারও একাডেমির মহাপরিচালক মুহম্মদ নূরুল হুদাকে সভাপতি করে ৩১ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি নানা বিষয়ে আলোচনা সাপেক্ষে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।

তিনি বলেন, বাংলা একাডেমির মূল কাজ অমর একুশে বইমেলা কার্যক্রম পরিচালনা করা নয়। এটি প্রকৃতপক্ষে একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান। বাংলা একাডেমি তো বাইরের প্রকাশনার দায়িত্ব নিতে পারে না। বিভিন্ন ধরনের প্রকাশনা বইমেলায় আসছে, সবকিছু মনিটর করা একাডেমির পক্ষে সম্ভব নয়। এক্ষেত্রে সরকারিভাবে নীতিমালা থাকা প্রয়োজন। সরকারি কোনো সেল থাকলে এবং সরকারিভাবে যদি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয় তাহলে ভাল হয়।

তিনি বলেন, মেলা সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে সম্পন্নের লক্ষ্যে গত ১৯ জানুয়ারি আন্তঃমন্ত্রণালয় সভার সিদ্ধান্ত অনুসারে একটি টাস্কফোর্স কমিটি গঠন করা হয়েছে। এবার সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কঠোরভাবে নির্দেশনা দিয়েছেন যে, বইমেলার প্রথম দিন থেকেই টাস্কফোর্স যেন সঠিকভাবে বিষয়গুলো মনিটরিং করে। বাংলাদেশ শিল্পীকল্যাণ ট্রাষ্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অসীম কুমার দে'কে আহবায়ক করে সাত সদস্যের এই টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে। এই কমিটি কপিরাইট আইন ও বইমেলা নীতিমালার প্রতিপালন পর্যবেক্ষণ এবং কপিরাইট আইন ও বইমেলা নীতিমালা লঙ্ঘনকারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি ও অমর একুশে বইমেলা পরিচালনা কমিটির সদস্য গোলাম কুদ্দুছ জানান, বইমেলা বাঙালির প্রাণের মেলা। এটির বাঙালির জাতিসত্ত্বার বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। প্রতিবছরই বাংলা একাডেমির বইমেলায় দর্শক,পাঠক এবং প্রকাশকের সংখ্যা বাড়ছে। যার কারণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরামর্শে অমর একুশে বই মেলাকে বাংলা একাডেমির চত্ত্বরের বাইরে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গত কয়েক বছর আগে সম্প্রসারিত করা হয়েছে।

তিনি বলেন, করোনা সঙ্কট কাটিয়ে মানুষ আবার বইমেলামুখী হয়েছে। সেভাবেই এবারের বইমেলার আয়োজন চলছে। বিশ্বাস করি, নতুন পাঠক ক্রেতা এবং প্রকাশকদের যৌথ উদ্যোগে এবং বাংলা একাডেমি ও সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে এবারে বইমেলা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হবে।

প্রসঙ্গত, সংক্রমণের বিধিনিষেধের মধ্যে স্বাস্থ্য সচেতনতাকে গুরুত্ব দিয়ে ২০২১ সালে মেলা শুরু হয় মার্চে। আর পরের বছর ১৫ ফেব্রুয়ারি বইমেলা শুরু হয়। ২০২০ সালে একদিন পিছিয়ে মেলা শুরু হয়েছিল। প্রতিবছর ১ ফেব্রুয়ারি বইমেলা শুরু হলেও ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনে ভোট থাকায় তা একদিন পিছিয়ে শুরু হয়েছিল।

নয়াশতাব্দী/এমএস

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ