কৃষ্ণ সাগরে রুশ যুদ্ধবিমানের ধাক্কায় যুক্তরাষ্ট্রের একটি গোয়েন্দা ড্রোন বিধ্বস্ত হয়েছে বলে দাবি করেছে মার্কিন সামরিক বাহিনী। তবে দাবিকে অস্বীকার করেছে মস্কো। খবর এএফপি’র।

মার্কিন সামরিক বাহিনী বলেছে, রাশিয়ার একটি যুদ্ধবিমান থেকে মঙ্গলবার কৃষ্ণ সাগরে অবস্থানরত আমেরিকার একটি ড্রোনের উপর জ্বালানি তেল ফেলা হয়। এরপর রুশ সুখোই-২৭ জেট দিয়ে ধাক্কা দিলে মার্কিন এমকিউ-৯ রিপার ড্রোনটি বিধ্বস্ত হয়। এটিকে ‘বেপরোয়া’ কৌশল হিসেবে উল্লেখ করেছে ওয়াশিংটন।

ইউএস ইউরোপিয়ান কমান্ড বলেছে, রাশিয়ার দু’টি সু-২৭ যুদ্ধবিমান আন্তর্জাতিক জলসীমায় যুক্তরাষ্ট্রের মনুষ্যবিহীন এমকিউ-৯ রিপারকে আটকে দিয়ে এর প্রপেলার কেটে দেয়।

তারা জানায়, ‘সংঘর্ষের আগে বেশ কয়েকবার সু-২৭ একেবারে বেপরোয়া, পরিবেশগতভাবে অস্বাস্থ্যকর এবং অপেশাদার পদ্ধতিতে এমকিউ-৯ এর সামনে জ্বালানী ফেলে উড়ে যায়।’

পেন্টাগনের পক্ষ থেকে কলা হয়, ড্রোনটি আইএসআরের (গোয়েন্দা, নজরদারি, পুনরুদ্ধার) নিয়মিত মিশনে ছিল।

তবে এ দাবি এ অস্বীকার করে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, ‘তীক্ষ্ণ কৌশলের ফলে মনুষ্যবিহীন এমকিউ আকাশযানটি একটি অনিয়ন্ত্রিত ফ্লাইটের রেঞ্জে ঢুকে পড়ে দ্রুত উচ্চতা হ্রাস করায় সেটি পানির পৃষ্ঠের সাথে ধাক্কা খায়।’

রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দাবি, রাশিয়ার ওই দু’টি যুদ্ধবিমানের সঙ্গে মার্কিন ড্রোনের কোনও ধরনের সংঘর্ষ বা ধাক্কা লাগার ঘটনা ঘটেনি এবং রুশ বিমান তাদের অস্ত্রও ব্যবহার করেনি।

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর এ ঘটনার প্রতিবাদ জানাতে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূতকে তলব করেছে।

নয়া শতাব্দী/জেআই