নয়া শতাব্দী অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি।
যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম বৃহৎ আর্থিক প্রতিষ্ঠান সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক বন্ধ হয়ে যাওয়ার ৩ দিনের মধ্যে বন্ধ হলো দেশটির আরেকটি ব্যাংক। নিউইয়র্কভিত্তিক সিগনেচার ব্যাংক নামের আর একটি প্রতিষ্ঠানেরও নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিয়েছে মার্কিন ফেডারেল ডিপোজিট ইন্সুরেন্স কর্পোরেশন (এফডিআইসি)। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমদের খবরে এ তথ্য জানানো হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে ব্যাংক বন্ধের ঘটনার দিক থেকে এটি তৃতীয় বৃহত্তম নজির।
এ ব্যাংকটি অবশ্য একটি আঞ্চলিক প্রতিষ্ঠান এবং এটির পরিধিও কম ছিল। তবে ব্যাংকটি ক্রিপ্টোকারেন্সি নির্ভর ছিল। ব্যাংকটির শেয়ারের অস্বাভাবিক পতন হলে যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় রোববার এটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। এখন ব্যাংকটিতে স্থিতিশীল অবস্থা ফেরানোর চেষ্টা করা হবে বলে জানা গেছে।
গ্রাহকদের মাঝে জনপ্রিয় ছিলো নিউইয়র্কের সিগনেচার ব্যাংক। অনেক মানুষ এই ব্যাংকে সঞ্চিত অর্থ রেখেছিলেন। রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, সিগনেচার ব্যাংকের মোট সম্পদের পরিমাণ ১১ হাজার ৩৬ কোটি ডলার। তাদের আমানত আছে ৮ হাজার ৮৫০ কোটি ডলার।
কিন্তু সম্প্রতি ব্যাংকটির অগ্রগতি থমকে যায়। আমেরিকার প্রশাসন অবশ্য গ্রাহকদের আশ্বস্ত করেছে। সোমবার (১৩ মার্চ) থেকেই তারা তাদের অর্থ সংগ্রহ করতে পারবেন বলে জানানো হয়েছে। সেই সঙ্গে ব্যাংকিং ব্যবস্থাকে সচল রাখতে দেশের অন্য প্রতিষ্ঠানগুলিকেও সাহায্যে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছে প্রশাসন।
তবে এই ব্যাংক বন্ধ হয়ে যাওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের করদাতাদের ঘাড়ে কোনো নতুন চাপ আসবে না বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের রাজস্ব বিভাগ। অর্থাৎ এসভিবি বা সিগনেচার ব্যাংককে বেইল আউট করা হবে না। আমানতকারীদের স্বার্থও রক্ষা করা হবে জানিয়েছে তারা।
আমেরিকান ট্রেজারি, ফেডেরাল ডিপোজিট ইনসিওরেন্স কর্পোরেশনের সঙ্গে যৌথ বিবৃতিতে তারা জানিয়েছে, ‘আমেরিকার অর্থনীতিকে রক্ষা করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ আমরা করছি। আমাদের ব্যাংকিং ব্যবস্থার ওপর গ্রাহকদের আস্থা ফিরিয়ে আনার কাজ শুরু হয়েছে।’
এফডিআইসি ঘোষণা দিয়েছে, ব্যাংকগুলো যেন সঞ্চয়কারীদের অর্থ উত্তোলনসহ যাবতীয় সব প্রয়োজন মেটাতে পারে সেজন্য তাদের বাড়তি অর্থ দেওয়া হবে।
সিগনেচার ব্যাংকের আগে গত শুক্রবার সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক বন্ধ হয়ে গেছে। তার নথিপত্রও অধিগ্রহণ করেছে সরকার। ২০০৮ সালের বিশ্বব্যাপী আর্থিক মন্দার পর, একেই খুচরো ব্যাংকিং ব্যবস্থায় সবচেয়ে বড় ব্যর্থতা বলা হচ্ছে।
নয়া শতাব্দী/জেআই
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ