নয়া শতাব্দী অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি।
তুরস্ক ও সিরিয়ায় ভয়াবহ ভূমিকম্পের পর পেরিয়ে গেছে ৬ দিন। সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। প্রতিটি মিনিটই দুঃসংবাদ দিয়ে যাচ্ছে তুরস্ক ও সিরিয়াবাসীকে। বাতাসে লাশের গন্ধ আর মাটিতে বেঁচে থাকার সংগ্রাম। জীবন আটকে গেছে ধ্বংসস্তূপের নিচে। জীবন নয়; পুরো তুরস্ক ও সিরিয়া আটকে আছে। সঙ্গে শোকে কাতর বিশ্ব। এদিকে তুরস্ক ও সিরিয়ায় ভয়াবহ ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৮ হাজার ছাড়িয়েছে।
তুরস্কের ভাইস প্রেসিডেন্ট ফুয়াত অক্তাই স্থানীয় সময় শনিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) জানিয়েছেন, তুরস্কে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৪ হাজার ৬১৭ জনে। যা দেশটিতে অতীতে সংঘটিত ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যার সর্বোচ্চ রেকর্ড বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এপি। বাকিরা নিহত হয়েছেন তুরস্কের প্রতিবেশী দেশ সিরিয়ায়।
অন্যদিকে তুরস্কের উদ্ধারকারীরা ভূমিকম্পের পাঁচ দিনেরও বেশি সময় পর একই পরিবারের পাঁচজনকে উদ্ধার করেছে। ধসে পড়া বাড়ির ভেতরে তারা ১২৯ ঘণ্টা আটকা ছিল।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আশঙ্কা প্রকাশ করে জানিয়েছে, বাসস্থান, বিশুদ্ধ পানি জ্বালানি বা বিদ্যুতের অভাবে এখনো বেঁচে থাকা অনেকে তাদের জীবন হারাতে পারে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ধ্বংসস্তূপে আটকে পড়া মানুষের বেঁচে থাকার হার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ৭৪ শতাংশ। কিন্তু ৭২ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলে তা ২২ শতাংশ এবং পঞ্চম দিনে মাত্র ছয় শতাংশে নেমে আসে।
নয়া শতাব্দী/আরআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ