তুরস্ক-সিরিয়ায় ভয়াবহ ভূমিকম্পে প্রাণহানির সংখ্যা ২৩ হাজার ৭০০ ছাড়িয়ে গেছে। এর মধ্য তুরস্কেই মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০ হাজার ২১৩ জনে। দেশটিতে আহত হয়েছে ৮০ হাজার ৫২ জন। আর সিরিয়ায় মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে তিন হাজার ৫০০ জন।

তবে তুরস্কে এখনো বহু মানুষ ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছেন। ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়াদের উদ্ধারে প্রাণপণ প্রচেষ্টা চালছে।

এদিকে ১১৯ ঘণ্টা পর তুরস্কের কাহরামানমারাশ শহরের একটি ভবনের ধ্বংসস্তূপ থেকে কামিল কান নামের ১৬ বছর বয়সী এক কিশোরকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।

উদ্ধারকর্মীদের বরাত দিয়ে সিএনএন তুর্কের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, গত প্রায় ৫ দিন ধরে ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা থাকার কারণে খাদ্য ও পানির অভাবে বেশ দুর্বল হয়ে পড়েছে কামিল, তবে সৌভাগ্যবশত শারীরিক কোনো আঘাত সে পায়নি।

ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে কামিলকে উদ্ধারের ঘটনাটি লাইভ দেখানো হয়েছে সিএনএন তুর্ক চ্যানেলে। উদ্ধারকর্মীরা জানিয়েছেন, ভবনের ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে কামিলের কণ্ঠস্বর শোনার পর তার অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে উদ্ধার তৎপরতা শুরু করেন তারা।

শারীরিক দুর্বলতা সত্ত্বেও উদ্ধারের পর হাসিমুখে দেখা গেছে কামিলকে। তার পরিবারের সদস্যরাও এ সময় উপস্থিত ছিলেন। প্রায় ৫ দিন পর কামিলকে জীবিত অবস্থায় দেখে আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন তারা।

শনিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সকালে তুরস্ক ও সিরিয়ার সরকারি সূত্র ও চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, গত সোমবার ভোরে আঘাত হানা ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত তুরস্কে ২০ হাজার ২১৩ জনের প্রানহানির খবর পাওয়া গেছে। আর সিরিয়ায় মারা গেছেন ৩ হাজার ৫০০ জন। ফলে দুই দেশে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৩ হাজার ৭১৩ জনে।