ঢাকা, শনিবার, ১ এপ্রিল ২০২৩, ১৮ চৈত্র ১৪২৯, ৯ রমজান ১৪৪৪

ধ্বংসস্তূপের নিচে মানুষের চিৎকার, শোনার নেই কেউ 

প্রকাশনার সময়: ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১৭:৫৯

তুরস্ক এবং উত্তর সিরিয়ায় ভয়াবহ ভূমিকম্পে এখনো পর্যন্ত ২১ হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হবার খবর নিশ্চিত হওয়া গেছে।

ভূমিকম্প আঘাত হানার পর ইতোমধ্যেই চারদিন অতিবাহিত হয়েছে। ফলে ধ্বংসস্তুপের নিচ থেকে জীবিত কাউকে উদ্ধারের আশা ক্ষীণ হয়ে আসছে। নিহতের এ সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।

তবে এরই মধ্যে কিছু অলৌকিক ঘটনাও ঘটছে। ভূমিকেম্পর প্রায় ১০১ ঘণ্টা পরে তুরস্কে একই পরিবারের ছয় সদস্যকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। আল-জাজিরা এক প্রতিবেদনে জানায়, একই পরিবারে ৬ সদস্য ভূমিকম্পে ধ্বসে পড়া একটি ভবনের ছোট্ট পকেটে গাদাগাদি করে ছিলেন। সেখান থেকে তাদের উদ্ধারকর্মীরা উদ্ধার করেন।

ভূমিকম্পের চারদিন পরে ধ্বংসস্তূপ থেকে ১০দিন বয়সী একটি শিশু এবং তার মাকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। ভিডিও ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, উদ্ধারকারীরা অত্যন্ত সতর্কতার সাথে শিশুটিকে থার্মাল কম্বলে ঢেকে বের করে আনছেন।

ইস্তাম্বুলের একজন তুর্কি সাংবাদিক ইব্রাহিম হাসকোলোলু বলেছেন, ‘লোকেরা এখনও ভবনের নিচে রয়েছে, তাদের সাহায্যের প্রয়োজন।’

বিবিসি এক প্রতিবেদনে জানায়, ইব্রাহিম হাসকোলোলু বলেছেন, ধ্বংসস্তূপের নিচে থেকে আটকে পড়া লোকজন তাকে এবং অন্যান্য সাংবাদিকদের ভিডিও, ভয়েস নোট এবং তাদের লাইভ অবস্থান পাঠাচ্ছে। তারা আমাদের বলছে যে, তারা কোথায় আছে এবং আমরা তাদের জন্য কিছুই করতে পারছি না। তিনি বলেন, ‘তুরস্কের জন্য এখন প্রয়োজন সমস্ত আন্তর্জাতিক সহায়তা।’

বিধ্বস্ত শহরগুলোতে বহু মানুষ এখনও আশ্রয়হীন। তাদের কাছে নিরাপদ খাবার পানি নেই, বিদ্যুৎ নেই।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আশঙ্কা করছে, এই পরিস্থিতিতে ভূমিকম্পের হাত থেকে বেঁচে যাওয়া আরো অনেক মানুষের মৃত্যু হতে পারে। ডাব্লিউএইচও অনুমান করছে, তুরস্ক এবং সিরিয়াজুড়ে আড়াই কোটিরও বেশি মানুষ এই ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। সূত্র : বিবিসি

নয়া শতাব্দী/জেআই

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ