নয়া শতাব্দী অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি।
ইকোপার্ক গাছপালা ও বণ্যপ্রাণী সংরক্ষিত স্থান বাংলায় যাকে প্রাকৃতিক বাগান বলা হয়। এটি প্রাকৃতিক পরিবেশে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণের পাশাপাশি একধরনের বিনোদনমূলক এলাকা। সাধারণত বিনোদনের পাশাপাশি প্রকৃতি সম্পর্কে দর্শনার্থীদের ধারণা দিতে ইকোপার্কগুলো তৈরি করা হয়।
টিলাগড় ইকোপার্ক সিলেটের মূল শহর থেকে কিছুটা দূরে। শহরের টিলাগড় হয়ে অথবা আম্বরখানা হয়ে বালুচর এলাকা পার করে ইকোপার্কটিতে যেতে হয়। সিলেট শহর থেকে ৮ কিলোমিটার পূর্বে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এবং সিলেট প্রকৌশল কলেজের কাছে অবস্থিত টিলাগড় ইকোপার্ক। ১১২ একর আয়তন বিশিষ্ট ইকোপার্কটি প্রতিষ্ঠা করা হয় ২০০৬ সালে। টিলাগড় ইকোপার্ক দেশের মোট ১০টি ইকোপার্কের মধ্যে ষষ্ঠ। ইকোপার্কটির ছোটবড় টিলার মধ্য দিয়ে বয়ে গিয়েছে একটি লেক। এখানে বেশকিছু ফল গাছের পাশাপাশি রয়েছে জীববৈচিত্রের সমাহার। এখানে রয়েছে পিকনিক কর্নার এবং শিশুদের জন্য চিলড্রেন’স কর্নার।
ব্যস্ত নগরজীবনে কাজকর্মের চাপে একঘেয়েমি কাটাতে প্রতিদিন বিকেলে ইকোপার্কে লোকসমাগম দেখা যায়। সিলেটের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে প্রায়শই এখানে শিক্ষা সফরে আসতে দেখা যায়। সপ্তাহের শুক্র ও শনিবার ছাড়াও ছুটির দিনগুলোতে বেশ ভিড় লক্ষ্য করা যায়। প্রতিনিয়ত সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ইকোপার্কের সৌন্দর্য উপভোগ করতে ভিড় জমাচ্ছেন দর্শনার্থীরা
বর্তমানে ইকোপার্কে প্রবেশ করতে টিকিটের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। ইকোপার্কটিতে বিভিন্ন ধরনের পাখি, সাপ, হরিণ, জেব্রা দর্শনার্থীদের প্রদর্শনের জন্য রাখা হয়েছে। কখনো কখনো রাস্তা দিয়ে হাটার সময় আস্ত সাপ সামনে এসে পড়ে। এছাড়াও ইকোপার্কটিতে রয়েছে ঘন গাছ-গাছালি এবং নানা প্রকার প্রাকৃতিক উদ্ভিদ ও বৃক্ষরাজি। এগুলোর মধ্যে চাপালিশ, শাল, গর্জন, চম্পাফুল, জারুল, মিনজিরি, চাউ, ঝাউ, কড়ই, জলপাই, আম, কাঁঠাল, নারিকেল, সুপারি, কামরাঙ্গা, চালতা, আগর, কৃষ্ণচূড়া, শিমুল, বাজনা, নাগেশ্বর, বকুল, হিজল, ডুমুর এবং বিবিধ বেত উল্লেখযোগ্য।
এসব গাছপালা আর ঝোপঝাড়ের মধ্যেই বাস করে শেয়াল, বানর, বনমোরগ থেকে শুরু করে হনুমান। তবে শিয়াল-বানরের দেখা মিললেও অন্যদের মিলে কালেভদ্রে। পাখিদের মধ্যে ময়না, টিয়া, ঘুঘু থাকলেও তাদের দেখা পাওয়াও অনেকটা ভাগ্যনির্ভর। তবে ঘুঘু আর নাম না জানা আরও কিছু প্রজাতির পাখির কূজনে মোহিত হয় দর্শনার্থীরা।
বগুড়া থেকে সিলেট ঘুরতে আসা পর্যটক গোলাম মোহাম্মাদ কিবরিয়া বলেন, জায়গাটি বেশ শান্ত, স্নিগ্ধ। এর আগেও এখানে এসেছিলাম, এবার একজন বিদেশি পর্যটককে সাথে করে এনেছি। আমার বিশ্বাস জায়গাটি তার ভালো লাগবে।
কাজের ফাঁকে টিলাগড় ইকোপার্ক ঘুরতে আসা ইফতেখার আহমেদ ফাগুন বলেন, এখানে বিভিন্ন ধরনের বন্যপ্রাণী রয়েছে। প্রতিদিন সিলেট শহরের বিভিন্ন শহর থেকে পর্যটকরা এখানে বেড়াতে আসে।
তিনি বলেন, এই ইকো পার্কটির ব্যবস্থাপনা অনেকটা প্রশ্নবিদ্ধ। এর মাঝ দিয়ে রাস্তা থাকায় প্রতিনিয়ত গাড়িঘোড়ার হর্ণের কারণে এর পরিবেশটা নষ্ট হচ্ছে।
নয়াশতাব্দী/এফআই
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ