নয়া শতাব্দী অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি।
রোমান সভ্যতার চিহ্ন বহনকারী প্রাচীন শহর পম্পেইয়ের নানা জায়গায় বসানো হচ্ছে অদৃশ্য সৌর প্যানেল। যাতে পরিবেশ বাঁচানোর পাশাপাশি বিদ্যুতের খরচেও রাশ টানা যায়। এরই মধ্যে পম্পেই শহরের ২টি প্রত্নতাত্ত্বিক অঞ্চলে এ কাজ শেষ হয়েছে। ইতালির নেপলসের দক্ষিণ-পূর্বে কাম্পানিয়া অঞ্চলে পম্পেইয়ের নানা নির্দশন ছড়িয়ে রয়েছে। তার কোনোটির ধ্বংসাবশেষে আবার গত কুড়ি বছর ধরে সংস্কার কাজ চলছে।
এমনই একটি হলো হাউস অব ভেট্টি। প্রাচীন রোমে পম্পেইয়ের অভিজাতদের বাস ছিল এ হাউস অব ভেট্টিতে। তবে খ্রিস্টপূর্ব ৭৯-তে মাউন্ট ভিসুভিয়াস আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতে তা নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়। দু’দশক ধরে এর ধ্বংসাবশেষে সংস্কারের কাজ করা হয়েছে। অভিজাতদের ওই শহর ছাড়াও সংস্কার করা হয়েছে হাউস অব সিরিয়ার নামে একটি জায়গায়। প্রাচীন রোমে তা স্ন্যাক্স বার হিসাবে পরিচিত ছিল।
সম্প্রতি এ দু’জায়গাই পর্যটকদের জন্য আবার খুলে দেওয়া হয়েছে। পম্পেইয়ের প্রত্নতত্ত্বিক পার্কের এ দু’জায়গায় অদৃশ্য সৌর প্যানেল লাগানো হয়েছে। সম্প্রতি একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানিয়েছেন পার্কের ডিরেক্টর গ্যাব্রিয়েল জাকট্রিয়েজেল। প্রাচীন ধ্বংসাবশেষের সঙ্গে আধুনিক প্যানেলগুলো যাতে মানানসই হয়, সে দিকেও খেয়াল রাখা হয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে গ্যাব্রিয়েল বলেছেন, ‘ওই প্যানেলগুলো দেখতে একেবারে টেরাকোটা টাইল্সের মতো, ঠিক যেমনটা রোমানরা ব্যবহার করতেন। তবে এগুলো বিদ্যুৎ উৎপাদন করে।’ ধ্বংসাবশেষের বহিরঙ্গ আলোকোজ্জ্বল করার জন্য এগুলো কাজে লাগানো হয়েছে। গ্যাব্রিয়েলের দাবি— সৌর প্যানেলগুলো বসানো হলেও পম্পেইয়ের মতো প্রাচীন শহরের ধ্বংসাবশেষের সঙ্গে সেগুলোর সাযুজ্য নষ্ট করা হয়নি বরং পটভূমির সঙ্গে মিলিয়ে এর নকশা বাছাই করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। এমনভাবে এর নকশা করা হয়েছে যাতে দর্শকের কাছে তা অদৃশ্য থাকে।
সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, পম্পেইয়ের ধ্বংসাবশেষ দেখতে প্রতি বছর প্রায় ৩৫ লাখ পর্যটক ভিড় করেন। এক কালে যা আগ্নেয়গিরির লাভায় চাপা পড়ে গিয়েছিল। প্রাচীন এ শহরটি আলোয় ভরিয়ে দিতে বিদ্যুতের খরচ কম হতো না। ফলে অপ্রচলিত পদ্ধতিতে এখানে আলো জ্বালানোর পথ নেয়া হয়েছে। পাশাপাশি, প্রচলিত উপায়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে গেলে আরও এক প্রস্ত খোঁড়াখুঁড়ির প্রয়োজন হতো, যাতে প্রত্নতাত্ত্বিক অঞ্চলগুলোর অমূল্য সম্পদ নষ্টের আশঙ্কা রয়েছে।
নয়া শতাব্দী/জেআই
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ