নয়া শতাব্দী অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি।
সোশ্যাল মিডিয়ায় মানহানিকর তথ্য প্রচারের অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় গ্রেফতারের পর কারাগারে পাঠানো হয় ঢালিউডের আলোচিত নায়িকা মাহিয়া মাহিকে। ৫ ঘণ্টা কারাবাস শেষে গাজীপুরের কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পান মাহি।
কারাগার থেকে বেরিয়ে সংবাদ সম্মেলনে স্বামীর নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি। বলেন, ‘আমার স্বামীও একই মামলার আসামি। আমি ৯ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হওয়া সত্ত্বেও যে মানবিকতা পাইনি, তাহলে আমার স্বামী দেশে আসলে তার সঙ্গে কী হবে? আমি আমার স্বামীর নিরাপত্তা নিয়ে খুবই শঙ্কিত।’
কারাগার থেকে বেরিয়ে মাহি বলেন, ‘কীভাবে আমার অনুভূতি প্রকাশ করব বুঝতেছি না। আমি আবেগে আপ্লুত। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশের ভাষা নেই আমার।’
তিনি আরও বলেন, ‘সিনেমায় অনেক শুটিং করেছি। আমি দেখেছি, কারাগারে মানুষ অনেক কষ্টে থাকে। কিন্তু আমি কারাগারের ভেতরে অনেক শান্তিতে ছিলাম।’
নায়িকা জানান, ‘বিমান থেকে নামার পর ইমিগ্রেশনের পুলিশ আমাকে কারও সঙ্গে কথা বলতে দেননি। পুরো এয়ারপোর্ট ফাঁকা হয়ে গেছে। আমার মামা কথা বলতে এসেছিলেন, তাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়ার মতো অবস্থা হয়েছিল। আমি কি এত বড় আসামি হয়ে গেছি? এত বড় আসামি তো ছিলাম না।’
মাহির ভাষ্য, ‘আমি লাইভ করেছি, একজনের বিরুদ্ধে কথা বলেছি। সে ডিজিটাল আইনে মামলা করেছে, আমি সেই মামলার আসামি। কিন্তু আমি তো কোনো রাষ্ট্রদ্রোহী না। আমি অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলেছি।’
এসময় তিনি আরও বলেন, ‘আমি কিন্তু পুলিশ প্রসাশনের বিরুদ্ধে কথা বলিনি। আমি শুধু একজন ব্যক্তির বিরুদ্ধে কথা বলেছি, মোল্যা নজরুল ইসলাম। ঢাকা অ্যাটাক সিনেমার সময় আমার অনেক পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে পরিচয় হয়েছে। তারা প্রত্যেকেই খুব নাইস পার্সন।’
নয়াশতাব্দী/এমএস
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ