নয়া শতাব্দী অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শহীদ হবিবুর রহমান হল সংলগ্ন মাঠে প্রায় প্রতিদিনই কোনো না কোনো সংগঠন, বিভাগ বা ব্যাচের নবীন বরণ, বার্ষিক বনভোজনসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠান হয়ে থাকে। অনুষ্ঠান শেষে সবাই খাবারের প্যাকেট, উচ্ছিষ্ট, কাগজপত্রসহ বিভিন্ন ময়লা সেখানে ফেলে রেখে চলে যায়। শুধু এ জায়গাতেই নয়, ক্যাম্পাসের প্রায় প্রতিটি চত্বরেই একই চিত্র। অথচ প্রতিটি চত্বরেই রয়েছে ডাস্টবিন। কিছু সচেতন শিক্ষার্থী ছাড়া সেগুলো কেউ লক্ষ্যই করে না। এভাবে যত্রতত্র ময়লা-আবর্জনা ফেলে একদিকে যেমন ক্যাম্পাসের সৌন্দর্য বিনষ্ট হচ্ছে তেমনিভাবে আবার স্বাস্থ্য-ঝুঁকিও বাড়ছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার প্রাঙ্গণ, টুকিটাকি চত্বর, পরিবহন চত্বর, ইবলিশ চত্বর, শহীদুল্লাহ’র আমবাগান, বধ্যভূমি, শহিদ হবিবুর রহমান হল সংলগ্ন মাঠসহ বিভিন্ন খেলার মাঠ, রাস্তা ও একাডেমিক ভবনের আশপাশে ডাস্টবিন থাকা সত্ত্বেও তার বাইরে কাগজ, খাবারের প্যাকেট, প্লাস্টিকের প্লেট, বোতল ইত্যাদি ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে আছে। স্টুয়ার্ট শাখা সূত্রে জানা যায়, ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে ১৭৪টি ডাস্টবিন বসানো হয়েছে। এর মধ্যে বড় ডাস্টবিন আছে ৮০টি, নীল ডাস্টবিন ৫০টি, ঝুলন্ত ৩৬টি, অস্ট্রেলিয়ান ডাস্টবিন ৮টি। এ ছাড়াও মাটির স্পষ্ট ডাস্টবিন রয়েছে ২৫ থেকে ৩০টি।
বিশ্ববিদ্যালয় রোভার স্কাউটের সাধারণ সম্পাদক হেদায়েত উল্লাহ পাঠান বলেন, আমরা চেষ্টা করি কোথাও কোনো ময়লা থাকলে সেটা পরিষ্কার করে রাখতে। কিন্তু অধিকাংশ শিক্ষার্থীই সেটা করে না। আমরা সবসময় চাই মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে। ক্যাম্পাস পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার মতো এ সাধারণ কাজটাই যদি না করতে পারি, তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো স্থান থেকে আমরা কী শিক্ষা নেব? আর এখান থেকে বেরিয়ে দেশ বা বিশ্বের জন্যই বা আমরা কী করব?
বিএনসিসি আর্মি উইংয়ের ল্যান্স কর্পোরাল প্রীতিলতা রায় সাথী বলেন, ক্যাম্পাস আমাদের বর্তমান বাসস্থান। এটি সুন্দর গোছানো রাখার দায়িত্বও আমাদের। এ প্রয়াস থেকে আমরা ক্যাম্পাসে মাঝে মধ্যেই পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা অভিযান পরিচালনা করি। এখানে আমরা উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করতে এসেছি। কিন্তু শিক্ষার মৌলিক বিষয়গুলো আয়ত্ত করতে পারিনি। ক্যাম্পাসে প্রচুর ডাস্টবিন আছে। তবুও শিক্ষার্থীরা সেগুলোতে ময়লা না ফেলে যত্রতত্র ময়লা আবর্জনা ফেলছে। এভাবে ক্যাম্পাসের পরিবেশ নষ্ট হবার পাশাপাশি সৌন্দর্যও বিনষ্ট হচ্ছে।
স্বাস্থ্যঝুঁকির বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারের প্রধান চিকিৎসক ডা. তবিবুর রহমান শেখ বলেন, যত্রতত্র ময়লা আবর্জনা পড়ে থাকলে যেমন পরিবেশ নষ্ট হয়, তেমনি এর প্রভাবে স্বাস্থ্যঝুঁকিও বাড়ে। ময়লা আবর্জনা থেকে ব্যাকটেরিয়া জন্ম নেয়। বাতাসে এরা ছড়িয়ে পড়ে এবং বিভিন্ন রোগ ছড়ায়। এছাড়া ময়লা এবং ধুলাবালির জন্য অ্যাজমা, শ্বাসকষ্ট, হাঁপানির মতো বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা বহুগুণে বেড়ে যায়।
নয়াশতাব্দী/এমএস
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ