ঢাকা, মঙ্গলবার, ২১ মার্চ ২০২৩, ৭ চৈত্র ১৪২৯, ২৮ শাবান ১৪৪৪

ঢাবিতে এখনো কেনো চালু হয়নি ‘বায়োমেট্রিক পদ্ধতি’

প্রকাশনার সময়: ১৮ মার্চ ২০২৩, ১২:০৯

দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি গণনায় ব্যবহৃত হচ্ছে ‘বায়োমেট্রিক’ হাজিরা পদ্ধতি। কিন্তু প্রাচ্যের অক্সফোর্ডখ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এখনো শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের নাম ডেকে হাজিরা খাতায় লিপিবদ্ধ করে উপস্থিতি গণনা করা হয়। কিন্তু কেনো?

‘বায়োমেট্রিক’ পদ্ধতিতে একজন শিক্ষার্থীর হাতের আঙুলের ছাপের মাধ্যমে শ্রেণিকক্ষে উপস্থিতি গণনা করা যায়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো বিভাগ/ইনস্টিটিউটে এ পদ্ধতি চালু নেই। এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো নীতিমালাও নেই। এ নিয়ে এই মুহূর্তে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো ভাবনাও নেই বলে জানিয়েছেন উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামান।

তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা বলছেন, ‘বায়োমেট্রিক’ হাজিরা পদ্ধতি চালু হলে তাঁদের অনেক সময় বেঁচে যেত। ক্লাসে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি নিশ্চিত, মনিটরিং ইত্যাদি সুবিধা পাওয়া যেত।

বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী একজন শিক্ষার্থীকে ফাইনাল পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হলে অন্তত ৭৫ শতাংশ ক্লাসে উপস্থিত থাকতে হয়। এর কম হলে তাঁকে নির্দিষ্ট কিছু অঙ্কের টাকা জরিমানা দিয়ে পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হয়। আর ৬০ শতাংশ উপস্থিতি না থাকলে শিক্ষার্থী ডিস-কলেজিয়েট হন অর্থাৎ তিনি আর পরীক্ষা দিতে পারবেন না। এ জন্য শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি গণনা একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আবার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় সব বিভাগ/ইনস্টিটিউটে কোর্সগুলোতে এই উপস্থিতির ওপর পৃথক নম্বর থাকে। এ জন্য শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি গণনা করে শতাংশ করতে হয়। আর এ কাজটি করতে অনেক সময় ব্যয় হয়।

এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক তানজীমউদ্দীন খান বলেন, শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিসহ প্রায় সব কাজই অ্যানালগ হওয়ায় শিক্ষকদের সময় চলে যায় অনেক।

এদিকে ২০১৭ সাল থেকে ‘বায়োমেট্রিক রেজিস্ট্রেশন’ পদ্ধতিতে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি গণনা করে আসছে ঢাকা কলেজ। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের ক্লাসে উপস্থিতি নিশ্চিত করা, মনিটরিং, সময় বাঁচানো, প্রক্সি দেওয়া বন্ধ করা গেছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা কলেজের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সহকারী প্রোগ্রামার এবং কলেজের ‘বায়োমেট্রিক রেজিস্ট্রেশন’ পদ্ধতির সঙ্গে যুক্ত মো. ইয়াসিন তানভীর।

এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) এ এস এম মাকসুদ কামাল নয়া শতাব্দীকে বলেন, আমরা শিগগিরই এ পদ্ধতিতে যাব।

তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামান বলেন, এই মুহূর্তে এই নিয়ে আমাদের কোনো পরিকল্পনা নেই। তবে আমরা করব।

নয়াশতাব্দী/এফআই

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ