নয়া শতাব্দী অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) 'শিক্ষক হিসেবে ড. এ.আর মল্লিক' শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ ইসমাইল হোসেন সিরাজী অ্যাকাডেমিক ভবনে এ.আর মল্লিক লেকচার হলে সভার আয়োজন করা হয়। ইতিহাস বিভাগ এর আয়োজন করে।
আজিজুর রহমান মল্লিক রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের প্রতিষ্ঠাকালীন শিক্ষক। তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাকালীন উপাচার্য ছিলেন। স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম শিক্ষাসচিব এবং বাংলাদেশ সরকারের অর্থমন্ত্রীর দ্বায়িত্ব পালন করেন।
সভায় এ. আর মল্লিকের পুত্র ফারুক হাসান মল্লিক বলেন, আমাদের পরিবার শিক্ষকতা পেশার সঙ্গে জড়িয়ে আছে। রাবিতে পাকিস্তান আমলে প্রথম বাঙালি উপাচার্য মল্লিক। মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি আমেরিকার ৩৬টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘুরে ঘুরে ফান্ড সংগ্রহ করেন। ইন্দ্রিরা গান্ধির সঙ্গে দেখা করেন ও বাংলাদেশের জন্য ফান্ড সংগ্রহ করেন। তিনি তখন ভারত, নেপাল ও ভূটানের অ্যাম্বাসেডর ছিলেন। ওই বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অনেক পোস্টার। স্যার পোস্টার লাগানোর বিরোধিতা করতেন। বিশ্ববিদ্যালয় একটি পবিত্র স্থান। বাসায় পোস্টার লাগালে যেমন ভালো লাগবে না, এখানেও ভালো লাগে না। একজন মহানুভব মানুষ ছিলেন ড. মল্লিক। শেষ বয়সে তিনি ন্যাশনাল ব্যাংকে বিনা বেতনে ১০ বছর চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন।
ইতিহাস বিভাগের জ্যেষ্ঠ অধ্যাপক আবুল কাশেম বলেন, ১৯৬৫ সালে ড. মল্লিক বিভাগ ছেড়ে যান। আমি যখন তার ছবি দেখি বা বই পড়ি তখন তার কথা মনে পড়ে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম উপাচার্য তিনি। বাঙালি মুসলমানদের ইতিহাস চর্চার ক্ষেত্রে তিনি অসামান্য অবদান রাখেন। অত্যন্ত মেধাবী ও চৌকস ছিলেন তিনি। তার নেতৃত্বের গুণাবলি ছিলো প্রকট। ধর্মে বিশ্বাসী হলেও তিনি ছিলেন সেক্যুলার। ইতিহাস বিভাগের সঙ্গে তাঁর অবিচ্ছেদ্য সম্পর্ক। তিনি ইতিহাস চর্চার পাঁয়জোর।
ইতিহাস বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক মাহমুদা খাতুন বলেন, বাংলাদেশে ঐতিহ্যবাহী রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়। আর ইতিহাস বিভাগের সবচেয়ে পুরোনো একটা বিভাগ। এই বিভাগের সাথে জড়িয়ে আছেন এ. আর মল্লিক স্যার। আমার বাবা এই বিভাগের শিক্ষক ছিলেন। বাবার কাছে শুনেছি, তিনি শিক্ষক হিসেবে ছিলেন অসাধারণ। তিনি শিক্ষক-ছাত্রদের স্বার্থ রক্ষায় সর্বদা কাজ করে গেছেন। তিনি নিজেই শুধু একজন শিক্ষক না, শিক্ষক তৈরির কারখানা। দেশের প্রথিতযশা অনেক শিক্ষকের তিনি জন্ম দিয়েছেন।
আলোচনা সভায় সঞ্চালনা করেন ইতিহাস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক গোলাম সারওয়ার। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বিভাগের অধ্যাপক শফিউল আলম, অধ্যাপক মর্ত্তুজা খালেদ, অধ্যাপক শেরেজ্জামান, অধ্যাপক সাইখুল ইসলাম মামুন জিয়াদ, অধ্যাপক ফেরদৌসী খাতুন, সহযোগী অধ্যাপক হোসেনে আরা খানম, সাহিনা আক্তার, হেলাল উদ্দিন এবং নজরুল সঙ্গীতশিল্পী ও ফারুক হাসান মল্লিকের সহধর্মিণী সাদিয়া আফরোজ। এছাড়াও বিভাগের দুই শতাধিক শিক্ষার্থী আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন।
নয়াশতাব্দী/এফআই
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ