ঢাকা, শুক্রবার, ২৪ মার্চ ২০২৩, ১০ চৈত্র ১৪২৯, ১ রমজান ১৪৪৪

পবিপ্রবিতে আন্তর্জাতিক ক্লাইমেট স্মার্ট অ্যাগ্রিকালচার কনফারেন্স

প্রকাশনার সময়: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ২১:১৭

জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সৃষ্ট চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার লক্ষ্যে ক্লাইমেট স্মার্ট অ্যাগ্রিকালচার ফর রেজিলেন্ট কোস্টাল বাংলাদেশ প্রকল্পের আয়োজনে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পবিপ্রবি) দুদিনব্যাপী আন্তর্জাতিক ক্লাইমেট স্মার্ট এগ্রিকালচার কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের কনফারেন্স রুমে সকাল ১০টা থেকে উপাচার্য প্রফেসর ড. স্বদেশ চন্দ্র সামন্ত'র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কনফারেন্সে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সম্মানিত সদস্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর। অন্যান্য অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশে নিযুক্ত নেদারল্যান্ডসের ডেপুটি অ্যাম্বাসেডর মি. থুইস ওরসা, প্রকল্পের বাংলাদেশ অংশের পরিচালক প্রফেসর ড. মো. আলমগীর কবির, প্রকল্প সমন্বয়কারী প্রফেসর ড. মো. ইকতিয়ার উদ্দিন, নেদারল্যান্ড অংশের প্রকল্প পরিচালক প্রফেসর ড. ফুলকো লুডউইগ প্রকল্প সমন্বয়কারী মিস ক্যাথরিন।

কনফারেন্সে মূল প্রবন্ধ বক্তা ছিলেন, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের সাবেক চেয়ারম্যান ড. ওয়ায়েস কবির, নেদারল্যান্ডসের ওয়াগেনিংগেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. ফুলকো লুডউইগ, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. সালমা বেগম, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. এম. জি মোস্তফা আমিন।

প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর বলেন, বিশ্ব জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাংলাদেশ একটি গুরুতর চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে, যা লাখ লাখ মানুষের জীবিকাকে প্রভাবিত করছে। বিশেষ করে যারা কৃষি, মৎস্য খাতে নিয়োজিত। অনাকাঙ্ক্ষিত আবহাওয়ার ধরন, ক্রমবর্ধমান তাপমাত্রা এবং ক্রমবর্ধমান বৃষ্টিপাতের কারণে জলবায়ু পরিবর্তন হচ্ছে। যা ফসলের ফলন, খাদ্য নিরাপত্তা এবং গ্রামীণ জীবনযাত্রার উপর বিরূপ প্রভাব ফেলছে।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ একটি সমৃদ্ধ কৃষি ঐতিহ্যের দেশ। সরকার, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং বেসরকারি খাত সবাই মিলে এমন সমাধান খুঁজে বের করার জন্য কাজ করছে, যা আমাদের একটি টেকসই এবং স্থিতিস্থাপক কৃষি খাতের লক্ষ্য অর্জনে সাহায্য করতে পারে। কনফারেন্সে উল্লেখ করা হয়েছে যে কীভাবে স্থানীয় সম্পদ এবং প্রযুক্তি ব্যবহার করে পরিবেশগতভাবে সুস্থ অ্যাগ্রিকালচার উন্নয়ন করা যেতে পারে।

সভাপতির বক্তব্যে উপাচার্য প্রফেসর ড. স্বদেশ চন্দ্র সামন্ত বলেন, ‘জলবায়ু সংকট মোকাবেলায় ক্লাইমেট স্মার্ট অ্যাগ্রিকালচার বর্তমানে একটি যুগোপোযোগী উদ্যোগ। জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে আমাদের কৃষি উৎপাদন বাড়াতে হবে। ক্লাইমেট স্মার্ট অ্যাগ্রিকালচার বাস্তবায়নে আমাদের সকলকে সম্মিলিত কাজ করতে হবে। কৃষক পর্যায়ে এই ধারণা বাস্তবায়নে সরকারি, বেসরকারি উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। কনফারেন্সে দেশি বিদেশি শতাধিক গবেষকগণ অংশগ্রহণ করেন।

নয়াশতাব্দী/এফআই

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ