নয়া শতাব্দী অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি।
আধুনিক নগর সভ্যতা মানুষের হৃদয়বৃত্তির ওপর এমনভাবে চেপে বসেছে যে, মানুষের মাঝে দিন দিন হৃদয়হীনতা ও নিষ্ঠুরতা প্রকাশ পাচ্ছে। তবে ভালোবাসার বিশালতা মানুষের হৃদয়ে প্রভাব ফেলে। বলা হয়, মানুষ জন্ম নেয় অসীম ভালোবাসার ক্ষমতা নিয়ে। কলকব্জার এই যুগেও এমন কিছু মানুষ থাকেন যারা ভালোবাসা ছড়িয়ে দেন সবখানে, সকল প্রাণে। ভালোবাসা কেবল ব্যক্তি থেকে ব্যক্তিতে হবে এমন ধারণা থেকে বের হয়ে কিছু মানুষ প্রকৃতির প্রতি সহমর্মিতার হাত বাড়ান। তেমনই কিছু মানুষ কাজ করবেন সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাধিকার সংগঠনটিতে।
সংগঠনটি প্রতিবছরের মতো প্রাণিদের প্রতি তাদের ভালোবাসা জানাতে এবারেও বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে ‘পাখিদের প্রতি ভালোবাসা’ নামক কর্মসূচি পালন করেছে।
মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে বিশ্ব ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে প্রাধিকার ‘পাখিদের প্রতি ভালোবাসা’ কার্যক্রমের আওতায় বিশ্ববিদ্যালয়ের আশপাশের বিভিন্ন টিলা ও অরণ্যে পাখিদের নিরাপদ আশ্রয় ও বিশ্রামের জন্য গাছের উঁচু ডালে মাটির কলস বেঁধে পাখিদের জন্য বাসা তৈরি করেছে।
এ সময় প্রাধিকারের বর্তমান কার্যনির্বাহী কমিটির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ অন্যান্য সদস্যদের কাজ করতে দেখা যায়। তাদের প্রত্যাশা, সকলের সচেতনতা, আগ্রহ এবং স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের মাধ্যমে পাখি তথা সকল প্রাণীর প্রতি ভালোবাসা এভাবেই সর্বত্র ছড়িয়ে পড়বে এবং এরূপ কার্যক্রম প্রাণীদের প্রতি ভালোবাসার সোনালি প্রমাণ হয়ে থাকবে।
প্রাধিকারের সভাপতি কানন তালুকদার বলেন, প্রতিবছরই এই কার্যক্রম করে থাকি। মূলত পাখির নিরাপদ আবাস্থল গড়ে তুলতে এবং ঝড়-বৃষ্টিতে পাখীদের নিরাপদ আশ্রয় নিশ্চিত করতে এ ধরনের কর্মসূচি পালন করে থাকি। এছাড়াও জীববৈচিত্র্য রক্ষা করতে তারা ধারাবাহিকভাবে কাজ করে যাবেন বলে জানান তিনি।
সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক মো. আরিজ আহম্মেদ সাদ বলেন, ২০১২ সাল থেকে প্রাধিকার প্রাণি অধিকার সংরক্ষণে কাজ করে যাচ্ছে। জীববৈচিত্র্য রক্ষায় প্রতিবছর বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির পাশাপাশি বিশ্ব ভালোবাসা দিবসের মাহাত্ম্য ছড়িয়ে দিতে পাখির জন্য বিশেষভাবে এই কর্মসূচিটি পালন করি। আশা করি, সবাই জীববৈচিত্র্য রক্ষায় সচেতন হবেন।
২০১২ সাল থেকে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগঠন প্রাধিকার প্রাণী অধিকার নিশ্চিতে ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে কাজ করে যাচ্ছে। এর আগেও অজগর সাপ, বিরল প্রজাতির গন্ধগকুল, ঈগলসহ বিভিন্ন বন্যপ্রাণী উদ্ধার করে পরবর্তীতে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বন্য পরিবেশে মুক্ত করে তারা। প্রাণী বাঁচুক, পৃথিবী বাঁচুক স্লোগান নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে স্বেচ্ছাসেবী এই সংগঠনটি।
নয়াশতাব্দী/এফআই
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ