নয়া শতাব্দী অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি।
ফাগুনের প্রথম দিনে রক্তঝরা পলাশের সাজে প্রকৃতিতে আবির্ভাব হয় ঋতুরাজ বসন্তের। শীতের কুয়াশার চাদর ছিঁড়ে প্রকৃতিতে এসেছে এ ঋতু। ষড়ঋতুর এই দেশে বসন্তকে বলা হয় ‘ঋতুর রাণী’। এই ঋতুতে বৃক্ষরাজি সাজে নতুন রূপে আর প্রকৃতিতে মিলে ভিন্ন এক সৌন্দর্য। মাঘের জড়তা ভেঙে প্রকৃতিতে উপস্থিত হয়েছে ঋতু রাণী। আর রাণীকে বরণ করতে উঁচু গাছের মগডালে বসে সুরেলা কণ্ঠের সারাদিন কুহু কুহু করে ডাকে কোকিল। গাছে গাছে কোকিলের ডাক জানান দেয় বসন্তের। বসন্তের এই আগমনে প্রকৃতির সঙ্গে দোলা লেগেছে লাল মাটির ক্যাম্পাস কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে।
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় ঋতু পরিবর্তনের এই মাসে নিজেকে সাজিয়েছে গোলাপ, গাঁধা, রজনীগন্ধা সহ হরেক রকম ফুলে। তবে এগুলো পাশাপাশি দেখা মিলেছে রক্তিম পলাশ ফুলের। বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস গেইট পার করলেই দেখা মিলে সৌন্দর্য বর্ধক এসকল ফুলের। বাহারি রকম ফুলে আবদ্ধ আছে গোল চত্বর। প্রশাসনিক ভবন সহ আনাচে-কানাচে দেখা যায় বর্নীল ফুলের উপস্থিতি। সারাদিন ফুলের ছোয়া নিতে দেখা যায় ক্যাম্পাসের নারী শিক্ষার্থীদের। পাশাপাশি সন্ধ্যা নামার সাথে সাথে এই সকল ফুল থেকে সুগন্ধির সন্ধান মিলে নিশ্বাসে-প্রশ্বাসে। যা কেড়ে নিবে যে কারোর মন।
তবে পলাশ ফুলের সন্ধান পেতে হলে যেতে হবে বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের দক্ষিণ-পূর্ব পাশে। এখানে দেখা মিলে সবুজ কচি পাতার মাঝে ফুটন্ত পলাশের। দক্ষিণের মিষ্টি হাওয়া দুলতে থাকে রাঙানো পালাশের ডালপালা। আর প্রতিনিয়ত পড়ন্ত পাপড়িতে ডেকে যায় লাল মাটির ধুলো কণা।
ফাগুনের প্রথম দিনে রক্তজরা পলাশের সাজে আর্বিভাব হয় বিশ্ব ভালবাসা দিবসের। ভালোবাসা দিবস ভিনদেশী সংস্কৃতি থেকে আসলেও, ফাল্গুন একান্তই আমাদের বাঙালী উৎসব। একদিকে ফাগুনের রঙে হলুদ-বাসন্তী সাজ, আরেকদিন ভালোবাসার আবিরমাখা লাল টুকটুকে সাজ। ক্যাম্পাস ঘুরে দেখা যায় প্রিয় মানুষের সাথে ভালোবাসা দিবস উদযাপনের বহিঃপ্রকাশ।
নয়াশতাব্দী/এমএস
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ