ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৩ মার্চ ২০২৩, ৯ চৈত্র ১৪২৯, ৩০ শাবান ১৪৪৪

কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে গুরুত্বহীন কৃষিবিদ দিবস

প্রকাশনার সময়: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ২০:৫২

নিয়ম রক্ষায় এই আয়োজন, দিবস পালন করতে হবে তাই করা। শিক্ষার্থী ছাড়া কয়েকজন শিক্ষক আর প্রশাসনের কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারী মিলে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শেকৃবি) উৎযাপন করেছে কৃষিবিদ দিবস।

১৩ ফেব্রুয়ারি সারাদেশের কৃষিবিদ, কৃষি সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান ও কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় গুলো জাঁকজমক ভাবে দিবসটি পালন করে থাকে। কিন্তু এবারের কৃষিবিদ দিবসের কর্মসূচি নিয়ে শেকৃবিতে সমালোচনা সৃষ্টি হয়েছে।

সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) শেকৃবি প্রশাসনের আয়োজনে উপাচার্য, ট্রেজারার, ছাত্র পরামর্শক, প্রক্টরসহ বিভাগের কয়েকজন শিক্ষক এবং প্রশাসনের কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারী মিলে দিবসটি পালন করেন।

দিবসটি উপলক্ষ্যে সোমবার সকাল সাড়ে ১০ টায় প্রশাসনিক ভবনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুস্পার্ঘ অর্পণ করা হয় এরপর প্রোগ্রামে অংশগ্রহণকারীদের অভাবে আনন্দ র‍্যালি শুরু হতে বিলম্ব হয়। পরে মাত্র ৫০-৬০জন নিয়ে আনন্দ র‍্যালি অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে শিক্ষার্থী ছিল মাত্র ৫/৬জন। অথচ প্রোগ্রাম চলাকালীন সময়ে ক্লাসে শিক্ষার্থীরা, চলছে পরিক্ষাও। অংশগ্রহণ করেনি বিশ্ববিদ্যালয়টির বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোর সদস্যরাও।

কৃষিবিদ দিবসে এমন আয়োজন ও অংশগ্রহণের চিত্র হতাশাজনক বলে মন্তব্য করছেন সংশ্লিষ্টরা। তারা বলেন, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় হলো কৃষিবিদ তৈরির কারখানা, সেখানে দিবসটি ভালোভাবে পালিত না হওয়া লজ্জাজনক। বিশ্ববিদ্যালয়টির একাধিক সামাজিক সংগঠনের সাথে কথা বলে জানা যায়, ছাত্র পরামর্শ অফিস থেকে জানানো হলেও ক্লাস-পরীক্ষা চালু থাকায় তারা অংশ নিতে পারেননি।

বিশ্ববিদ্যালয়টির একাধিক সামাজিক সংগঠনের দায়িত্বশীলদের সাথে কথা বলে জানা যায়, ছাত্রপরামর্শ অফিস থেকে জানানো হইছে তবে ক্লাস-পরিক্ষা চালু থাকায় তারা অংশ নিতে পারেনি, একদিকে প্রোগ্রাম অপরদিকে ক্লাস-পরিক্ষা রাখলে আমরা কি করবো, প্রশ্ন ছুড়ে দেন তারা।

তারা আরও বলেন, এটা টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটি, ক্লাস-পরিক্ষার চাপ এমনিতেই অনেক বেশি, এসব বিশেষ দিবস গুলোতে ক্লাস-পরিক্ষা চললে আমরা তো আর পরিক্ষা বাদ দিয়ে প্রোগ্রামে অংশ নিতে পারিনা। তাছাড়া দিবস উপলক্ষ্যে আমাদের কোন বাজেটও দেওয়া হয় না।

ক্লাস-পরীক্ষা থাকায় এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে স্বীকার করে বিশ্ববিদ্যালয়টির ছাত্রপরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগের পরিচালক অধ্যাপক মো. ফরহাদ হোসেন বলেন, আমরা পরবর্তীতে বিষয়গুলো মাথায় রাখবো। তাছাড়া কেএইবিতে (কৃষিবিদ ইন্সটিটিউট বাংলাদেশ) প্রোগ্রাম থাকায় সবাই ঐদিক নিয়ে ব্যস্ত।

নয়াশতাব্দী/এমএস

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ