ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৮ মার্চ ২০২৩, ১৪ চৈত্র ১৪২৯, ৫ রমজান ১৪৪৪

গুচ্ছে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত ইবি শিক্ষক সমিতির

প্রকাশনার সময়: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ২০:২৪

গুচ্ছ ভর্তি প্রক্রিয়ায় নানা ধরণের অব্যবস্থাপনা, দীর্ঘসূত্রিতা ও শিক্ষার্থীদের ভোগান্তির অভিযোগ করে ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষ হতে গুচ্ছভুক্ত ভর্তি পদ্ধতিতে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি।

শনিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সংগঠনটির কার্যনির্বাহী সভায় তারা এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেন, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. তপন কুমার জোদ্দার, সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. পরেশ চন্দ্র বর্মন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. শাহাদাৎ হোসেন আজাদ ও কোষাধ্যক্ষ ড. আব্দুল্লাহ আল মাসুদ। এছাড়াও সমিতির অন্যান্য কার্যনির্বাহী সদস্যরা সভায় উপস্থিত ছিলেন।

জানা যায়, গত বছরের ৩০ জুলাই থেকে ২০ আগস্ট পর্যন্ত গুচ্ছের অধীনে তিন ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার মধ্য দিয়ে গুচ্ছ ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হয়। এরপরে ছয় মাস পার হয়ে গেলেও এখনো সে প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা সম্ভব হয়নি। এ দীর্ঘসূত্রিতার ফলে যেমন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বকীয়তা নষ্ট হচ্ছে, তেমনি শিক্ষার্থীরা অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের চেয়ে পিছিয়ে পড়ছে বলে অভিযোগ সংশ্লিষ্টদের। তাই ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষ হতে গুচ্ছ ভর্তি পদ্ধতি থেকে বেরিয়ে এসে সতন্ত্রভাবে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত তাদের।

এ বিষয়ে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. তপন কুমার জোদ্দার বলেন, গুচ্ছ প্রক্রিয়ায় নানান অব্যবস্থাপনা ও সংকটের বিষয়গুলো আমলে নিয়ে সভায় কার্যনির্বাহী সদস্যদের সকলেই নিজস্ব পদ্ধতিতে পরীক্ষা নেওয়ার পক্ষে মত দিয়েছেন। খুব দ্রুতই বিষয়টি চিঠি আকারে উপাচার্যকে জানানো হবে। এছাড়া সভায় শিক্ষার্থী বান্ধব প্রক্রিয়ায় যত দ্রুত সম্ভব ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি কার্যক্রম শুরু করতে পরবর্তী অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল সভায় সিন্ধান্ত গ্রহণের জন্য উপাচার্যকে পত্র প্রেরণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, এর আগেও তারা ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষ হতে গুচ্ছ থেকে বেরিয়ে আসার দাবি করেন। তাদের এ দাবি পূরণ না হলে ভর্তি কার্যক্রমে অংশগ্রহণ না করারও হুমকি দেন তারা। পরে বিভিন্ন বিষয় বিবেচনা করে শর্ত সাপেক্ষে তারা গুচ্ছতে অংশগ্রহণ করেন। কিন্তু তাদের শর্ত পূরণ না হওয়ায় ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষ থেকে তারা গুচ্ছ থেকে বেরিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নেন।

নয়াশতাব্দী/এমএস

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ