নয়া শতাব্দী অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি।
দেখতে দেখতে ৫০ বছরে কৃষিবিদ দিবস। দিবসটি কৃষিবিদদের জন্য অত্যন্ত সম্মানের। ১৯৭৩ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি কৃষিবিদদের সরকারি চাকরিতে প্রবেশের সময় প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তার মর্যাদা দেওয়ার ঘোষণা দেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। দিনটি স্মরণীয় করে রাখতে ২০১০ সাল থেকে প্রতি বছর ১৩ ফেব্রুয়ারি কৃষিবিদ দিবস হিসেবে পালন করছে বাংলাদেশ কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন।
আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারিতে দিবসটি ৫০ বছরে পা রাখতে চলেছে। দিবসটির ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ভাবনা তুলে ধরেছেন দৈনিক নয়া শতাব্দীর বাকৃবি প্রতিনিধি তানিউল করিম জীম।
বঙ্গবন্ধুর হাত ধরেই কৃষিতে অবারিত সাফল্য
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের যুগান্তকারী সিদ্ধান্তের কারণেই কৃষিতে অবারিত সাফল্য এসেছে। কৃষিবিদদের প্রথম শ্রেণির পদমর্যাদা দেওয়ার কারণেই মেধাবীরা কৃষির সঙ্গে যুক্ত হতে শুরু করেন। তাদের গবেষণা ও উদ্ভাবনের কারণেই দেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। দেশের কৃষি, কৃষক ও কৃষিবিদদের সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর নিবিড় সম্পর্কের কথা কারও অজানা নয়। তাই তো শত ব্যস্ততার মধ্যেও মমতার টানে সেদিন তিনি ছুটে এসেছিলেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে। এটিই ছিল বাকৃবিতে বঙ্গবন্ধুর প্রথম ও শেষ সফর। বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক সেই সফর আজও কৃষিবিদদের মায়ার বন্ধনে আবদ্ধ করে রেখেছে।
কৃষিবিদ সমাজ ঐতিহাসিক এ দিনের অপরিসীম গুরুত্ব ও মর্যাদাকে স্মরণীয় করে রাখতে প্রতিবছর ১৩ ফেব্রুয়ারিকে কৃষিবিদ দিবস হিসেবে পালন করা হয়। বঙ্গবন্ধুর আগমনের মধ্য দিয়েই এ দেশে কৃষিশিক্ষা ও কৃষিবিদদের যথাযথ গুরুত্ব, সামাজিক সম্মান ও প্রথম শ্রেণির পদমর্যাদা এবং কৃষির নতুন অভিযাত্রা সূচিত হয়েছিল। দেশের খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা বিধানে কৃষিবিদদের কাছে সঙ্গত কারণেই দেশবাসীর প্রত্যাশা অনেক বেশি।
জাতীয় ও আন্তর্জাতিক উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় প্রত্যাশিত গতিবেগ সঞ্চারে অতীতের মত বর্তমানের কৃষি গ্র্যাজুয়েটবৃন্দ অসামান্য অবদান রাখবে সে প্রত্যাশা রাখছি।
আবুল বাশার মিরাজ
শিক্ষার্থী, পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগ
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ।কৃষি ও কৃষককে স্মার্ট বাংলাদেশের আওতাভুক্ত করতে হবে
কৃষিবিদ দিবস -এই দুইটি শব্দ খুব সহজেই একসঙ্গে উচ্চারণ করা যায়। কিন্তু এই শব্দ দুটির ভাবার্থ যে কতটা গভীর তা আমাদের মত কৃষিবিদদের জন্য প্রকাশ করা অবর্ণনীয়। তবুও ক্ষুদ্র পরিসরে মনের অব্যক্ত কিছু কথার মাধ্যমে সবাইকে এই দিবসটির শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। দিবসটির এবার ৫০তম বছরে পা রাখছে। এই ৫০ বছরে অনেক কিছুরই পরিবর্তন ঘটেছে। দেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। আগে যেখানে পরিমাণের উপর জোর দেওয়া হতো সেখানে এখন দেশের প্রয়োজন অনুযায়ী কৃষিবিদরা পরিমাণের সাথে সাথে গুণমানের উপর নজর দিচ্ছে। দেশ ডিজিটাল রুপরেখা থেকে বেড়িয়ে স্মার্ট বাংলাদেশে রুপান্তরের প্রচেষ্টায় অবিচল। সেই অবস্থায় এই দেশের কৃষি ও কৃষককে স্মার্ট বাংলাদেশের আওতায় উদ্বুদ্ধ করতে দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে কৃষিবিদরা এই দিনটি উদযাপন করতে যাচ্ছে।
তাই দিবসটিতে সকল কৃষিবিদদের কাছে আহবান থাকবে তারা যেন নিজ নিজ জায়গা থেকে কৃষকদের আরও নিকটে পৌঁছায়। এতে আন্তরিকতা এবং ভালবাসার মাধ্যমে সকলের প্রচেষ্টায় দেশের কৃষি নির্ভর অর্থনীতি অনন্য উচ্চতায় অধিষ্ঠিত হবে। শেখ হাসিনার সোনার বাংলাদেশ বিনির্মাণে যে যাত্রা তাতেও আমাদের কৃষিবিদেরা কৃষি নির্ভর অর্থনীতি নিয়ে শামিল হোক।
ইসরাত জাহান রিজা
শিক্ষার্থী, কৃষিতত্ত্ব বিভাগ
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ।দেশে কৃষিভিত্তিক গবেষণা হয় সবচেয়ে বেশি
ঠিক এমন একটি সময়ে কৃষিবিদ দিবসের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করতে যাচ্ছি, যখন আমি কৃষি শিক্ষার আঁতুরঘর বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের একদম সদ্য পাসকৃত একজন কৃষিবিদ। কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির পর থেকেই সবার আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকে কবে কৃষিবিদ হবে। বহু ত্যাগ তিতিক্ষা, পরিশ্রম ও চার-পাঁচ বছর সাধনার ফল হলো এক একজন কৃষিবিদ।
কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে প্রত্যেক কৃষিবিদের জীবনেই কৃষিবিদ দিবস আলাদা গুরুত্ব বহন করে। বঙ্গবন্ধু যথার্থই বুঝেছিলেন, কৃষিনির্ভর এ দেশে কৃষিবিদদের প্রথম শ্রেণির পদমর্যাদায় উন্নীত করার মাধ্যমে তিনি মেধাবী শিক্ষার্থীদের এ সেক্টরে আসার পথ সুগম করলেন। দেশে কৃষিভিত্তিক গবেষণা হয় সবচেয়ে বেশি। গবাদি পশু-পোল্ট্রির রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি ও আমিষের চাহিদা নিশ্চিতকরণ এবং পোষাপ্রাণি সহ জুয়োনোটিক রোগ বিষয়ক সচেতনতা, নানা রকম ফসলি উদ্ভিদ ও জাত উৎপাদন, মৎস্য প্রজনন ও বহুবিধ প্রক্রিয়াজাত পণ্য তৈরি, কৃষিভিত্তিক আধুনিক যন্ত্রপাতি উদ্ভাবন, কৃষি বিপণন ও টেকসই বাজার ব্যবস্থা প্রভৃতি নানারকম গবেষণা প্রতিনিয়ত চলছেই।
কৃষিভিত্তিক সেক্টরগুলো ছাড়াও দেশের সর্বক্ষেত্রেই ছড়িয়ে রয়েছে কৃষিবিদরা। কোথায় নেই আমাদের অগ্রজরা? প্রশাসন, পুলিশ, ব্যাংক, ডিফেন্স প্রভৃতি সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা থেকে শুরু করে বিদেশেও উচ্চশিক্ষা, গবেষণা, শিক্ষকতায় নিয়োজিত রয়েছে হাজার হাজার কৃষিবিদ। সত্যিই গর্ব হয়, এ কৃষিবিদ পরিবারের একজন সদস্য হতে পেরে।
ডা. মাশশারাত মালিহা
শিক্ষার্থী, ভেটেরিনারি অনুষদ
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ।বেঁচে থাকলে বঙ্গবন্ধু আজ বলতেন, তোরা আমার মান রেখেছিস
১৩ ফেব্রুয়ারী, ১৯৭৩। ঐতিহাসিক এইদিনে দেশের হাজারো কৃষিবিদের মন আনন্দে উদ্বেলিত হয়েছিল কোন বসন্তের আগমনে নয়, বরং জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে আগমন উপলক্ষে। সে আনন্দকে ইতিহাসে পরিণত করে বঙ্গবন্ধু কৃষিবিদদের প্রথম শ্রেণির মর্যাদা দিয়েছিলেন।
তিনি বলেছিলেন, আন্দোলন করছিস বলে আমি দাবি মেনে নিলাম তা নয়, আমি চাই ভালো ছাত্রছাত্রীরা কৃষি পড়ুক আমি তোদের দাবি মেনে নিলাম তোরা আমার মান রাখিস।
বঙ্গবন্ধুর এই ঘোষণাই প্রমাণ করে কৃষিবিদদের প্রথম শ্রেণির মর্যাদাদান কোন আন্দোলনের চাপ বা দয়া-দক্ষিণা ছিল না। বরং ছিল সময়ের প্রয়োজন। আর বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞানমনস্ক ও আধুনিক রাষ্ট্রনায়ক ছিলেন বলেই অবলীলায় সেই প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেছিলেন। বঙ্গবন্ধু বড় আশা নিয়ে বলেছিলেন, 'তোরা আমার মান রাখিস'। তাঁর মান রাখতে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছে এদেশের লক্ষাধিক কৃষিবিদগন। আর সেই পরিশ্রমের সুফল ভোগ করছে সমগ্র জাতি। বাংলাদেশ আজ পাট চাষে দ্বিতীয়, পাট রপ্তানিতে প্রথম, ইলিশ উৎপাদনে প্রথম, মাছ চাষে তৃতীয়, ধান উৎপাদনে তৃতীয়, সবজি উৎপাদনে তৃতীয়। বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক সেই ঘোষণার পঞ্চাশ বছর পূর্ণ হচ্ছে এবার।
বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে নিশ্চয় আজ ছুটে আসতেন কৃষি শিক্ষার সূতিকাগার বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে। হয়তো আবেগী হয়ে বলতেন, তোদের সেরা ঘোষণা করে আমি কোন ভুল করিনি। তোরা আমার মান রেখেছিস!
এ জেড এম বর্নী
শিক্ষার্থী, মাৎস্য বিজ্ঞান অনুষদ
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ।কৃষিবিদদের নিরলস পরিশ্রমে বাংলাদেশ কৃষিতে স্বয়ংসম্পূর্ণ
কৃষিই কৃষ্টি। এই সংস্কৃতি বাঙ্গালীর কোন অধুনা সংস্কৃতি নয়। প্রাচীন এ সংস্কৃতির উন্নয়নের সারথি কৃষিবিদরা। যাদের নিরলস পরিশ্রমে আজ বাংলাদেশ কৃষিতে স্বয়ংসম্পূর্ণ। তাদের হাত ধরে আজকের কৃষি ও কৃষক বিপ্লবের সাক্ষ্যি হয়েছে। আর এই বিপ্লবের দ্বার উন্মোচিত হয়েছিল ১৩ ফেব্রুয়ারি ১৯৭৩ সালে বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাত ধরে।
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সবুজ চত্বরে দাঁড়িয়ে তিনি কৃষিবিদদের প্রথম শ্রেণির পদমর্যাদা দিয়েছিলেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে এই দিনটিকে আমরা কৃষিবিদ দিবস হিসেবে পালন করে আসছি। এবার কৃষিবিদ দিবসের ৫০ বছর পূর্তি। যারা আমাদের এই অসামান্য প্রাপ্তিতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছিলেন তারা হলেন, আবুল ফয়েজ কুঠুরী (প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, বাকৃবি ছাত্রলীগ, ১৯৬৮), ইঞ্জিনিয়ার রহমতুল্লাহ (প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক, বাকৃবি ছাত্রলীগ, ১৯৬৮), নজিবুর রহমান (সভাপতি, বাকৃবি ছাত্রলীগ ও তৎকালীন বাকসু ভিপি, ১৯৭২-৭৩) এবং কৃষি মন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক (সাধারণ সম্পাদক, বাকৃবি ছাত্রলীগ ও তৎকালীন জি.এস. ১৯৭২-৭৩)।
এই সুবর্ণ জয়ন্তীতে আমরা বাকৃবি পরিবার তাদের জানাই অতল শ্রদ্ধা, সম্মান এবং ভালবাসা। আজকে কৃষিবিদরা যে সম্মান পেয়েছে সে জন্যে বাঙ্গালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি আমরা চিরকৃতজ্ঞ।
কামরুল ইসলাম সৌমিক
শিক্ষার্থী, কৃষি অনুষদ
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ।কৃষিবিদদের হাত ধরেই হবে কৃষি বিপ্লব
১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ কৃষিবিদ দিবসের সুবর্ণ জয়ন্তী। এই দিনেই ঠিক ৫০ বছর জাতির পূর্বে ১৯৭৩ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষিবিদদের প্রথম শ্রেণির পদমর্যাদা প্রদান করেন। যা ছিল কৃষির উন্নয়নে সুদূরপ্রসারী এবং যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত। কারণ তিনি জানতেন যুদ্ধ বিধ্বস্ত কৃষিপ্রধান এ দেশের উন্নয়ন কৃষি, কৃষক এবং কৃষিবিদ ছাড়া সম্ভব নয়।
কৃষিবিদদের প্রথম শ্রেণীর পদমর্যাদা প্রদানকালে তিনি বলেছিলেন, আন্দোলন করেছিস বলে আমি তোদের দাবি মেনে নিলাম তা নয়, আমি চাই ভালো ছাত্রছাত্রী কৃষিতে পড়ুক তাই আমি তোদের দাবি মেনে নিলাম, তোরা আমার মান রাখিস।
বঙ্গবন্ধুর এমন পদক্ষেপ কৃষক ও কৃষিবিদদের কাজের স্পৃহা আরো বাড়িয়ে দিয়েছিল। তাই আজ বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। বিগত ৫০ বছরে কৃষিতে অবদান বেড়েছে প্রায় ৬ গুণ। ১৯৭১-৭২ সালে দেশে খাদ্য ঘাটতির পরিমাণ ছিল ৩১ লাখ টন যা বর্তমানে মাত্র ১৪ লাখ টন।
করোনার কারণে বিগত দুই বছরে জিডিপিতে অন্যান্য খাতগুলোর অবদান কমলেও কৃষি খাতের অবদান মোটেও কমেনি। এ সকলের মূলেই রয়েছে বঙ্গবন্ধুর দেওয়া কৃষক-কৃষিবিদের প্রতি অনুপ্রেরণা ও সম্মান। তবে বর্তমানে জিডিপিতে কৃষির অবদান যতসামান্য। যদি কৃষি গবেষণা, কৃষি প্রযুক্তি এবং কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর একযোগে কাজ করে তবেই কৃষি, কৃষক এবং কৃষিবিদদের হাত ধরে হবে কৃষি বিপ্লব।
মোছা. জান্নাতুন ফিজা
শিক্ষার্থী, কৃষি অনুষদ
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ।নয়াশতাব্দী/এমএস
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ