বুধবার, ২২ মার্চ ২০২৩, ৮ চৈত্র ১৪৩০

পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ, দাম বাড়ার শঙ্কা

প্রকাশনার সময়: ১৫ মার্চ ২০২৩, ২৩:৪০

রোজার কয়েকদিন আগেই দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ হচ্ছে। এই সিদ্ধান্তে কৃষকেরা খুশি হলেও ক্রেতা-ভোক্তারা আছেন অস্বস্তিতে। অনেকে মনে করছেন, রোজা সামনে রেখে সিন্ডিকেটের হাত ধরে দেশে পেঁয়াজের বাজার অস্থিতিশীল হয়ে উঠতে পারে। এতে পেঁয়াজের দাম বাড়ার আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

বুধবার (১৫ মার্চ) থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি শেষ হয়েছে। তাই আসন্ন রোজার মাসের জন্য পেঁয়াজ আমদানির সময়সীমা বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন আমদানিকারকরা।

এদিকে বুধবার হিলির স্থানীয় বাজারে বাড়তে শুরু করেছে পেঁয়াজের দাম। আগে ভারত থেকে আমদানিকৃত পেঁয়াজ প্রতি কেজি পাইকারি ১৯ থেকে ২০ টাকা বিক্রি হলেও এক দিনের ব্যবধানে সেই পেঁয়াজ ২০ থেকে ২২ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। এতে কেজিপ্রতি বেড়েছে এক থেকে দুই টাকা।

হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারকরা বলছেন, পেঁয়াজ আমদানির অনুমতিপত্র সরকার বন্ধ করলে দাম হাতের নাগালের বাইরে চলে যাবে। যে পেঁয়াজ আসছে এগুলো আগের আইপি করা। নতুন করে আমদানির অনুমতিপত্র না দিলে রোজার মধ্যে বাজার অস্থিতিশীল হয়ে যাবে। ফলে কিছু ব্যবসায়ী এর সুযোগ নেবে।

হিলি আমদানি-রফতানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশীদ হারুন বলেন, সরকার পেঁয়াজ আমদানির অনুমতিপত্রের সর্বশেষ সময়সীমা ১৫ মার্চ নির্ধারণ করে দিয়েছে। নতুন করে অনুমতি দেওয়া না হলে বৃহস্পতিবার থেকে এ বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ হয়ে যাবে। সরবরাহ কমে গেলে পেঁয়াজের দাম ঊর্ধ্বমুখী হবে।

হিলিস্থলবন্দর সূত্রে জানা গেছে, বন্দর দিয়ে চলতি মাসের ১৩ কর্মদিবসে ১৮০টি ট্রাকে ৫ হাজার ২২৫ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে।

ভোমরা স্থলবন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মাকসুদ খান বলেন, বুধবার ছিল ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানির শেষ দিন। আমদানির অনুমতিপত্রের মেয়াদ আর না বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। দেশি পেঁয়াজের দামের ভারসাম্য বজায় রাখতে সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে ধারণা করেন তিনি।

নয়াশতাব্দী/এফআই

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ