নয়া শতাব্দী অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি।
চলতি মৌসুমে কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে ব্রহ্মপুত্র নদের বিস্তীর্ণ চরাঞ্চলে বাদামের ব্যাপক আবাদ হয়। এতে বাদামের বাম্পার ফলনও হয়েছে। উৎপাদিত বাদাম ভালো দামে বিক্রি করতে পেরে বেজায় খুশি উপজেলার স্থানীয় বাদাম চাষিরা।
কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলার চরাঞ্চলে এ বছর বাদাম চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩৮ হেক্টর জমিতে। তবে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২ হেক্টর বেশি জমিতে বাদাম চাষ হয়েছে।
সরেজমিনে উপজেলার জিনারি, চর হাবকবকজীপুর, চরকাটিহারী, সাহেবের চর, চরজামাইলসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ব্রহ্মপুত্র নদ ও তার শাখা নদীর আশপাশের চরাঞ্চলের অনাবাদি ও আবাদি জমিতে বাদামের ব্যাপক চাষ করা হয়। তবে হাট বাজারে গত বছরের তুলনায় প্রায় ৩০০ টাকা বেশি দরে প্রতি মন বাদাম কেনাবেচা হচ্ছে। ভালো মানের চিনাবাদাম ৩৫০০ টাকা থেকে ৩৮০০ টাকায় কেনাবেচা হচ্ছে।
উপজেলার সিদলা ইউনিয়নের সাহেবের চর গ্রামের বাদাম চাষি কাজল মাষ্টার জানান, এ বছর ১ একর জমিতে বাদাম রোপণ করেছিলাম। খেতে ভালো ফলন হয়েছে। অধিক দামে বিক্রি করে মুনাফা অর্জন করতে পারবো।
চর জিনারী গ্রামের বাদাম চাষি সুরুজ মিয়া জানান, বাদাম চাষে অন্যান্য ফসলের তুলনায় খরচ খুব কম। কিন্তু বাদামের দাম থাকে বেশি এই আশায় বাদাম চাষ করেছি। জিনারী ইউনিয়নের চরকাটিহারী গ্রামের বাদাম চাষি সুমন মিয়া জানান, অনাবাদি জমিতে বাদাম চাষ করেছিলাম। ফলে কম খরচে অধিক মুনাফা পাবো।
এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ ইমরুল কায়েস জানান, অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর উপজেলায় বাদামের বেশি চাষাবাদ হয়েছে। অনুকূল আবহাওয়া থাকায় উপজেলায় বাদামের অধিক ফলন ও হয়েছে বলে জানান তিনি।
নয়া শতাব্দী/এসএম
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ