নয়া শতাব্দী অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি।
বাংলাদেশের স্বপ্ন পদ্মা সেতু। কৃষক জামাল উদ্দিনের স্বপ্ন তার ষাঁড়। আদর করে নাম রেখেছে স্বপ্নের পদ্মা সেতু। কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলার ইউনিয়নের ইউনিয়নের হাজিপুর গ্রামের জামাল উদ্দিন শখের বশে ব্রাজিলিয়ান ফিজিয়ান জাতের একটি ষাঁড় লালন-পালন শুরু করেন। নিজের খামারেই জন্ম। ভীষণ যত্ন করে বড় করেছেন।
গাঢ় কালো ও সাদা ষাঁডটির দৈর্ঘ্য ১১ফুট উচ্চতা প্রায় ৭ফুট ওজন ১৪০০ কেজি বা ৩৫ মণ। আকর্ষণীয় এই ষাঁড়টি দেখতে প্রতিদিন ভিড় করছে লোকজন। তাই জামাল উদ্দিন আদর করে ষাঁড়টি নাম রেখেছেন স্বপ্নের পদ্মা সেতু।
আসন্ন কোরবানির ঈদ সামনে রেখে দাম হাঁকা হচ্ছে ১২লাখ টাকা। ইতোমধ্যে পাইকাররা এসে ৭ থেকে ৯ লক্ষ টাকা দাম বলেছে। এই দামে বিক্রি করতে জামাল উদ্দিন নারাজ। তাই অপেক্ষায় আছেন আরো ন্যায্য মূল্যে বিক্রি করবেন।
জানা যায়, প্রায় ২৬মাস আগে নিজের খামারে গাভী থেকে জন্ম নেয় পদ্মা সেতু। এরপর আদর-যত্নেই বড় করছেন ষাঁড়টিকে। নিজের সন্তানের মতো বড় করতে পরিশ্রম করছে পরিবারটি। ষাঁড়ের জন্য বানানো হয়েছে আলাদা শেড। রাখা হয়েছে ২৪ ঘণ্টা ইলেকট্রিক ফ্যানের সুব্যবস্থা। খাবারের ব্যাপারেও আলাদা যত্ন করতে হয় ষাঁড়ের। প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় রয়েছে সয়াবিনের খৈল, গম, ভুট্টা, ছোলা, সবুজ ঘাস ও ফল।
ষাঁড়ের আকার, আকৃতি ও ওজনের দিক থেকে জেলার সবচেয়ে বড় বলে দাবি জামাল উদ্দিন। ফ্রিজিয়ান গরু রোগ প্রতিরোধী। বাংলাদেশের আবহাওয়ায় এই জাতের গরু খুবই মানানসই। এ জাতের গরু সাধারণত ১০০০-২৫০০ কেজি মাংস উৎপাদনে সক্ষম।
জামাল উদ্দিন জানান, অনেক যত্ন করে আমি আমার স্বপ্নের পদ্মা সেতু তিন বছর ধরে লালন-পালন করছি। আমার ইচ্ছা তাকে বাড়ি থেকেই বিক্রি করব। স্বপ্নের পদ্মা সেতু লালন-পালন করার ক্ষেত্রে উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর আমাকে বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করেছে। ওকে দেখতে ও ক্রয় করতে আশপাশের উপজেলার অনেক ক্রেতাই আসছেন। ব্যাটেবলে মিললেই বিক্রি হয়ে যাবে নবাব।উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. আব্দুল মান্নান জানান, ‘ষাঁড়টির লালন-পালনের বিষয়ে নিয়মিত পরামর্শ দেওয়া হতো। তিনি কোনও ক্ষতিকর ওষুধ প্রয়োগ ছাড়াই দেশীয় খাবার খাইয়ে ষাঁড়টিকে লালন-পালন করেছেন।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাও আরো জানান, এই ষাঁড়টিই হোসেনপুর উপজেলার মধ্যে সবচেয়ে বড়। ষাঁড়টির ন্যায্যমূল্য পাবেন বলে প্রত্যাশা এই কর্মকর্তার।
নয়া শতাব্দী/এসএম
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ