নয়া শতাব্দী অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি।
পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে তাস খেলার অপরাধে তিন জনকে আটকের পর ১৬ হাজার টাকার বিনিময়ে রফাদফার অভিযোগ উঠেছে মির্জাগঞ্জ থানার এএসআই বিশ্বজিৎ মজুমদারের বিরুদ্ধে।
চা দোকানির মোবাইল ছিনিয়ে নেয়ার পর পরই রফাদফার বিষয়টি থানা এলাকায় জানাজানি হয়। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলা সদরের সুবিদখালী লঞ্চঘাট এলাকায়।
ভুক্তভোগী ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ৬ মে শুক্রবার রাতে উপজেলার সুবিদখালী সদরের লঞ্চঘাট সংলগ্ন এলাকায় একটি স'মিলের ঘরের ভেতরে তিনজনে তাস খেলার সময় খবর পেয়ে মির্জাগঞ্জ থানায় কর্মরত এএসআই বিশ্বজিৎ মজুমদার ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে তাদের হাতকড়া পড়িয়ে থানায় নিয়ে যায়।
ভুক্তভোগীরা জানান, রাতভর দর কষাকষির এক পর্যায়ে আটককৃত তিন জনকে ১৬ হাজার টাকার বিনিময়ে মুচলেকা নিয়ে ও কোন প্রকার টাকা পয়সা নেওয়া হয়নি এমন ভিডিও সাক্ষাৎকার নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।
এছাড়া আটকের সময় ওই তিনজনের মধ্যে থাকা একজন হাতকড়া পড়তে না চাইলে এএসআই বিশ্বজিৎ মজুমদার তাকে মারধর করেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক ভুক্তভোগী বলেন, তাস খেলার সময় আমাদের তিন জনকে মির্জাগঞ্জ থানার এএসআই বিশ্বজিৎ স্যার ধরে থানায় নিয়ে যায়। পরে আমরা প্রত্যেকে সাদা কাগজে স্বাক্ষর দিয়ে তিনজনে মোট ১৬ হাজার টাকা দিয়ে ও আমাদের কাছ থেকে কোন টাকা নেয় নায় এমন ভিডিও সাক্ষাৎকার দিয়ে মুক্তি পাই।
এ ব্যাপারে এএসআই বিশ্বজিৎ মজুমদারের কাছে জানতে চাইলে মোবইল ফোনে বলেন, আপনার সাথে এসব বিষয়ে সামনা সামনি কথা বলবো বলে মোবইলের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেন।
ছবি: এএসআই বিশ্বজিৎ মজুমদার
মির্জাগঞ্জ থানার ওসি মো. আনোয়ার হোসেন তালুকদার বলেন, রাতে সন্দেহজনক আটক করার বিষয়ে জানি, তবে রফাদফার ব্যাপারে আমার জানা নেই।
নয়াশতাব্দী/জেডআই
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ