নয়া শতাব্দী অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি।
দেশে প্রায় দেড় বছর পর খুলছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। স্কুলে আবারও বাজবে ঘণ্টা, দেখা মিলবে শিক্ষার্থীদের উচ্ছ্বাস ও হৈ-হুল্লোড়। শিক্ষার্থীরা ভাবমিনিময় করবে সহপাঠিদের সাথে এমনই প্রত্যাশা সকলের। কিন্তু বিধিবাম, রাজবাড়ীর ২১টি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের স্কুলে পানি ওঠায় সেই আনন্দ উচ্ছ্বাস মলিন হয়ে যাচ্ছে।
পানিবন্দি জেলার ২১টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে যেতে পারবে কীনা, এখনও নিশ্চিত নয়।
পানি প্লাবিত স্কুলগুলো হলো- রাজবাড়ী সদর উপজেলার ৪টি, গোয়ালন্দ উপজেলায় ৯টি,পাংশা উপজেলায় ৩টি এবং কালুখালী উপজেলায় ৫টি।
বিভিন্ন উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, বন্যার পানিতে প্লাবিত স্কুলগুলোর প্রধান শিক্ষকদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য। তবে পানি ওঠা স্কুলগুলোর জন্য পৃথক নির্দেশনা পাওয়া যাবে বলে তারা মনে করেন।
সবচেয়ে বেশি সংখ্যক স্কুল বন্যায় ক্ষতি হয়েছে গোয়ালন্দ উপজেলায়। নিচু এলাকায় হওয়ায় দেবগ্রাম ইউনিয়নের চর তেনাপচা স্কুলভবনের ভেতর পানি জমে আছে। অন্য স্কুলগুলোর কোনটির মাঠে পানি, কোনটির রাস্তায় হাঁটুপানি।
অপর দিকে বরাট ইউনিয়নের উড়াকান্দা গ্রামের চর কাঠুরি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টির মাঠ ও নিচতলায় পানি ওঠায় সেখানে ক্লাস নেওয়া সম্ভব নাও হতে পারে।চরকাঠুরি স্কুলে ৪র্থ শ্রেণির ছাত্র আকমল হোসেন বলেন, ‘শুনতে পেলাম আগামী ১২ তারিখ স্কুল খুলবে। অনেক দিন পর বন্ধুদের সঙ্গে দেখা হবে। এখন স্কুলে পানি ওঠায় কী হবে জানিনা।’
রাজবাড়ী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার হোসনে ইয়াসমিন করিমী নয়া শতাব্দীকে বলেন, স্কুল খোলার সকল প্রস্তুতি নেওয়া আছে। কিন্তু বন্যায় পানিমগ্ন স্কুলগুলোর বিষয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলাপ করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
তিনি বলেন, এখনও এক সপ্তাহ সময় আছে পানি কমলে ওই স্কুলের ক্লাস নেওয়া যাবে। তবে সবকিছু নির্ভর করছে পানি কমা-বাড়ার উপর।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সকল প্রধান শিক্ষককে খোলার বিষয়ে অবহিত করা হয়েছে। তাদের রিপোর্ট নিয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে বলে জানান ইয়াসমিন করিমী।
নয়া শতাব্দী/এম
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ