নয়া শতাব্দী অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি।
খুলনার ডুমুরিয়ায় অফ-সিজনে তরমুজ চাষ করে ব্যাপক লাভবান হচ্ছেন কৃষকরা। মৎস্য ঘেরের আইলে সবজির পাশাপাশি মালচিং পদ্ধতিতে তারা অসময়ের তরমুজ চাষাবাদ করেছেন। তরমুজ গ্রীষ্মকালীন ফল হলেও এবার ডুমুরিয়াতে এ পদ্ধতির চাষে বেশ সাড়া পড়েছে।
কৃষি বিভাগের হিসাব মতে, এবছর ২৬০ হেক্টর জমিতে তরমুজের আবাদ হয়েছে।
শেখের টেক গ্রামের কলেজ ছাত্র জহিরুল সরদার ৩০ বিঘা জমির মৎস্য ঘেরের আইলে তরমুজ চাষ করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, তার ক্ষেতে ১৩শ’ টি তরমুজ গাছ আছে। প্রত্যেকটি গাছে বড় বড় ফল ধরেছে। আর কয়েকদিন বাদেই কাটা শুরু হবে। ফলন ভালো এবং বাজারে চড়া দাম থাকায় অনেক টাকা লাভ হবে বলে আশা করছেন কৃষক জহিরুল সরদার।
জহিরুল সরদারসহ অন্যান্য কৃষকরা জানান, পাকিজা, ব্লকবেরি, এশিয়ান-২, সোনিয়া, তৃপ্তি, কানিয়া, লাইল্যান্ড-২, রেড ড্রাগনসহ বিভিন্ন বিদেশী জাতের এই তরমুজের ভিতরে লাল ও হলুদ রঙের। এই তরমুজ যেমন সুস্বাদু ও গুণাগুণ সম্পন্ন, তেমনি উচ্চ ফলনশীল। বাজারে অসময় পাওয়ার কারণে দাম অনেকটা বেশি। তাই অফ-সিজন তরমুজ চাষে দিনদিন আগ্রহ বাড়ছে কৃষকের। তাদের সঠিক পরিচর্যার ফলে চোখ ধাঁধানো ফলনও হয়েছে ডুমুরিয়াতে।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. মোছাদ্দেক হোসেন জানান, ডুমুরিয়ায় এবার ২৬০ হেক্টর জমির ঘেরের পাড়ে অফ-সিজন তরমুজ চাষ হয়েছে। থাইল্যান্ড ও জার্মানি থেকে আমদানিকৃত উচ্চফলনশীল জাতের তরমুজ চাষ করে হেক্টর প্রতি ৫৫-৬০ টন পর্যন্ত ফলন হয়েছে। সাধারণত মৌসুমে তরমুজ চাষ করে বাজারে যে দাম পাওয়া যায় অফ-সিজনে তার ৩/৪ গুণ দাম পাওয়া যায়। এক হেক্টর জমিতে তরমুজ ফলাতে ৯০ থেকে ১লাখ টাকা পর্যন্ত খরচ হয়, আর তা বাজারে বিক্রি হয় ৫ থেকে ৬ লাখ টাকায়। ফলে অফ-সিজন তরমুজ চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকের। আবাদ যাতে বৃদ্ধি পায় সেজন্য নিয়োমিত মাঠ পর্যায়ে কৃষি বিভাগ কৃষকদেরকে নানা ধরনের সহযোগিতা দিচ্ছেন।নয়া শতাব্দী/এসএম
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ