নয়া শতাব্দী অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি।
খুলনার দিঘলিয়া উপজেলায় স্কুলছাত্রীকে (১৩) সিরিজ ধর্ষণের অভিযোগে দায়ের করা মামলার চার দিন অতিবাহিত হলেও অভিযুক্ত সৈয়দ মো. শাহীন গ্রেপ্তার হয়নি। ১ সেপ্টেম্বর তার বিরুদ্ধে স্থানীয় ফরমাইশখানা ৮নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা ধর্ষিত কিশোরীর বাবা বাদি হয়ে দিঘলিয়া থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। ওই স্কুল ছাত্রী বর্তমানে ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা।
আসামি সৈয়দ মো. শাহীন পঞ্চাশোর্ধ বয়সী। পিতা মৃত সালেহ আহন্মেদ। ২৫ বছর আগে বাগেরহাট জেলার মোড়লগঞ্জ থেকে খুলনার দিঘলিয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের ফরমাইশাখানা ৭নং ওয়ার্ডে স্ত্রীসহ বসবাস শুরু করে। চাকরি করতেন সেনহাটী সাগর জুট মিলে। তার বিরুদ্ধে অসামাজিক কাজের একাধিক অভিযোগ রয়েছে। এলাকার প্রভাবশালীদের আশ্রয়ে থাকার কারণে অনৈতিক কাজ করেও পার পেয়ে যায় সে।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, স্কুল ছাত্রীকে গত ২ জানুয়ারি থেকে ২৯ আগস্ট পর্যন্ত ৮ মাসে একাধিকবার ধর্ষণ করেছে শাহীন। সে তার প্রতিবেশী হওয়ায় তাঁর মেয়েকে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে নিজ ঘরের ভেতর নিয়ে ধর্ষণ করেছে। ২৯ আগস্ট তার মেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লে ক্লিনিকে নিয়ে গেলে চিকিৎসক পরীক্ষা নিরীক্ষা করে তার মেয়ে ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা বলে রিপোর্ট দেন। ধর্ষিত মেয়েটি স্থানীয় একটি স্কুলের ৫ম শ্রেণীর ছাত্রী। মেয়েটিকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি করে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
এদিকে, ধর্ষণ মামলা দায়ের এবং ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য মেয়েটিকে ক্লিনিকে নেওয়ার সংবাদ শোনার পর থেকে আসামি ধর্ষক সৈয়দ মো. শাহীন এলাকা থেকে গাঁ ঢাকা দিয়েছে।
এ বিষয়ে দিঘলিয়া থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) রিপন কুমার সরকার বলেন, ধর্ষণ মামলার একমাত্র আসামি শাহীনকে গ্রেপ্তারের জন্য জোর প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
নয়া শতাব্দী/এসএম
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ