নয়া শতাব্দী অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি।
রাজশাহীতে একই স্কুলে জামাই, পুত্রবধূ ও শ্যালিকাকে চাকরি দেয়ার অভিযোগ উঠেছে নগরীর গুলজারবাগ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আমজাদ হোসেন বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। স্বজনপ্রীতির এহেন কাণ্ডে এলাকাবাসী চরম ক্ষুদ্ধ হয়ে প্রধান শিক্ষক আমজাদ হোসেনকে স্কুলে আসতে বারণ করে দিয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় এমপির কাছে অভিযোগ দেয়া হয়েছে বলেও জানা গেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রধান শিক্ষক নিজ বিদ্যালয়ে কম্পিউটার অপারেটর পদে তার ছেলে তামিম হোসেনের বউকে সম্প্রতি চাকরি দিয়েছেন। এর আগে তার বিরুদ্ধে ভাতিজার জামাই, নিজ শ্যালিকা, ভাতিজাসহ কয়েকজন আত্মীয়-স্বজনকে চাকরি দেওয়ারও অভিযোগ রয়েছে।
সর্বশেষ চারটি পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে আপন ছেলের বউকে চাকরি দেন প্রধান শিক্ষক আমজাদ হোসেন। বিষয়টি প্রকাশ পাওয়ার পর নগরীর গুড়িপাড়ায় এলাকাবাসীর মধ্যে চরম ক্ষোভ দেখা দেয়। এ নিয়ে গত বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে দশটার দিকে এলাকাবাসী ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক আমজাদ হোসেনকে ঘিরে ধরেন। এ সময় এলাকাবাসী আমজাদ হোসেনের ছেলেবউ কুসুম খাতুন মৌসুমিকে নিয়োগ দেয়া হলেও অন্য তিনটি পদে স্থানীয়দের কেন চাকরি দেয়া হয়নি এবং এলাকাবাসীর কাউকে কেন চাকরি দেয়া হয়নি এসব নিয়ে প্রতিবাদ জানান। এক পর্যায়ে এলাকাবাসী ক্ষুব্ধ হয়ে প্রধান শিক্ষক আমজাদ হোসেনের বিরুদ্ধে স্থানীয় এমপি ফজলে হোসেন বাদশার কাছে নালিশ করেন। সেইসঙ্গে প্রধান শিক্ষককে স্কুলে আসতে বারণ করেন।
সাইফুল নামের এক স্থানীয় বাসিন্দা জানান, প্রধান শিক্ষক আমজাদ হোসেন প্রায় ২৫ বছর ধরে চাকরি করছেন এই স্কুলে। এর পর তিনি বিভিন্ন সময়ে তার আত্মীয়-স্বজনসহ বাইরের লোকজনকে চাকরি দিয়েছেন আমরা কিছু বলিনি। এবার চারটি পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে আবারো তার ছেলে বউকে চাকরি দিয়েছেন। চাকরির নামে তিনি ব্যাপক বাণিজ্য করেছেন। এর প্রতিবাদ করেছি আমরা। তিনি নিয়োগ বাণিজ্য করে এলাকায় বিপুল সম্পদের মালিক বনে গেছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।
তবে প্রধান শিক্ষক আমজাদ হোসেন তার বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্যের আনিত অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, স্থানীয় লোকজনকে চাকরি না দেওয়ায় আমার উপরে তারা হামলার চেষ্টা করেছে।
নয়া শতাব্দী/জেআই
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ