শনিবার, ০১ এপ্রিল ২০২৩, ১৮ চৈত্র ১৪২৯

দেড় বছর ধরে সেবা নেই, ভবনঘেঁষা ময়লার স্তূপ

প্রকাশনার সময়: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১৯:২০
নরসিংদীর রায়পুরার আমিরগঞ্জ ইউনিয়নের হাসনাবাদে ডিজিটাল টেলিফোন এক্সচেঞ্জ

বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন্স কোম্পানি লিমিটেডের (বিটিসিএল) আওতাধীন নরসিংদীর রায়পুরার আমিরগঞ্জ ইউনিয়নের হাসনাবাদ ডিজিটাল টেলিফোন এক্সচেঞ্জে প্রায় দেড় বছর ধরে সেবা নেই। ফলে গ্রাহকশূন্য টেলিফোন এক্সচেঞ্জটি ময়লার স্তূপে পরিণত হয়েছে। ভবনঘেঁষে ময়লার স্তূপ জমে আছে। কোথাও খসে পড়েছে রং।

বিটিসিএল কনিষ্ঠ সহকারী ব্যবস্থাপক টেলিকম নরসিংদী কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০০৯ সালের ৯ আগষ্ট নরসিংদী-৫ (রায়পুরা) আসনের সংসদ সদস্য রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজু তৎকালীন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী হাসনাবাদ ডিজিটাল টেলিফোন এক্সচেঞ্জ উদ্বোধন করেন। ৪ একর ভূমিতে কোটি টাকা ব্যয়ে দ্বিতল ভবনটি নির্মাণ করা হয়। কিন্তু এখন আর ভবনটিতে সেবা নেই। ফলে ময়লার স্তূপে পরিণত হয়েছে ভবনটি।

জানা গেছে, ২০০৯ সালে আমীরগঞ্জ ইউনিয়নের হাসনাবাদ, আমীরগঞ্জ, করিমগঞ্জ, রহিমাবাদ, আদিয়াবাদ, হাইরমারাসহ বিভিন্ন গ্রামে কয়েকশ ডিজিটাল টেলিফোন এক্সচেঞ্জ লাইন সংযোগ করা হয়। পরে ক্যাবল সংযোগ দেয়া হলেও সেবা পায়নি গ্রাহকরা।

গ্রাহক মোক্তার মোল্লা ও করিমগঞ্জ গ্রামের নূর মোহাম্মদ বলেন, টেলিফোন সেবা পাব দূরের কথা, টেলিফোন দেখলাম না। শুধুমাত্র ডিমান্ড নোট দেখিয়ে ভুতুড়ে গড় বিলের মাধ্যমে হাসনাবাদের বহু গ্রাহকদের হয়রানি করা হয়েছে।

হাসনাবাদ বাজারের কয়েকজন ব্যবসায়ী বলেন, জনগণের সেবা না থাকায় ডিজিটাল টেলিফোন এক্সচেঞ্জ ভবন ও তার চারপাশ ময়লার স্তূপে পরিণত হয়েছে।

বর্তমানে হাসনাবাদ ডিজিটাল টেলিফোন এক্সচেঞ্জ দেখাশোনা করছেন কনিষ্ঠ লাইনম্যান শফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, আমি এই এক্সচেঞ্জের দায়িত্ব পালন করছি নরসিংদী বিটিসিএল কনিষ্ঠ সহকারী ব্যবস্থাপক টেলিকম এর নির্দেশে। আমার আগে আব্দুল মান্নান লাইনম্যান ছিলেন। তিনি মারা গেছেন।

কনিষ্ঠ সহকারী ব্যবস্থাপক কামাল উদ্দিন আহম্মদ বলেন, ডিজিটাল হওয়ার পর ২০১০ সালে এর ধারণ ক্ষমতা ৩৩৬ করা হয়েছে। বর্তমানে এক দেড় বছর ধরে রেডিও স্টেশন অচল থাকায় সেবা নেই। ফলে গ্রাহকশূন্য হয়ে পড়েছে। তবে তিনি বলেন, ডিমান্ড নোট থাকায় হাসনাবাদ বহু গ্রাহকদের বকেয়া গড় বিল হয়েছে। আমি ২/৩ দিনের মধ্যেই অবসরে চলে যাচ্ছি। জানা গেছে, ১৯৬৮ সালে হাসনাবাদ (ম্যাগনেটো) নামে এই টেলিফোন এক্সচেঞ্জ প্রথম চালু হয়। তখন ১৯৬৮-১৯৯৮ ধারণ ক্ষমতা ২৫ ছিল। হাসনাবাদ (সিবি) ১৯৯৮-২০০৯ ধারণ ক্ষমতা ১০০, হাসনাবাদ (জেডটিই) ২০০৯ -২০০২২ সালে ধারণ ক্ষমতা ৩৩৬ উন্নীত করা হয়।

কনিষ্ঠ সহকারী ব্যবস্থাপক আলী কাওছার বলেন, অপটিক্যাল ফাইভার এমওটিএন প্রজেক্ট চালু হলে পুনরায় গ্রাহক সেবা ফিরে পাবে। গিগাভাইট পজিট অপটিক্যাল নেটওয়ার্ক (জীপন) সেবার মাধ্যমে গ্রাহক ডিজিটাল সেবা পাবেন। রেডিও খারাপ থাকায় হাসনাবাদ ডিজিটাল টেলিফোন এক্সচেঞ্জ বন্ধ হয়ে গেছে। তাছাড়া মোবাইল ফোন সিম ব্যবহার করার কারণে লাইন সংযোগ নিতে গ্রাহকদের সংখ্যা কমে গেল।

আমীরগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান খালেদা পারভীন বলেন, জীপন সেবার মাধ্যমে টেলিফোন এক্সচেঞ্জ চালু কারা হোক।

নয়া শতাব্দী/আরআর

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ