মঙ্গলবার, ২৮ মার্চ ২০২৩, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

তালায় দুই শতাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নেই শহিদ মিনার

প্রকাশনার সময়: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১৭:৫১ | আপডেট: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১৮:১০

ভাষা শহিদদের গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করার লক্ষ্যে প্রতিবছর ২১ ফেব্রুয়ারি দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করা হয়। সেই ভাষা আন্দোলনের ৭০ বছর পার হতে চললেও তালা উপজেলার ৩৩৭ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে প্রায় ২২১টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নেই শহিদ মিনার।

উপজেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, তালা উপজেলায় ১৩টি মহাবিদ্যালয়, ৭০টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ৩৫টি মাদরাসা ও ২১১টি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এর মধ্যে ৫টি মহাবিদ্যালয়, নন এমপিও ১২ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ৮ টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ২৬টি মাদরাসা ও ১৭০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কোনো শহিদ মিনার নেই।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, প্রত্যেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শহিদ মিনার তৈরি করার জন্য মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেওয়া আছে। কিন্তু শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কোনো বরাদ্দ না থাকায় শহিদ মিনার করা সম্ভব হয়নি। কর্তৃপক্ষের নির্দেশনায় শহিদ মিনার নেই এমন প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর তালিকা করা হয়েছে।

অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা বীর মুক্তিযোদ্ধা গাজী আব্দুল জলিল বলেন, বাংলাদেশ নামক ভুখণ্ডের সব আন্দোলন সংগ্রামের সূতিকাগার শহিদ মিনার। আমাদের দুর্ভাগ্য যে ভাষা আন্দোলনের ৭০ বছর আর দেশ স্বাধীনের ৫২ বছর পার হতে গেছে কিন্তু তালা উপজেলাসহ দেশের শতভাগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এখনো শহিদ মিনার নির্মিত হয়নি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যদি প্রত্যেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শহিদ মিনার করার উদ্যোগ নেন, তাহলে হয়ত আমি মৃত্যুর আগে শহিদ মিনারগুলো দেখে যেতে পারব।

উপজেলা সেচ্ছাসেবী সংগঠন হেল্প (সাহায্য) সভাপতি এসএম হাসান আলী বাচ্চু ও সাধারণ সম্পাদক বিএম বাবলুর রহমান বলেন, উপজেলার অধিকাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শহিদ মিনার না থাকাটি দুঃখের বিষয়। অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা শহিদ মিনারে গিয়ে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে পারে না। অতিদ্রুত উপজেলার সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শহিদ মিনার নির্মাণ করা হোক। এটা আমাদের প্রত্যাশা।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আতিয়ার রহমান জানান, জায়গা সংকটের কারণে কিছু কিছু স্কুলে শহীদ মিনার নির্মাণ করা কঠিন হয়ে পড়েছে। তবে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা মোতাবেক শহিদ মিনার না থাকা প্রতিষ্ঠানের একটি তালিকা পাঠানো হয়েছে। অতিদ্রুত বরাদ্দ পেলে প্রত্যেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শহিদ মিনার নির্মাণ করা হবে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) রহুল কুদ্দুস বলেন, যে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শহিদ মিনার নেই, পর্যায়ক্রমে সেসব প্রতিষ্ঠানে শহিদ মিনার নির্মাণ করা হবে।

নয়াশতাব্দী/এফআই

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ