নয়া শতাব্দী অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি।
ঢাকার কেরানীগঞ্জে র্যাব পরিচয়ে ডাকাতির ঘটনায় ৮ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে লুণ্ঠিত ১০ লাখ ৯ হাজার ৫০০ টাকা, একটি বিদেশি রিভলবার দুই রাউন্ড তাজা গুলি, ঘটনায় ব্যবহৃত হাইএস মাইক্রো, হ্যান্ডকাফ, পিস্তল সদৃশ খেলনা পিস্তল, ডাকাতদের ব্যবহৃত র্যাব লেখা কটি, একটি ওয়াকিটকি ও মোবাইল উদ্ধার করা হয়।
বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার আসাদুজ্জামান।
গ্রেফতারকৃতরা হলো, সুজন (৩৯), আলামিন রেহান, ড্রাইবার কবির (৪৬), মিল্টন (৪৩), জাবেদ সিরাজুল (৪০), নয়ন বাবু (২৮), কামাল (৪৫) ও আ. রহমান সাজ্জাদ (৪৫)।
তিনি জানান, ৩১ জানুয়ারি দুপুরে দোহারের স্বর্ণ ব্যবসায়ী নাহিদ ও খোকন স্বর্ণ বিক্রি করার জন্য ঢাকার তাতিবাজারে যান। স্বর্ণ বিক্রি শেষে নাহিদ ৪০ লাখ টাকা ও খোকন ৩১ লাখ টাকা সঙ্গে নিয়ে সন্ধ্যা আনুমানিক ৫ টার দিকে দোহারের উদ্দেশ্যে নবকলি বাসে উঠে। অতপর সন্ধা অনুমান সাড়ে ৬ টার সময় তাদের বহনকারী নবকলি বাসটি ঢাকা-নবাবগঞ্জ রোডের কেরানীগঞ্জ মডেল থানাধীন কোনাখোলা নামক স্থানে পৌঁছালে একটি সাদা হাইএস মাইক্রো চলন্ত নবকলি বাসটিকে জোরপূর্বক থামায়। তারপর মাইক্রো হতে কয়েকজন অজ্ঞাতনামা ডাকাত (র্যাবের কটি পরিহিত) বাসে উঠে যাত্রীদের র্যাবের লোক পরিচয় দিয়ে ২ জন আসামিকে ধরতে আসছে বলে জানায়। পরে ডাকাত সদস্যরা বাসে বসে থাকা স্বর্ণ ব্যবসায়ী নাহিদ ও খোকনকে টাকার ব্যাগসহ জোরপূর্বক বাস থেকে নামিয়ে ডাকাতদের মাইক্রোতে তোলে। এরপর ডাকাতদল স্বর্ণ ব্যবসায়ী নাহিদ ও খোকনের চোখ-মুখ বেঁধে মারধর করে এবং অস্ত্র ঠেকিয়ে তাদের সঙ্গে থাকা নগদ ৭১ লাখ টাকা নিয়ে মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরের নিমতলা নামক স্থানে হাইওয়ের পাশে ফেলে দিয়ে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় একদিন পর স্বর্ণ ব্যবসায়ী নাহিদ ও খোকন বাদী হয়ে কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় মামলা করেন।
মামলার পর দিন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) আমিনুল ইসলাম নেতৃত্বে কেরানীগঞ্জ (সার্কেল) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহাব উদ্দিন কবির সহযোগিতায় ও কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মামুন অর রশিদের সমন্বয়ে গঠিত একটি চৌকস দল আভিযানে নামে। সিসি টিভিতে বাসের ডাকাতির ফুটেজ দেখে ও তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় কেরানীগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, নারায়নগঞ্জ এবং ডিএমপির বিভিন্ন এলাকায় ধারাবাহিক অভিযান পরিচালনা করে ঘটনায় জড়িত ডাকাত চক্রের ৮ সদস্যকে গ্রেফতার করেন।
এছাড়া গ্রেফতারকৃত ডাকাতের স্বীকারোক্তি মতে তাদের বাসায় তল্লাশি অভিযান করে ডাকাতির ঘটনায় ব্যবহৃত বিভিন্ন আলামত, হাইএস মাইক্রো ও লুণ্ঠিত নগদ টাকা উদ্ধার হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডাকাত আলামিন রেহানের স্বীকারোক্তিতে ডাকাত সুজন মন্ডলের হেফাজত থেকে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত একটি বিদেশি রিভলবারসহ দুই রাউন্ড তাজা গুলি উদ্ধার করা হয়।
নয়া শতাব্দী/আরআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ