নয়া শতাব্দী অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি।
সমুদ্রপাড়ে একে অপরের হাতে হাত রেখে বালিয়াড়িতে হাঁটছেন এক নবদম্পতি। পহেলা ফাল্গুন আর ভালোবাসা দিবসকে স্মরণীয় করে রাখতে তারা পর্যটক শহর কক্সবাজারে এসেছেন। তাদের মতো এভাবে সমুদ্রের বিশালতার মাঝে মন মাতাতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছুটে এসেছেন অনেকেই।
বসন্তের হিমেল পরশে পর্যটকদের আনন্দ-উন্মাদনায় ১৮ কিলোমিটার সৈকতজুড়ে বিরাজ করছে এক উৎসবমুখর পরিবেশ। সমুদ্রের ঢেউয়ের সঙ্গে সাঁতার কাটাসহ সৈকতে দাঁড়িয়ে প্রিয়জনের সঙ্গে সেলফি তুলে দিনটি স্মরণীয় করে রাখছেন পর্যটকরা।
তবে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের দাবি, ভালোবাসা দিবসে কাঙ্খিত পর্যটক কক্সবাজার ভ্রমণে আসেনি। তবে সারা দেশের মতো বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতে বসন্ত ও ভালোবাসার ছোঁয়া লেগেছিল। যাদের বেশিরভাগ ছিল স্থানীয়।
মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের লাবণী পয়েন্ট থেকে কলাতলী এলাকা পর্যন্ত দেখা মিলে হাজারো মানুষের। তবে বেশিরভাগ মানুষ স্থানীয়। যারা বালিয়াড়িতে ঘোরাঘুরি করছেন। যেখানে অনেকের পরনে দেখা গেছে হলুদ পোষাক, অনেক নারীর মাথায় ছিল ফুলের মালা। যা দেখে কিছুটা হলেও মনে করিয়ে দেবে পহেলা ফাল্গুন বা ভালোবাসা দিবসের কথা।
যেখানে কথা হয় শহরের একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তরুণীর সাথে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে তিনি জানান, তারা ৪ জন মিলে সৈকতে ভ্রমণে এসেছেন। বসন্ত ও ভালোবাসা দিবসের দিনটি সমুদ্র সৈকত উপভোগে স্মরণীয় রাখতে তাদের ভ্রমণ।
আবার অনেকেই দেখা গেছে পরিবার পরিজন মিলে সৈকতে ভ্রমণ করতে। চাকুরিজীবী দেলোয়ার শরীফ জানান, স্ত্রী, ২ সন্তানকে নিয়ে তিনি সৈকতে এসেছেন। বসন্ত ও ভালোবাসা দিবসের পরিবারের অনুরোধ রক্ষায় তার সৈকতে আসা। এসে ভালোই লেগেছে। খুব বেশি মানুষ নেই। উপভোগ করা যাচ্ছে ভালোভাবে।
হাদুয়েল নাঈম নামে এক পর্যটক বলেন, আমি সুন্দর মুহূর্তকে ক্যামেরাবন্দি করে রাখছি। এ ছাড়া সমুদ্রের বেঞ্চিতে বসে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করছি।
স্কুলছাত্রী তনিমা খানম বলে, একদিকে পয়লা ফাল্গুন অন্যদিকে ভালোবাসা দিবস তাই দিনটি উদযাপনে চার বান্ধবী সৈকতে এসেছি। ভালোই লাগছে।
অনেকেই সৈকতে ঘুরতে আসেন পরিবার পরিজন নিয়ে। রাঙামাটি থেকে সপরিবারে কক্সবাজার বেড়াতে আসেন মমিনুল হক। তিনি বলেন, পাহাড় থেকে সন্তানদের আবদার রক্ষায় সমুদ্রে এসেছি। তেমন ভিড় নেই। ফাঁকা সৈকত খুব ভালো লাগছে।
হোটেল-মোটেল গেস্ট হাউস মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাশেস সিকদার জানান, কোনো বিশেষ দিবসে নয়, কক্সবাজার পর্যটক বেশি আসেন সাপ্তাহিক ছুটিতে। কোনো ছুটি না থাকলেও ৫০ হাজারের কাছা-কাছি পর্যটক এসেছেন।
তিনি বলেন, পাঁচ শতাধিক হোটেল মোটেল গেস্ট হাউসের প্রায় অর্ধেক রুম বুকিং হয়েছে। যারা এসেছেন তারা নিজেদের মতো বসন্ত ও ভালোবাসা দিবস উৎযাপন করছেন। বিশেষ কোনো আয়োজনের সংবাদ দিতে পারেননি তিনি।
ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার জোনের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার শেহরিন আলম জানান, মঙ্গলবার সাপ্তাহিক কোনো ছুটি না থাকায় খুব বেশি পর্যটক আসেনি। তবে সৈকতের বিপুল সংখ্যক স্থানীয় লোকজন ঘুরতে এসেছে। তাদের সার্বিক নিরাপত্তা দেওয়া হচ্ছে।
নয়া শতাব্দী/জেআই
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ