মঙ্গলবার, ২৮ মার্চ ২০২৩, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

তুমব্রুতে আশ্রয় নেয়া নিবন্ধিত ৫৯৯ রোহিঙ্গার হদিস নেই!

প্রকাশনার সময়: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১৩:৫৫

অগ্নিকাণ্ডে ভষ্মীভূত শূন্যরেখা থেকে পালিয়ে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার তুমব্রু গ্রামে আশ্রয় নেয়া ৫৯৯ জন রোহিঙ্গার হদিস পাচ্ছে না শরনার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কার্যালয়।

মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সপ্তম দফায় ৪০ পরিবারের ১৯০ জন রোহিঙ্গা ট্রানজিট ক্যাম্পে স্থানান্তর করার পর এ বিষয়টি বেরিয়ে আসে। তারা বলেন, গত জানুয়ারির শেষ সপ্তাহে তুমব্রু গ্রামে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গার নিবন্ধন করা হয় ৫৫৮ পরিবারের ২ হাজার ৯৭০ জনের। পরে আরও ১৬ রোহিঙ্গা যোগ হয়ে সর্বশেষ দাঁড়ায় ২ হাজার ৯৮৬ জনে।

এর মধ্যে মঙ্গলবার পর্যন্ত তুমব্রু গ্রাম থেকে ৭ কিস্তিতে কুতুপালং সংলগ্ন ঘুমধুম ট্রানজিট ক্যাম্পে সেই নিবন্ধিত ২ হাজার ৩৮৭ জন রোহিঙ্গা নেয়ার পর বাকি থাকার কথা ৫৯৯ জন রোহিঙ্গার। অথচ তাদের খোঁজ নেই সেখানে।

বিষয়টি স্বীকার করেন ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান একেএম জাহাঙ্গীর আজিজ। তিনি বলেন, নিবন্ধিত ৫৯৯ জন রোহিঙ্গার হদিস মিলছে না। তারা পালিয়ে গেছে অন্যত্র। এ কারণে তাদেরকে ট্রানজিট ক্যাম্পে স্থানান্তর করাও সম্ভব হয়নি।

তিনি আরও বলেন, বর্তমানে অনিবন্ধিত ৫৫ পরিবারের প্রায় ৩ শতাধিক রোহিঙ্গা তুমব্রু গ্রামের আশ্রয় শিবিরে অবস্থান করছে মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত। যাদেরকে শরনার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কার্যালয় ট্রানজিট ক্যাম্পে নিয়ে যাচ্ছে না। এ কারণে তিনি দুঃশ্চিন্তায়।

এ বিষয়ে শরনার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, তারা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুসারে সব কাজ করে যাচ্ছেন। গত ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ৭ কিস্তিতে নিবন্ধিত ২ হাজার ৩৮৭ জন রোহিঙ্গাকে কুতুপালং সংলগ্ন ঘুমধুম ট্রানজিট ক্যাম্পে আনেন তারা। নিবন্ধিত অবশিষ্ট ৯৭ পরিবারের আরো ৫ শত ৯৯ জনের খোঁজ পাননি তারা। এ কারণে তাদেরকে ট্রানজিট ক্যাম্পে নেয়া সম্ভব হয়নি।

অপর প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এছাড়া তুমব্রু গ্রামে এখনও (১৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত) অবস্থান করছেন অনিবন্ধিত ৫৫ পরিবার। যাদের সঠিক সদস্য সংখ্যা তিনি বলতে পারছেন না। তাদেরকে তারা ট্রানজিট ক্যাম্পে নিয়ে যাচ্ছেন না। কারণ তারা অনিবন্ধিত। যাদের বিষয়ে বান্দরবান জেলা প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট বিজিবি কর্তৃপক্ষকে দ্রুত অবহিত করবেন তিনি।

নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রোমেন শর্মা এ বিষয়ে বলেন, ইতিমধ্যেই তিনি জানতে পেরেছেন অনিবন্ধিত ৫৫ পরিবার মিয়ানমারের নাগরিক তুমব্রুতে অবস্থান করছে। তিনি তা অবহিত হওয়ার পরপর বান্দরবানস্থ কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে দিয়েছেন। এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি আশা করছেন।

নয়া শতাব্দী/আরআর

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ