নয়া শতাব্দী অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি।
লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) একটি সড়কের সংস্কার কাজে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার তোরাবগঞ্জ-মতিরহাট সড়কের সংস্কারকাজে নিম্নমানের ইটের খোয়া ব্যবহারের মাধ্যমে এ অনিয়ম করা হচ্ছে। যে কারণে, সড়কটির স্থায়িত্ব নিয়ে আশঙ্কা দেখা দেওয়ায় এলাকাবাসী সংস্কার কাজটি বন্ধ করে দিয়েছেন।
জানা গেছে, উপজেলার তোরাবগঞ্জ থেকে জেলার গুরুত্বপূর্ণ মাছঘাট মতিরহাট যাতায়াতের জন্য ওই সড়কটি ব্যবহার করা হয়। নয় কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটি দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় পিচ উঠে বড় বড় খানা-খন্দের সৃষ্টি হয়েছিল। এতে করে চলাচলে দুর্ভোগ পোহাতে হওয়ায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে সড়কটির চার দশমিক চার কিলোমিটার অংশ (তোরাবগঞ্জ থেকে বলিরপোল পর্যন্ত) সংস্কারের জন্য দরপত্র আহ্বান করে। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ‘মেসার্স সালেহ অ্যান্ড সন্স’ এক কোটি ৮৪ লাখ এক হাজার ৫৮৯ টাকা বরাদ্দে কাজটির কার্যাদেশ পান।
স্থানীয়রা জানান, দুই সপ্তাহ আগে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান সড়কটির সংস্কারকাজ শুরু করেছেন। কিন্তু বরাদ্দ অনুযায়ী ভালো মানের ইটের খোয়া না দিয়ে তাঁরা অত্যন্ত নিম্নমানের ইটের খোয়া দিয়ে ম্যাকাডোমের কাজ করছেন। বারবার এর প্রতিবাদ করলেও ঠিকাদারের লোকজন গুরুত্ব না দেওয়ায় তাঁরা সোমবার কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন।
নুরনবী চৌধুরী, বেল্লাল হোসেন ও শরিফুল ইসলাম নামে কয়েকজন এলাকাবাসী জানান, গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন অসংখ্য যানবাহন যাতায়াত করে। কিন্তু এ অনিয়মের কারণে কয়েক মাসের মধ্যে সড়কটিতে আবারও খানাখন্দ তৈরি হবে। এতে করে গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটি দিয়ে চলাচলকারীরা চরম দুর্ভোগে পড়বেন। যে কারণে, সিডিউল অনুযায়ী যথাযথভাবে কাজটি শেষ করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবি জানান তাঁরা।
এদিকে কাজটির দায়িত্বপ্রাপ্ত তদারকি কর্মকর্তা এলজিইডির উপসহকারী প্রকৌশলী মইনুল ইসলাম জানান, এলাকাবাসীর কাছ থেকে জানতে পেরে তিনি গিয়ে ম্যাকাডোমের কাজে নিম্নমানের ইটের খোয়া ব্যবহারের সত্যতা পেয়েছেন। এ কারণেও তিনিও ঠিকাদারকে কাজ বন্ধ রাখতে বলেছেন।
ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স সালেহ অ্যান্ড সন্সের স্বত্বাধিকারী সাইফুল ইসলাম শামীম জানান, ইটভাটা থেকে তিনি এক নম্বর খোয়াই কিনেছেন। কিন্তু সোমবার ভাটা থেকে ভালো ইটের সঙ্গে কিছু নিম্নমানের খোয়া দেয়ায় এ সমস্যাটির সৃষ্টি হয়েছে। বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা চলছে।
তিনি বলেন, সড়কটি সংস্কারে ব্যবহৃত উপকরণের দাম সম্প্রতি অনেক বেড়েছে। কিন্তু ওই কাজটির তিনি কার্যাদেশ পেয়েছেন প্রায় চার মাস আগে। তবুও তিনি কাজটি ভালোভাবে শেষ করার চেষ্টা করছেন।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের কমলনগর উপজেলা প্রকৌশলী সোহেল আনোয়ার জানান, কোনো অজুহাতে অনিয়মের মাধ্যমে কাজ সম্পন্ন করার সুযোগ নেই। তাই সিডিউল অনুযায়ী সংস্কার কাজটি করার জন্য ঠিকাদারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
নয়াশতাব্দী/এফআই
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ