নয়া শতাব্দী অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি।
বগুড়ার শেরপুরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক লাইভে এসে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে সমীর সাহা পাপ্পা (৩০) নামে এক যুবক আত্মহত্যা করেছেন। তিনি উপজেলার গোসাইপাড়া এলাকার শ্যামল সাহার ছেলে।
সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যারাতে শহরের গোসাইপাড়ার বাসার নিজের শোবার ঘর থেকে ওই যুবকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এর আগে ওইদিন বিকেলে সমীর সাহা পাপ্পা তার ফেসবুক আইডির টাইমলাইনে নিজের আত্মহত্যার জন্য বাবা-মা এবং শ্বশুরকে দায়ী করে একটি পোস্ট দেন।
পরে ময়না তদন্তের জন্য মরদেহ বগুড়ায় শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সোমবার বিকেলে নিজের ফেসবুক আইডির টাইমলাইনে ‘আমার মৃত্যুর জন্য আমার বাবা-মা ও শ্বশুর দায়ী’ লিখে পোস্ট দেন পাপ্পা। এই পোস্ট দেওয়ার দেড় ঘণ্টা পর সন্ধ্যারাতে লাইভে এসে শয়নকক্ষের দরজা-জানালা বন্ধ করে সেলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন।
স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, বছর দুয়েক আগে অনুষ্ঠিত পৌর নির্বাচনে কাউন্সিলর পদে প্রার্থী হন সমীর সাহা পাপ্পা। ওই নির্বাচনে হেরে যাওয়ার পর থেকেই মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েন। পাশাপাশি বিভিন্ন জটিল রোগে ভুগছিলেন তিনি। এছাড়া আয় রোজগার না থাকায় পারিবারিক কলহ লেগেই থাকতো। এমন পরিস্থিতে হতাশ হয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়।
শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতাউর রহমান খোন্দকার বলেন, পারিবারিক কলহের কারণেই সমীর সাহা আত্মহত্যা করেছে । স্থানীয় লোকজনের খবরের ভিত্তিতে মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এই ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে।
নয়াশতাব্দী/এফআই
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ