নয়া শতাব্দী অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি।
সিরাজগঞ্জ শাহজাদপুর উপজেলায় আবারও সরকারি আশ্রয়ণ প্রকল্পের একটি ঘর ৩ লাখ টাকার বিনিময়ে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনা ঘটেছে উপজেলার গাড়াদহ ইউনিয়নের মশিপুর গ্রামের আশ্রয়ণ প্রকল্পে।
কিছু অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজসে বরাবরই মশিপুর আশ্রয়ন প্রকল্প- ২ ঘর নির্মাণে নিম্মমানের সামগ্রী ব্যবহারসহ সুবিধাভোগী বাছাইয়ে বিভিন্ন সময় উঠেছে নানা অভিযোগ। কিন্তু প্রতিবারেই প্রশাসনের রয়েছে নিরব ভূমিকা।
সরেজমিনে গিয়ে মেলে অভিযোগের সততা, মশিপুর আশ্রয়ণ প্রকল্প ১৯নং ঘরের বরাদ্দ পান বেলতৈল ইউনিয়নের তেলকুপি গ্রামের মৃত আব্দুল ওহাব এর স্ত্রী সাহেদা বেগম। এখন স্ট্যাম্পের মাধ্যমে ৩ লাখ টাকা দিয়ে ঘরটি কিনে সেখানে বসবাস করছেন আসমা বেগম তার সন্তাদের নিয়ে।
উপজেলা সূত্রে জানা যায়, আশ্রয়ণ প্রকল্প- ২ এর তৃতীয় পর্যায়ের ২য় ধাপের ২০ টি ঘর নির্মাণ হয় মশিপুরে। এক একটি ঘর নির্মাণে সরকার বরাদ্দ দিয়েছে ২ লাখ ৫৮ হাজার ৫শ’ টাকা। পাশাপাশি ঘরের জন্য জমি তো বরাদ্দ আছেই।
সরেজমিনে আরও তিনটি ঘরের বিক্রির অভিযোগ পাওয়া যায়, আশ্রয়ণ প্রকল্পের ৬ নং ঘরের বরাদ্দ পায় পোরজনা ইউনিয়নের বড়মহারাজপুর গ্রামের মৃত তারা মোল্লার স্ত্রী সাজেদা খাতুন কিন্তু সে ঘরে বসবাস করছে ১৩ নং ঘরের বাসিন্দা রাসেল মিয়া দম্পতি আর ১৩ নং ঘর কিনে বসবাস করছে স্বাধীন দম্পত্তি। ২০ নং ঘরের বরাদ্দ পায় বেলতৈল ইউনিয়নের বেতকান্দি গ্রামের আব্দুল খালেক ও তার স্ত্রী আনোয়ারা খাতুন দম্পতি কিন্তু ঘরটি কিনে বসবাস করছে মাসুদ দম্পত্তি। আর ১৭ নং ঘর বিক্রির অভিযোগ থাকলেও সেখানে কেউ না থাকায় কে বসবাস করছে তা জানা যায়নি।
এ ব্যাপারে আসমা বেগম টাকার বিনিময়ে ঘর কেনার কথা স্বীকার করে বলেন, বড় ছেলে বিয়ে করেছে সেখানে বৌ নিয়ে থাকে। আমার ছোট ছেলেও বিয়ের উপযুক্ত হয়েছে তাই আগের সুবিধাভোগীর কাছ থেকে টাকা দিয়ে স্ট্যাম্পের মাধ্যমে ঘরটি আমরা কিনে আমরা বসবাস করছি। তবে এ বিষয়ে সুবিধাভোগীদের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাদিয়া আফরিন জানান, খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
নয়াশতাব্দী/জেডএম
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ