নয়া শতাব্দী অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি।
বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন চুপপুকে দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন দেওয়ার খবরে পাবনাজুড়ে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে।
রোববার (১২ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে ২২তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে পাবনার কৃতি সন্তান মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিনের মনোনয়ন পাওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় থেকে আনন্দ মিছিল বের হয়।
মিছিলে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীসহ সর্বস্তরের মানুষ শরীক হন। পরে আনন্দ উল্লাসে পথচারীসহ সর্বস্তরের মানুষকে ও মিষ্টি খাওয়ানো হয়। এ সময় শহরের প্রধান সড়কে উৎসবমুখোর পরিবেশ তৈরি হয়।
পাবনার প্রবীণ শিক্ষক ও মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিনের বাল্যবন্ধু প্রফেসার শিবজিদ নাগ বলেন, সাহাবুদ্দিনের এই প্রাপ্তি আমার জীবনের সেরা আনন্দ। এর চাইতে খুশি কোনো দিন হইনি। ওর এই অর্জনে বন্ধু হিসেবে ও পাবনাবাসী হিসেবে আমি গর্বিত।
মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিনের আরেক বাল্যবন্ধু বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাড. সাইফুল আলম বাবলু বলেন, একজন গুণী ও যোগ্য মানুষকে মহামান্য রাষ্ট্রপতি পদে মনোনয়ন দেওয়ায় আমরা খুবই আনন্দিত।
মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিনকে রাষ্ট্রপতি পদে মনোনয়ন দেওয়ায় পাবনা প্রেস ক্লাবের সভাপতি এ বি এম ফজলুর রহমান বলেন, খবরটি জানার পর চোখে পানি এসে গেছে। এই প্রাপ্তি পুরো জেলাবাসীর।
পাবনা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আ স ম আবদুর রহিম বলেন, আওয়ামী লীগ সব সময় যোগ্য ব্যক্তিকেই যোগ্য আসনে দেন। এটা তার প্রমাণ। এই আনন্দ ভাষায় প্রকাশ করার মতো না।
পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহম্মদ রেজাউল রহিম লাল বলেন, মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন চুপপু পাবনার গর্ব, আমাদের অহংকার। তিনি একজন গুণী মানুষ। এমন একজন ব্যক্তিত্বকে রাষ্ট্রপতি মনোনয়ন দেওয়ায় আমরা খুবই আনন্দিত। আমরা মনে করি, একজন যোগ্য মানুষকে তার যোগ্য মর্যাদা দেওয়া হচ্ছে।
পাবনায় মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিনের জন্ম ১৯৪৯ সালে। তিনি ছাত্রজীবনে ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী ও পাবনা জেলা সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশ নেন। এরপর ১৯৮২ সালে বিসিএস (বিচার) ক্যাডার হিসেবে চাকরিতে যোগ দেন।
২০০৬ সালে জেলা ও দায়রা জজ হিসেবে তিনি অবসর নেন। ২০১১ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন দুদকের কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এরপর ২০১৭ সালে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের স্বতন্ত্র পরিচালক হিসেবে নিয়োগ পেয়ে বর্তমানে তিনি উক্ত ব্যাংকের ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
নয়াশতাব্দী/জেডএম
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ