ঢাকা, শুক্রবার, ২৪ মার্চ ২০২৩, ১০ চৈত্র ১৪২৯, ১ রমজান ১৪৪৪

বঙ্গোপসাগরে ৪ ট্রলারে ডাকাতি, ৪ জেলে নিখোঁজ

প্রকাশনার সময়: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ২২:৪১
ফাইল ছবি

কক্সবাজার উপকূলবর্তী বঙ্গোপসাগরে চারটি মাছ ধরার ট্রলারে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এতে বাধা দেওয়ায় ট্রলার থেকে চার জেলেকে সাগরে ফেলে দিয়েছে জলদস্যুরা। ঘটনার পর থেকে এখনো ওই চার জেলে নিখোঁজ রয়েছে বলে জানিয়েছেন ফিশিং বোট মালিক সমিতির সংশ্লিষ্টরা।

কক্সবাজার জেলা ফিশিং বোট মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন জানান, শুক্রবার মধ্যরাতে কক্সবাজার উপকূলবর্তী সাগরের ১৪ বিউ নামক এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে।

নিখোঁজ জেলেরা হলেন, অলি আহমদ, মো. আনিস, মো. জিয়া ও দেলোয়ার হোসেন। তারা ডাকাতির শিকার এফবি হাসানের জেলে।

ভুক্তভোগী ট্রলার মালিকদের বরাতে দেলোয়ার বলেন, শুক্রবার মধ্যরাতে কক্সবাজার সমুদ্র উপকূলের অনন্ত ১০ কিলোমিটার দূরুত্বের ১৪ বিউ নামক এলাকায় মাছ ধরছিল সদর উপজেলার খুরুশকূলের মো. জকরিয়ার মালিকানাধীন এফবি হাসান নামের একটি ট্রলার। এক পর্যায়ে আরেকটি ট্রলার যোগে একদল জলদস্যু ট্রলারটির (এফবি হাসান) ওপর হামলে পড়ে।

এসময় বাধা দিলে এফবি হাসান নামের ট্রলারে থাকা ১৯ জেলেকে মারধর এবং এদের মধ্যে চারজনকে সাগরের পানিতে ফেলে দেয় জলদস্যুরা। পরে জলদস্যুরা ইঞ্জিন বিকল করে দিয়ে ট্রলারটির মাছ ও জালসহ অন্যান্য মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।

বোট মালিক সমিতির এ নেতা বলেন, এফবি হাসানের পর জলদুস্যরা ঘটনাস্থলের কিছু দূরে মাছ ধরার সময় আরও তিনটি ট্রলারে ডাকাতি করে। ওই ট্রলারগুলো থেকে মাছ ও জালসহ অন্যান্য মালামাল লুট করার পর ইঞ্জিন বিকল করে পালিয়ে যায় জেলেরা।

দেলোয়ার জানান, ঘটনার পর থেকে সাগরে ফেলে দেওয়া ৪ জেলে এখনো নিখোঁজ রয়েছে। পরে শনিবার সকালে সাগরে মাছ ধরতে যাওয়া অন্য ট্রলারের সহায়তায় এফবি হাসানকে কক্সবাজার উপকূলে নিয়ে আসা হয়। এখনো সাগরে ভাসছে ডাকাতির শিকার অন্য তিনটি ট্রলার।

শনিবার সকালে এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী এফবি হাসানের মালিক মো. জকরিয়া বাদী হয়ে কক্সবাজার সদর থানায় অভিযোগ করেন। কিন্তু ঘটনাস্থল তাদের আওতাধীন এলাকায় নয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।

কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম ও উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলী বলেন, ঘটনাস্থল তাদের আওতাধীন নয়, টেকনাফ থানাধীন।

এ বিষয়ে টেকনাফের বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. মশিউর রহমান বলেন, টেকনাফের শামলাপুর উপকূলবর্তী সাগরে মাছ ধরার ট্রলারে ডাকাতির ঘটনার ব্যাপারে পুলিশ অবহিত নন। তবে ঘটনার ব্যাপারে খোঁজ-খবর নিচ্ছেন।

নয়া শতাব্দী/আরআর

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ