ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৮ মার্চ ২০২৩, ১৪ চৈত্র ১৪২৯, ৫ রমজান ১৪৪৪

গাছে গাছে সৌরভ ছড়াচ্ছে আমের মুকুল

প্রকাশনার সময়: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১৫:২২

ঈশ্বরদীতে আম বাগানের গাছগুলোতে মুকুল আসতে শুরু করেছে। গতবছর নতুন পাতা বেশি ও মুকুল কম হলেও এবার মুকুল বেশি দেখা যাচ্ছে।

শনিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) উপজেলার বিভিন্ন এলাকা সরেজমিনে ঘুরে আম গাছে মুকুল শোভা পেতে দেখা গেছে।

কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, সব গাছে এখনো মুকুল আসা শুরু হয়নি। সবেমাত্র কিছু গাছে মুকুল আসা শুরু হয়েছে। তবে আম উৎপাদন নিয়ে এবার সংশয় নেই বলছেন লিচু চাষি ও কৃষি বিভাগ।

গতবছর বৃষ্টিপাতের কারণে উদ্ভিদের শাখার অগ্রভাগে কার্বনের পরিমাণ কমে যাওয়ায় নতুন পাতা বেশি দেখা দিয়েছিল। প্রতিটি বাগানে কমবেশি গাছ নতুন পাতায় ছেয়ে গিয়েছিল। এবার নতুন পাতার পরিমাণ খুবই কম। এবার সঠিক সময়ে আমের মুকুল আসতে শুরু করেছে। আশা করছি এবার আমের উৎপাদন বেড়ে যাবে।

রাকিব হাসান নামের আম চাষি বলেন, আমি অনেক বাগানে ঘুরেছি। প্রায় বাগানে আম গাছে মুকুল দেখতে পেয়েছি। এখন পর্যন্ত ৪০ শতাংশ আম গাছে মুকুল এসেছে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে অধিকাংশ গাছে মুকুল চলে আসবে।

ঈশ্বরদীতে আম বাগান পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন আম চাষিরা। মাঘ মাস শেষে ফাল্গুনের শুরুতে গরম বাতাসে আসতে শুরু করবে মুকুল। তবুও বাড়তি ফলনের আশায় চাষিরা আগাম পরিচর্যায় ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন।

আম চাষিরা বলেন, আমরা বাড়তি ফলন ফলানোর জন্য এবং আমকে পোকা মুক্ত আর আমের রং ঠিক রাখতে আমরা কীটনাশকসহ ভিটামিন দিয়ে আমের গাছ স্প্রে করছি যেন ভালো মুকুল হয়। এরপূর্বে কয়েক মাস আগে আমরা গাছের গোড়ায় জৈব সারসহ সেচ দিয়েছি।

উপজেলার আম চাষি তোফাজ্জল হক বলেন, আমরা গাছের আগাছা পরিষ্কার করে সার-ভিটামিন জাতীয় ঔষধ দিয়ে ছোট বড় সকল গাছের পরিচর্যা শুরু করেছি। পাশাপাশি পোকা দমনে কীটনাশক দিয়ে স্প্রে করছি এতে পোকা যেমন দমন হবে তেমনি গাছে দেখা দিবে স্বাস্থ্যকর মুকুল। এতে করে ভালো ফলন হবে।

ঈশ্বরদীতে যে সকল আম উৎপাদন হবে তারমধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, খিরসা, হিমসাগর, ফজলি, তোতাপুরি, লক্ষ্মণ ভোগ, আশ্বিনা, গোপালভোগ, আম্রপালি, কাটিমন, বারি-৪ সহ অনেক জাতের আম চাষ করা হয়ে থাকে। গতবছর আমের দাম ভালো থাকায় এবছর আম চাষে আগ্রহ বেড়েছে কয়েকগুণ। তারা কৃষি অধিদপ্তরের পরামর্শ নিয়ে আম চাষ করে থাকেন।

ঈশ্বরদী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মিতা সরকার বলেন, আমের আবাদ ৫৬০ হেক্টর। যা গতবারের চেয়ে একটু বেশি।

তিনি আরও জানান, আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ভালো ফলন হওয়ার সম্ভাবনা আছে। আমাদের পক্ষ থেকে সকল চাষিকে পরামর্শ এবং সহযোগিতা করে থাকি বলেও জানান তিনি।

নয়াশতাব্দী/জেডআই

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ