ঢাকা, শুক্রবার, ২৪ মার্চ ২০২৩, ১০ চৈত্র ১৪২৯, ১ রমজান ১৪৪৪

মামলায় ঝুলে আছে মসজিদের নির্মাণ কাজ

প্রকাশনার সময়: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১৪:৪৭ | আপডেট: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১৫:৩০

মামলা জটিলতায় দশমিনায় মডেল মসজিদ নির্মাণে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। এঘটনায় স্থানীয় ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের মধ্যে চরম হতাশা ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সালে ইসলামী ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে উপজেলা সদরের প্রাণকেন্দ্রে দশমিনা সরকারি মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পূর্ব পাশে ১২ কোটি ৭ লাখ টাকা ব্যয়ে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান ঢালি কনেক্ট্রাকশন, মাসুদ এ্যান্ড ব্রাদার্স ও গাজী কনেক্ট্রাকশন যৌথভাবে দশমিনা মডেল মসজিদ নির্মাণ কাজ পায়।

মডেল মসজিদের নির্মাণ কাজ শুরুর পর জমির মালিকানা দাবি করে ২০২১ সালে দশমিনার সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে মামলা করেন স্থানীয় বাসিন্দা মোঃ নুর হোসেন। ওই মামলায় নিষেধাজ্ঞা জারির পর মসজিদের নির্মাণ কাজ বন্ধ হয়ে আছে দীর্ঘদিন।

দশমিনা আইনজীবী কল্যাণ সমিতির সভাপতি ও মসজিদ পরিচালনা কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এ্যাডভোকেট সিকদার গোলাম মোস্তফা বলেন, শত বছর আগে ওই স্থানে মসজিদ নির্মাণ হয় এবং জমির মালিকেরা দলিল অথবা মৌখিকভাবে মসজিদে জমি দান করে গেছেন সেই জমির মালিকানা দাবি করে মামলা দিয়ে একটি মহল মডেল মসজিদ নির্মাণ কাজে অনিশ্চয়তা সৃষ্টি করেছে।

তিনি আরো বলেন, বর্তমানে মসজিদের মালিকানায় ৫৪ শতাংশ জমি রয়েছে এর মধ্যে ১১.১১ শতাংশ জমির দলিল মসজিদের নামে রয়েছে। বাকি জমির মালিকানা দাবী করে নীলজান বিবি, হামিদ মহল্লাদার, কবুলচান বিবি ও আনীলা খাতুনের ওয়ারিশরা আদালতে মামলা দায়ের করেছেন।

মসজিদ পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ফখরুজ্জামান বাদল বলেন, একটি মহলের ইন্ধনে জমির মালিকানা দাবিদার ব্যক্তিরা মডেল মসজিদ নির্মাণ কাজে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছেন।

তিনি আরো বলেন, মসজিদের জমির মালিকানা দাবিদারদের সাথে একাধিকবার সমঝোতা বৈঠক করা হলেও তারা বিনা মূল্যে মসজিদের নামে জমির দলিল দিতে অস্বীকৃতি জানান।

মসজিদ পরিচালনা কমিটির কোষাধ্যক্ষ ও উপজেলা আইনজীবী কল্যাণ সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন বলেন, পূর্ব পুরুষগণ মসজিদ করে গেছেন। সরকার এই মসজিদকে মডেল মসজিদ হিসাবে নির্বাচিত করার পর কাজ শুরু করা হয়।

কাজ চলোমান অবস্থায় একটি মহলের হিনমানসে জমির মালিকানা দাবী করে মডেল মসজিদ কাজে বাধাদান কেরছে।

দশমিনা মডেল মসজিদ নির্মাণ কাজের তদারকির দায়িত্বে থাকা গণপূর্ত অধিদপ্তরের উপ প্রকৌশলী মোঃ মনির হোসেন বলেন, চলতি বছরের জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে আদালতের নিষেধাজ্ঞার চিঠি পেয়ে মডেল মসজিদ নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে।

গণপূর্ত অধিদপ্তরের উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী মোঃ তৈয়বুর রহমান বলেন, দশমিনা মডেল মসজিদ নির্মাণে জমি অধিগ্রহণের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে ফাইল প্রেরণ করা হয়েছে। যেহেতু আদালতের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে তাই মডেল মসজিদ নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে।

মডেল মসজিদের জমির মালিকানা দাবিকারী মোঃ নুর হোসেন ও মোঃ এনায়েত হোসেন বলেন, বাপ, দাদার রেখে যাওয়া জমি অধিগ্রহণ করে আমাদের ন্যায্য পাওনা বুঝিয়ে দিলেই আমরা জমির মালিকানা মসজিদের নামে ছেড়ে দেবো।

নয়াশতাব্দী/জেডআই

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ