নয়া শতাব্দী অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি।
বগুড়ায় ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতাকর্মীরা তিন দফায় হামলার শিকার হয়েছেন।
শুক্রবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে শহরের ইয়াকুবিয়া মোড়, পিটিআই মোড় ও রহমান নগর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
হামলায় আহতরা হলেন- ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সমাজসেবা সম্পাদক মো. সজল, বগুড়া জেলা শাখার সভাপতি মিজানুর রহমান পলাশ, সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ আলী, সহ-সাংগঠনিক সৈকত আলী, ধর্মবিষয়ক সম্পাদক মহিবুল্লাহ, শেরপুর উপেজলা শাখার সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল হাসান রকি, মাহামুদুল হাসান শাওন, হাসিবুল, আবু সাইদ ও তানিনসহ প্রায় ১৮ জন। এরমধ্যে রাকিবুল হাসান রকি মাথায় গুরুতর আঘাত পেয়ে শেরপুর উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি আছেন। বাকিরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
বগুড়া জেলা ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি মিজানুর রহমান পলাশা জানান, শুক্রবার সকালে তেল, গ্যাস,বিদ্যুৎ ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে শহরের সাতমাথায় মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। সেখানে পুলিশের পক্ষ থেকে বাধা দেওয়া হয়। সংক্ষিপ্ত মানববন্ধন শেষে সাতমাথা থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে ইয়াকুবিয়ার মোড়ে যাওয়ার পর শহর ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা প্রথম হামলা চালায়। তখন দ্রুত ওই স্থান ত্যাগ করা হয়। সেখান থেকে পিটিআই মোড় ও রহমান নগর যাওয়ার পরে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সজীব সাহার নেতৃত্ব আরও দুই দফায় হামলার ঘটনা ঘটে।
মিজানুর রহমান পলাশ বলেন, হামলার সময় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের হাতে লাঠিসোটা ও বাঁশ ছিল। আমাদের নেতাকর্মীদের তারা রাস্তায় ফেলে অমানুষের মতো পিটিয়েছে। শেরপুরের সাধারণ সম্পাদক রকির মাথায় বাঁশ দিয়ে গুরুতর আঘাত করা হয়েছে।
অভিযোগ অস্বীকার করে বগুড়া জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সজীব সাহা বলেন, এটা মিথ্যা অভিযোগ। ছাত্রলীগের কেউ তাদের ওপর হামলা করেনি। তবে শুনেছি তারা সাতমাথায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির সময় সাধারণ শিক্ষার্থীরা বাধা দিয়েছে।
বগুড়া সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি (ওসি) নূরে আলম সিদ্দিকী জানান, ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের ওপর হামলার বিষয়ে কিছু জানা নেই। তারা কোনো অভিযোগ করেনি।
নয়াশতাব্দী/এফআই
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ