নয়া শতাব্দী অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি।
সারি সারি যানবাহন আর উচ্ছসিত পর্যটকের ভিড় উপক্ষো করে পা ফেলাই মুশকিল। কুয়াকাটার জিরো পয়েন্ট থেকে মহিপুর বাজার পর্যন্ত দীর্ঘ ৬ কিলোমিটার এলাকজুড়ে সড়কের পাশে রাখা হয়েছে সহস্রাধিক পরিবহন।
এসব গাড়িতে করে আসা বছরের সবচেয়ে বেশি পর্যটকের আগমণ ঘটেছে কুয়াকাটায়। কোনো উপলক্ষ ছাড়াই নাতিশীতোষ্ণ আবহাওয়ার কারণেই প্রায় অর্ধলক্ষাধিক পর্যটকের আগমণ ঘটেছে বলে জানিয়েছেন পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা।
পর্যটকদের এমন ভিড়ে বুকিং রয়েছে কুয়াকাটার সকল হোটেল মোটেল। বিক্রি বাড়ায় হাসি ফুটেছে ব্যবসায়ীদের মুখে। আগত পর্যটকরা সৈকতের বালিয়াড়িতে নেচে গেয়ে ছুটে বেরাচ্ছেন। আনন্দ উন্মাদনায় মেতেছেন প্রিয় জনের সাথে। মোটকথা সৈকতের জিরো পয়েন্টে এক আনন্দঘন পরিবেশ বিরাজ করছে।
এদিকে কুয়াকাটার কাউয়ারচর, চর গঙ্গামতি, গঙ্গামতি, ঝাউবাগান, শুটকি পল্লী, লেম্বুর বন, মিশ্রিপাড়া সিমা বৌদ্ধ বিহার, শ্রীমঙ্গল বৌদ্ধ বিহার ও রাখাইন মার্কেট সহ সকল পর্যটন স্পটে রয়েছে এখন পর্যটকদের বাড়তি আনাগোনা। আগত পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তায় তৎপর রয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশ।
ঢাকার উত্তরা থেকে আসা পর্যটক জগলুল জানান, বৃহষ্পতিবার বিকেলে কুয়াকাটায় এসে পৌঁছেছি। তখন এতো বেশি মানুষ ছিলো না। কিন্তু সকাল থেকে লোকে লোকারণ্য পুরো কুয়াকাটা সৈকত। আমরা পরিবারের সদস্যরা অনেক আনন্দ করেছি। বাচ্চারা ঘোড়ায় চরে বেশ মজা পেয়েছে।
বরিশাল থেকে আসা পর্যটন তাইফুর জানান, একসঙ্গে এতো বেশি মানুষ আমি আর কখনো দেখিনি। আমরা বন্ধুরা ভোরে এসেছি। সবাই মিলে সৈকতে সাঁতার কেটেছি। দারুণ একটি উপলব্ধি। বেশ ভালো লাগছে।
পটুয়াখালী বাস মালিক সমিতির লাইন সেক্রেটারি মাহবুব আলম জানান, কুয়াকাটায় কোন বাসস্ট্যান্ড নেই। যার কারণে আজ যে গাড়িগুলো এসেছে সেগুলো সড়কের পাশে রাখা হয়েছে। হাজারের উপরে গাড়ি আছে।
কুয়াকাটা হোটেল মোটেল ওনার্স এ্যাসোশিয়েসনের সাধারণ সম্পাদক মোতালেব হাওলাদারা জানান, আজ আগের তুলনায় সবচেয়ে বেশি পর্যটকের আগমণ ঘটেছে। আমাদের সকল হোটেল মোটেল বুকিং রয়েছে। আশা করছি আমাদের আগের যে লোকসান তা কাটিয়ে উঠতে পারবো।
কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ জোনের পুলিশ পরিদর্শক হাসনাইন পারভেজ জানান, আজ কুয়াকাটায় ব্যাপক পর্যটকের আগমণ ঘটেছে। আগতদের নিরাপত্তায় আমরা বিভিন্ন পর্যটন স্পটে বাড়টি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া সাদা পোশাকের পুলিশসহ থানা পুলিশ ও নৌ-পুলিশ আমাদের সঙ্গে কাজ করছে।
নয়াশতাব্দী/জেডএম
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ