নয়া শতাব্দী অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি।
নিত্যপণ্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদ, বেগম খালেদা জিয়া সহ কারাবন্দীদের মুক্তি দাবি, সরকারের পদত্যাগ, সংসদ বাতিল ও নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে আগামী শনিবার ১৮ ফেব্রুয়ারি সকল মহানগরের পদযাত্রা ঘোষণা করেছে ১২ দলীয় জোট। যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে এই কর্মসূচি পালন করা হবে।
রোববার (১২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রাজধানীতে পদযাত্রা শুরুর পূর্বে এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন জোটের শীর্ষ নেতা ও জাতীয় পার্টির (জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার।
বিকাল তিনটায় বিজয়নগর পানির ট্যাংক সংলগ্ন রাস্তা থেকে শুরু হয়ে জাতীয় প্রেসক্লাব পর্যন্ত ১২ দলীয় জোটের উদ্যোগে আওয়ামী সরকারের দমন-পীড়ন, গণ গ্রেফতার ও নির্যাতনের বিরুদ্ধে এবং বেগম খালেদা জিয়াসহ সকল রাজবন্দীদের মুক্তির দাবিতে ও বিদ্যুৎ গ্যাস ও জ্বালানিসহ সকল নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের দাম কমানোসহ ১০ দফা দাবি বাস্তবায়নে পদযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়।
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দারের সভাপতিত্বে এবং বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সৈয়দ এহসানুল হুদার পরিচালনায় পদযাত্রা পূর্বক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, বীর প্রতীক, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সৈয়দ এহসানুল হুদা, বাংলাদেশ এলডিপির ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দ ইবরাহিম রওনক, এনডিপির চেয়ারম্যান ক্বারী মুহাম্মদ আবু তাহের, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মুফতি গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ (বিএমএল) এর চেয়ারম্যান এডভোকেট শেখ জুলফিকার বুলবুল চৌধুরী, জাগপার সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন, ইসলামী ঐক্য জোটের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান, বীর মুক্তিযোদ্ধা শওকত আমিন, বাংলাদেশ ইসলামিক পার্টির মহাসচিব জনাব আবুল কাশেমসহ ১২ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ।
সভাপতির বক্তব্যে মোস্তফা জামাল হায়দার বলেন, যুগপৎ আন্দোলন করছে সকলেই আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি পদযাত্রা কর্মসূচি পালন করবে।
এডভোকেট এহসানুল হুদা বলেন, এই সরকারের নির্যাতন নিপীড়নে দেশের মানুষ অতিষ্ঠ। তাদের বিদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ এখন রাজনৈতিকভাবে দেউলিয়া হয়ে গেছে। যে কারণে একজন অখ্যাত দুর্নীতিবাজ লোককে রাষ্ট্রপতি হিসেবে মনোনয়ন দিয়েছে। এটা আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক দৈন্যদশা।
তিনি বলেন, এস আলমের ব্যাংক দখলের মুখপাত্রকে রাষ্ট্রপতি হিসেবে মনোনয়ন দেওয়ার মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রমাণ করলেন ইসলামী ব্যাংক এস আলম নয় তিনিই দখল করেছেন।
নয়া শতাব্দী/জেআই
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ