নয়া শতাব্দী অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি।
বিএনপির কর্মসূচির দিনে পাল্টা কর্মসূচি দিয়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ পায়ে পাড়া দিয়ে ঝগড়া করার চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু।
বলেছেন, এই পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি একদিন তাদের জন্য বেদনাদায়ক হয়ে দাঁড়াতে পারে। তখন সব দায়ভার এ সরকারকে নিতে হবে। এই সরকার আর বেশি দিন ক্ষমতায় থাকতে পারবে না। তাদের পতন নিকটে। কারণ বাংলাদেশ তৈরি হয়েছে গণতন্ত্রের জন্য, স্বাধীনতার জন্য। এই দেশে কোনো স্বৈরাচারের স্থান নাই।
শুক্রবার (১০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে জাতীয়তাবাদী গণতন্ত্র পরিষদের উদ্যোগে ‘ভোটার অধিকার ফিরে পেতে চাই’ শীর্ষক এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।
মানববন্ধনে আরো বক্তব্য রাখেন গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খান, জিনাফ সভাপতি মিয়া আনোয়ার, ‘দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও’ আন্দোলনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন, সংগঠনের সভাপতি মোখতার আকন্দ প্রমুখ।
শামসুজ্জামান দুদু বলেন, যে দেশ মুক্তিযুদ্ধ করেছে, একসাগর রক্ত দিয়েছে গণতন্ত্রের জন্য, অধিকারের জন্য এবং বিজয় লাভ করেছে, সে দেশের জনগণ স্বাধীনতার ৫২ বছর পরে এসে আজ ন্যূনতম অধিকারও পাচ্ছে না। সে তার পছন্দের প্রার্থীকে নির্বাচিত করার ক্ষমতা রাখছে না।
সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, এত বড় ঠক, মিথ্যাবাদী সরকার গত ৫২ বছরে এদেশের জনগণ আর প্রত্যক্ষ করে নাই। আওয়ামী লীগ থেকে দাবি করা হয়, তারা ক্ষমতায় আসলে দেশের জনগণ কিছু পায়। এদেশ থেকে লক্ষ হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলে টাকা পাচার, দুর্নীতি, গুম, খুন ছাড়া আর কিছুই হয় না।
মিথ্যা মামলায় চার বছর ধরে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে সরকার বন্দী করে রেখেছে দাবি করে দুদু বলেন, বেগম খালেদা জিয়া সত্যের প্রতীক, গণতন্ত্রের প্রতীক। মানুষের অধিকার আদায়ে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন, মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠিত করেছেন। এমন একজন নেত্রীকে মিথ্যা মামলায় তারা বন্দী করে রেখেছে, এর চেয়ে স্বৈরাচার আর কী হতে পারে?
বিএনপির এই নেতা বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশে নির্বাচন বলতে কিছু নাই। আমরা কেয়ারটেকার সরকার প্রতিষ্ঠা করব। পার্লামেন্ট ইস্তফা দেবে। নতুন করে নির্বাচন কমিশন গঠন করা হবে। যত অস্ত্র নামে-বেনামে দেয়া হয়েছে, সমস্ত অস্ত্র রিকভারি করতে হবে। দলীয় পরিচয়ে যাদেরকে অস্ত্র দেয়া হয়েছে, সেগুলো রিকভারি করতে হবে।
তিনি বলেন, স্মরণকালের সবচেয়ে ভয়াবহ হচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, বিচারালয়সহ সবকিছু দলীয়করণ করা হয়েছে। এর থেকে বেরিয়ে আসতে হলে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে। আর দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হলে এই সরকারের পতন অনিবার্য। এ সরকারের পতন ঘটাতে হলে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন করতে হবে।
নয়াশতাব্দী/জেডআই
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ