নয়া শতাব্দী অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি।
সুপ্রিম কোর্টের বারের নির্বাচনে মাধ্যমে আরো স্পষ্ট হয়েছে, এই সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন দূরের কথা, পাড়ার ক্লাবেরও সুষ্ঠু নির্বাচন করা সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন গণতন্ত্র মঞ্চের শীর্ষ নেতারা। যুগপৎ আন্দোলন কর্মসূচির অংশ হিসেবে শনিবার (১৮ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর পল্টন মোড়ে দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতি, দফায় দফায় বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি, তিস্তার পানি প্রত্যাহার বন্ধে সরকারের ব্যর্থতার প্রতিবাদ এবং নির্দলীয় সরকারসহ ১০ দফা দাবিতে এক সমাবেশে তারা এসব কথা বলেন। সমাবেশের পর বিজয় নগর সড়ক পর্যন্ত একটি মিছিল বের করা হয়। এতে জোটটির সহস্রাধিক নেতাকর্মী অংশ নেয়।
সমাবেশে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, সুপ্রিম কোর্টের বার নির্বাচনে পুলিশ দিয়ে সরকার যা করেছে সেটা দেশের ইতিহাসের একটা কলঙ্কজনক অধ্যায়। দ্রব্যমূল্য সহনীয় করার কোনো ইচ্ছাই এই সরকারের নাই কারণ সরকার নিজেই একটা সিন্ডিকেট। দ্রব্যমূল্য তারা বাড়াতেই থাকবে। এর বিরুদ্ধে লড়াই করাটাই একমাত্র পথ। দেশের জনগন ও সমগ্র বিশ্বমানবতার কাছে এই চলমান আন্দোলনের সমর্থন চাই।
তিনি বলেন, রোজার মধ্যে বিরাট করে আন্দোলনের কর্মসূচি হয়তো আমরা দেবো না। কিন্তু আন্দোলনের এ বাতাসে ধীরে ধীরে আরও বাতাস দিতে থাকবো, চাঙা করতে থাকবো, যাতে রোজার পর আমাদের পাওনা কড়ায়-গন্ডায় আদায় করে নিতে পারি। সে পরিকল্পনা আমরা করছি। আমরা সবার সমর্থন চাই। দেশে-বিদেশে যারা আছেন সবার সমর্থন চাই।
বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, সরকার দেশের স্বার্থ বিক্রি করে বিদেশি শক্তির হাতে দেশের সম্পদ তুলে দেয়ার খেলাই খেলছে। এই সরকার দেশ চালাতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ। তারা মানুষের ভাতের অধিকার আর ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছে। যে সরকার সুপ্রিম কোর্টের বার নির্বাচনে পুলিশ লাগিয়ে হাইজ্যাক করে নেয়, সেই সরকার দেশের সাধারণ নির্বাচন তো দূরে থাক, একটা পাড়ার সংগঠনেরও কোনো গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে পারবে না। সেজন্যে এই সরকারকে বিদায় না করে দেশের মানুষের শান্তি নিশ্চিত করা সম্ভব না।
গণ অধিকার পরিষদের সদস্য সচিব নুরুল হক নূর বলেন, বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে ৫ থেকে ৭টি বড় বড় শিল্পগোষ্ঠী। ভোজ্যতেল থেকে পোল্ট্রি মুরগি সব কিছুই সিন্ডিকেটের হাতে। সিন্ডিকেট ইচ্ছেমত দাম বাড়ায়। কারণ, সরকার এই সিন্ডিকেটের থেকে চাঁদা নেয়। প্রধানমন্ত্রী সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে গোয়েবলসের মতো কথা বলেছেন। বিরোধী দলের শান্তিপূর্ণ মিছিল-মিটিংয়ে বাধা না দিতে প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়ে নূর বলেন, ফ্যাসিবাদের পতনে প্রয়োজন জনগণকে সাথে নিয়ে গণভবন ঘেরাও দেয়া হবে। শিগগিরই চূড়ান্ত আন্দোলন হবে, জনগণ এই আন্দোলনে বিজয়ী হবে।
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপনের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন গণসংহতি আন্দোলনের নির্বাহী সমন্বয়ক আবুল হাসান রুবেল, ভাসানী অনুসারী পরিষদের সদস্য সচিব হাবিবুর রহমান রিজু ও রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রচার ও মিডিয়া সমন্বয়ক সৈয়দ হাসিব উদ্দিন হোসেন।
সভাপতির বক্তব্যে শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন বলেন, সরকার রাতের অন্ধকারে বিরোধী দলের কর্মীদের তুলে নিয়ে মুখ বন্ধ করার ষড়যন্ত্রে নেমেছে। এই সরকার মুখে সংবিধানের কথা বলে জন মানুষের অধিকার কেড়ে নেয়াতেই ব্যস্ত। দেশের স্বার্থের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করে ভারতের তিস্তার পানি সরিয়ে নেয়ার কোনো প্রতিবাদ তারা করে না। এই জালিম সরকারের বিরুদ্ধে চলমান আন্দোলনের আগামী কর্মসূচি শিগগিরই জানিয়ে দেয়া হবে।
নয়া শতাব্দী/জেআই
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ