ঢাকা, বুধবার, ২২ মার্চ ২০২৩, ৮ চৈত্র ১৪২৯, ২৯ শাবান ১৪৪৪

খুনের সঙ্গে জড়িত না, গুমের সঙ্গে ছিলাম: আরাভ খান

প্রকাশনার সময়: ১৬ মার্চ ২০২৩, ২১:০৪ | আপডেট: ১৬ মার্চ ২০২৩, ২১:০৯

পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) পরিদর্শক মামুন ইমরান খান হত্যাকাণ্ডে জড়িত নয় তবে তিনি গুমের সঙ্গে ছিলেন বলে ফেসবুক লাইভে এসে জানিয়েছেন দুবাইয়ের জুয়েলারি ব্যবসায়ী আরাভ খান ওরফে রবিউল ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) দুবাই থেকে ‘আরাভ খান’ নামের ফেসবুক প্রোফাইল থেকে লাইভে এসে এসব কথা বলেন তিনি।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ডাকলে ও সুষ্ঠু বিচারের আশ্বাস পেলে দেশে ফিরতে রাজি আছেন বলেও জানান তিনি। বলেন, ‘আদালতেই বলে দেবেন কী বিচার হবে আমার। দোষী হলে সাজা মাথা পেতে নেবো।’

ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান দুবাইয়ে ‘আরাভ জুয়েলারি’ উদ্বোধন করতে গেলে দেশজুড়ে তুমুল বিতর্ক সৃষ্টি হয়। ওই জুয়েলারির মালিক আরাভ খান এসবি পুলিশ মামুন ইমরান খান খুনের মামলার আসামি।

এ বিষয়ে আরাভ তার ফেসবুক লাইভে বলেন, ‘শত ঝড় তুফানের মধ্যে আমার অনুষ্ঠান সুন্দর ও সফলভাবে শেষ হয়েছে। এতকিছু শোনার পারও সাকিব আল হাসান ভাই পিছু হাঁটেননি, তাকে ধন্যবাদ।’

খুনের মামলার আসামি থাকার কথা স্বীকার করে বলেন, ‘বাংলাদেশের বিভিন্ন গণমাধ্যম আমাকে খুনি ও দেশ থেকে হাজার কোটি টাকা এনে বিদেশে ব্যবসা শুরু করেছি—এসব সংবাদ প্রকাশ করছে। আরে ভাই, আমি যদি খুনি হতাম তাহলে তো আন্ডারগ্রাউন্ডে (আড়ালে) চলে যেতাম। পাঁচ বছর আগের একটা ঘটনা, এরপর তো আমি এক দিনের জন্যও অফলাইন হইনি। আমি বলিনি আমার নামে মামলা নেই, মামলা আছে।’

সেদিনের ঘটনার ব্যাখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, ‘২০১৮ সালে আমি রিয়েল অ্যাস্টেটের ব্যবসা করতাম। বনানীতে আপন বিল্ডার্স নামে আমার অফিস ছিল। সে অফিসে একটা জন্মদিনের অনুষ্ঠানে কাথাকাটাকাটি নিয়ে এসবির ইন্সপেক্টর মার্ডার হয়। এটা সম্পূর্ণ এক্সিডেন্ট ছিল। আমি তখন বাসায় ছিলাম। আমার সহকারী আমাকে ফোন দিয়ে ঘটনা জানায়। আমার একটাই অপরাধ, আমি ওই অফিসের মালিক ছিলাম।

‘এ ঘটনায় আমি জড়িত না, আমাকে ফাঁসানো হয়েছে। মামলায় বলা আছে, আমি গুমের সাথে জড়িত। হ্যাঁ, সেটা যদি আমার অপরাধ হয়, আমি কথা বলেছি। আমি গুমের সঙ্গে জড়িত। সে শাস্তি আমি মাথা পেতে নেব।’

অস্ত্র মামলার কথা স্বীকার করে তিনি বলেন, গণমাধ্যম যা সত্য তা লিখেছে, মিথ্যাও লিখেছে। তারা লিখেছে অস্ত্র মামলায় বিভিন্ন সময় পুলিশ আমাকে গ্রেফতার করেছে, জেলে দিয়েছে। মিথ্যা বলব না। হ্যাঁ, অস্ত্র মামলা আমার নামে ছিল, আছে। আমি আগেও বলেছি আমার অনেক শত্রু আছে। অমি অনেক ভালো মানুষ তাও বলব না। আসলে অনেক কষ্ট করে এই জায়গায় এসেছি। বলা হচ্ছে, বাংলাদেশের সর্বোচ্চ পুলিশ কর্মকর্তা আমাকে হেল্প করে ফ্লাইটে উঠিয়ে দিয়েছে। এগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা। যে ভাইদের নাম বলছে তারা আমার সঙ্গে কোনোভাবে জড়িত না। একজন ব্যবসায়ীর সঙ্গে সবার সম্পর্ক থাকবে এটাই স্বাভাবিক। একজন ব্যবসায়ী সাবানের মতো, দোকান থেকে কেনার পর এ সাবান পুলিশ, আর্মি, সন্ত্রাস যে কেউ ব্যবহার করতে পারে।’

নয়া শতাব্দী/জেআই

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ