নয়া শতাব্দী অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি।
সুনীল অর্থনীতির জন্য কোস্টগার্ডকে আরও আধুনিক ও শক্তিশালী করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে কোস্টগার্ড সদর দফতরে ‘বাংলাদেশ কোস্টগার্ড’-এর ২৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্যাপন ও পদক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এ তথ্য জানান। এসময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, উপকূলীয় অঞ্চলের নিরাপত্তায় এ বাহিনী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে। কোস্টগার্ডকে শক্তিশালী করতে এবং এ বাহিনীর উন্নয়নে কাজ করছে সরকার।
শেখ হাসিনা বলেন, শুধু আওয়ামী লীগের জন্যই সমুদ্রসীমা ও উপকূল রক্ষায় এ বাহিনী প্রতিষ্ঠা পেয়েছে। সংসদে বিরোধীদলে থাকা অবস্থায় কোস্টগার্ড আইন পাসে উদ্যোগী হয়েছিল আওয়ামী লীগ। কোস্টগার্ডকে আধুনিক প্রযুক্তিসম্পন্ন করে গড়ে তুলতে আরও পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারত ও মিয়ানমারের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সর্ম্পক রেখেই আমরা আমাদের বিশাল সমুদ্রসীমা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছি।
শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসার পরপরই আমরা সমুদ্রসীমায় আমাদের অধিকার নিশ্চিত করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। ২০০৮ সালে ক্ষমতা গ্রহণ করার পর আবার উদ্যোগ নেই এবং সমুদ্রসীমায় আমাদের অধিকার নিশ্চিত করি। মিয়ানমার ও ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সর্ম্পক রেখেই এই সাফল্য অর্জন করেছি আমরা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের যে অধিকার আছে সেটা নির্দিষ্ট করার জন্য বঙ্গবন্ধু ১৯৭৪ সালে আইন প্রণয়ন করেন। তখনও জাতিসংঘে এই আইন হয়নি। জাতিসংঘে এই আইন হয়েছে ১৯৮২ সালে। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশই এই আইন প্রথম পাস করে।
কোস্টগার্ডের প্রশিক্ষণের জন্য আরও সক্ষমতা বাড়ানো হয়েছে; এছাড়া গভীর সমুদ্রে নজরদারি বাড়াতে ডিজিটাল পদ্ধতি প্রণয়নের পাশাপাশি হোভারক্রাফটের মতো আধুনিক সরঞ্জাম সংগ্রহ করা হচ্ছে এবং সেটা এখন সময়ের ব্যাপারমাত্র বলেও জানান তিনি।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে কোস্টগার্ডের সদর দফতরে পৌঁছালে সশস্ত্র সালামে প্রধানমন্ত্রীকে সম্মান জানান বাহিনীর সদস্যরা। পরে বিভিন্ন সময়ে বাহিনীতে সাহসিকতা ও বীরত্বপূর্ণ অবদানের জন্য মনোনীত কোস্টগার্ড কর্মকর্তা ও সদস্যদের পদক পরিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী। নয়া শতাব্দী/জেআই
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ