মঙ্গলবার, ২৮ মার্চ ২০২৩, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ছাত্রলীগ নেতা থেকে রাষ্ট্রপতি

প্রকাশনার সময়: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১৩:১৭ | আপডেট: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১৩:২৪
ছবি : সংগৃহীত

দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন দলটির উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য মো. সাহাবুদ্দিন চুপ্পু। সাহাবুদ্দিন চুপ্পু ছাত্রজীবনে পাবনা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

রোববার (১২ ফেব্রুয়ারি) সকালে আওয়ামী লীগের একটি প্রতিনিধি দল মনোনয়নপত্র জমা দিতে নির্বাচন কমিশন ভবনে যান। ওই প্রতিনিধি দলে নেতৃত্ব দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। আরও উপস্থিত ছিলেন দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। প্রতিনিধি দলের সঙ্গে সাহাবুদ্দিন চুপ্পু নিজেও নির্বাচন কমিশনে যান।

এসময় ওবায়দুল কাদের গণমাধ্যমকে বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রাচীনতম এবং ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে সাহাবুদ্দিনকে মনোনয়ন দিয়েছে। আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা কাছে গত ৭ ফেব্রুয়ারি পার্লামেন্টারি পার্টির বৈঠকে সর্বসম্মতিক্রমে দায়িত্ব অর্পণ করা হয়। তিনি এ মনোনয়ন চূড়ান্ত করেছেন।’

আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া নিজের ফেসবুকে পেজে মো. সাহাবুদ্দিন চুপ্পুকে নিয়ে বিস্তারিত তথ্য পোস্ট করেছেন। ফেসবুকে পোস্টে বিপ্লব বড়ুয়া লেখেন, “তিনি (সাহাবুদ্দিন চুপ্পু) পেশায় একজন আইনজীবী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য। তিনি ১৯৪৯ সালে পাবনায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ইতিপূর্বে জেলা ও দায়রা জজ এবং দুর্নীতি দমন কমিশনের একজন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

তিনি ১৯৭১ সালে পাবনা জেলার স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক ছিলেন এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৮২ সালে বিসিএস (বিচার) বিভাগে যোগদান করেন এবং ১৯৯৫ সালে জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব হিসেবে নির্বাচিত হন।

তিনি বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় আইন মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিযুক্ত সমন্বয়কারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ২০০১ সালের সাধারণ নির্বাচন পরবর্তী সময়ে বিএনপি-জামাত জোটের নেতা কর্মীর দ্বারা সংঘটিত হত্যা, ধর্ষণ ও লুণ্ঠন এবং মানবতা বিরোধী কর্মকাণ্ডের অনুসন্ধানে গঠিত বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশন এর চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

বিশেষ সহকারী জানান, তিনি ছাত্র জীবনে পাবনা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এবং ১৯৭৪ সালে পাবনা জেলা যুবলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭৫ সালে সংঘটিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর নির্মম হত্যাকাণ্ডের পর কারা বরণ করেন। তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সর্বশেষ জাতীয় কাউন্সিলে নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি ব্যক্তিগত জীবনে এক পুত্র সন্তানের পিতা এবং তার স্ত্রী প্রফেসর ড, রেবেকা সুলতানা সরকারের সাবেক যুগ্ম সচিব ছিলেন।

সংসদে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকায় তাদের মনোনীত প্রার্থীই হচ্ছেন পরবর্তী রাষ্ট্রপতি, এটি মোটামুটি নিশ্চিত। বিরোধী দল জাতীয় পার্টি প্রার্থী না দেওয়ার কথা আগেই জানিয়ে দিয়েছে।

মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় আজ বিকেল ৪টা পর্যন্ত। ওই সময়ের মধ্যে চুপ্পু ছাড়া অন্য কেউ মনোনয়নপত্র জমা না দিলে আগামীকাল মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে তার মনোনয়নপত্র বৈধ হলে নির্বাচন কমিশন তাকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করতে পারবেন।

তফসিল অনুযায়ী আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। একাধিক প্রার্থী থাকলেই নির্বাচন হবে।

নয়া শতাব্দী/জেআই

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ